চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের জাদু: কীভাবে ভারত হয়ে উঠল অপ্রতিরোধ্য?

ভারতীয় ক্রিকেট দল আবারও বিশ্ব মঞ্চে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করল। ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো এই শিরোপা ঘরে তুলেছে ভারত। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে দলটি টুর্নামেন্টে…

Ani Roy

 

ভারতীয় ক্রিকেট দল আবারও বিশ্ব মঞ্চে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করল। ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো এই শিরোপা ঘরে তুলেছে ভারত। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে দলটি টুর্নামেন্টে একটি ম্যাচও না হেরে অপ্রতিরোধ্য প্রদর্শন দেখিয়েছে। ফাইনালে অধিনায়ক রোহিতের দুর্দান্ত ৭৬ রান এবং রবীন্দ্র জাদেজার শেষ মুহূর্তের দৃঢ়তায় ভারত জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। এই জয় ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য এক উৎসবের মুহূর্ত হয়ে উঠেছে।

ঘটনার বিবরণে যাওয়ার আগে বলা যায়, এই টুর্নামেন্টে ভারতের যাত্রা শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে দুবাইয়ে। প্রথম ম্যাচে শুভমন গিলের সেঞ্চুরি (১০১ রান) এবং মোহাম্মদ শামির বোলিং দক্ষতায় ৬ উইকেটে জয় পায় ভারত। এরপর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলির অপরাজিত শতরানে (১০০*) ৬ উইকেটের জয় এসেছিল। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও দাপট দেখিয়েছিল দল। সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে ভারত। ৯ মার্চ, ২০২৫-এ ফাইনালে নিউজিল্যান্ড ২৫১ রানের লক্ষ্য দিলেও, রোহিত-কোহলির ব্যাটিং আর জাদেজার শেষ বলের চারে জয় নিশ্চিত হয়।

ICC Champions Trophy 2025: পাকিস্তানে ৮ দলের মহারণ শুরু ফেব্রুয়ারিতে!

এবারের টুর্নামেন্টে ভারতের প্রতিটি বিভাগই ছিল অসাধারণ। ব্যাটিংয়ে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি নিয়মিত রান করেছেন। শুভমন গিলও ফর্মে ছিলেন। বোলিংয়ে মোহাম্মদ শামি ও কুলদীপ যাদব দলকে শক্তি জুগিয়েছেন। ফিল্ডিংয়েও দলটি ছিল তুখোড়। ফাইনালে রোহিত ৭৬ রান করে ম্যাচের সেরা হন, আর জাদেজা শেষ ওভারে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ২৫ বছর পর নিউজিল্যান্ডকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে হারানো ভারতের জন্য একটি বড় প্রাপ্তি। এই জয় ২০১৭ সালে পাকিস্তানের কাছে ফাইনালে হারের বদলাও পূরণ করেছে।

প্রাসঙ্গিক তথ্য হিসেবে বলা যায়, ভারত এর আগে ২০০২ (শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে) এবং ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল। এবারের জয়ে তারা তৃতীয় শিরোপা জিতে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার সমান হল। টুর্নামেন্টে ভারতের অপরাজিত থাকার রেকর্ডও বিশেষ। এই জয়ের পেছনে কোচ গৌতম গম্ভীরের কৌশল এবং দলের ঐক্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে ভারতের ম্যাচগুলো দুবাইয়ে খেলা হয়েছে।

সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ভারতের এই জয় দলের কঠোর পরিশ্রম আর একতার ফল। ব্যাট-বলের সমন্বয়, অধিনায়কের নেতৃত্ব আর খেলোয়াড়দের মনোবলই ছিল জয়ের জাদু। ক্রিকেটপ্রেমীরা এখন উদযাপনে মেতে উঠেছে, আর ভারতীয় দল বিশ্বে আবারও নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের ছাপ রেখেছে।

About Author
Ani Roy

অনি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এডুকেশনে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। শিক্ষার প্রতি গভীর অনুরাগ এবং আজীবন শেখার প্রতি প্রতিশ্রুতি নিয়ে অনি নতুন শিক্ষামূলক পদ্ধতি ও প্র্যাকটিসগুলি অন্বেষণ করতে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। তার একাডেমিক যাত্রা তাকে শিক্ষার তত্ত্ব এবং ব্যবহারিক শিক্ষণ কৌশলগুলিতে দৃঢ় ভিত্তি প্রদান করেছে। অনি অন্তর্দৃষ্টি এবং দক্ষতা তার চিন্তাশীল লেখাগুলিতে প্রতিফলিত হয়, যা শিক্ষাবিদ এবং শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত ও তথ্যপূর্ণ করার উদ্দেশ্যে লেখা। তিনি তার আকর্ষণীয় এবং প্রভাবশালী কাজের মাধ্যমে শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদান রাখতে থাকেন।