Best Bengali films on IMDb: বাংলা চলচ্চিত্র বিশ্ব সিনেমার মানচিত্রে একটি অনন্য স্থান দখল করে আছে। সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক থেকে শুরু করে আধুনিক পরিচালকদের হাত ধরে বাংলা সিনেমা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সুনাম অর্জন করেছে। IMDb-তে ৮ বা তার বেশি রেটিং পাওয়া বাংলা ছবিগুলি শুধু ভারতীয় সিনেমা জগতে নয়, বিশ্ব চলচ্চিত্রের ইতিহাসে গভীর ছাপ রেখেছে। এই সিনেমাগুলি তাদের আবেগময় গল্প, অসাধারণ শিল্পগুণ, এবং অনন্য দৃষ্টিভঙ্গির জন্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। আজকের আলোচনায় আমরা এমনই দশটি অসাধারণ বাংলা সিনেমা নিয়ে আলোচনা করব, যেগুলি IMDb-এর কঠিন মূল্যায়নে ৮+ রেটিং অর্জন করে বাংলা সিনেমার গৌরবময় ঐতিহ্যকে তুলে ধরেছে।
সত্যজিৎ রায়ের অপু ত্রয়ী: বাংলা চলচ্চিত্রের অমর কীর্তি
পথের পাঁচালী (১৯৫৫) – IMDb রেটিং ৮.২/১০
সত্যজিৎ রায়ের প্রথম চলচ্চিত্র ‘পথের পাঁচালী’ শুধু বাংলা নয়, বিশ্ব চলচ্চিত্রের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস অবলম্বনে এই সিনেমাটি দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারের ছেলে অপুর বেড়ে ওঠার কাহিনী বলে। হরিহর রায় (কানু ব্যানার্জী) তার পরিবারের জন্য ভালো জীবনের স্বপ্ন দেখেন এবং কাজের সন্ধানে গ্রাম ছেড়ে চলে যান। পরিবারের দারিদ্র্য, অপুর বোন দুর্গার মৃত্যু, এবং পরিবারের শেষে গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার মধ্য দিয়ে গল্প এগিয়ে যায়।
১৯৫৫ সালে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমাটি ক্যানে চলচ্চিত্র উৎসবে “সেরা মানবিক দলিল” হিসেবে পুরস্কার জিতে নেয়। সুবীর ব্যানার্জীর (অপু চরিত্রে) অকৃত্রিম অভিনয় এবং রবি শঙ্করের মন্ত্রমুগ্ধকর সঙ্গীত সিনেমাটিকে এক অনন্য মাত্রা দেয়।
অপরাজিত (১৯৫৬) – IMDb রেটিং ৮.২/১০
‘অপু ত্রয়ী’র দ্বিতীয় সিনেমা ‘অপরাজিত’ অপুর কিশোর বয়স থেকে যৌবনে পৌঁছানোর গল্প তুলে ধরে। বাবার মৃত্যুর পর, অপু (পিনাকি সেনগুপ্তা) পড়াশোনার জন্য কলকাতা চলে যায়, আর তার মা সরবজয়া একা জীবন মোকাবিলা করেন। সিনেমাটি অপুর স্কুল জীবন, কলকাতায় তার অভিজ্ঞতা, এবং তার মায়ের সাথে সম্পর্কের জটিলতা অসাধারণভাবে তুলে ধরে।
সিনেমাটি ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে সর্বোচ্চ সম্মান “গোল্ডেন লায়ন” অর্জন করে, যা সত্যজিৎ রায়ের অসামান্য পরিচালনা দক্ষতার প্রমাণ দেয়।
অপুর সংসার (১৯৫৯) – IMDb রেটিং ৮.৪/১০
‘অপু ত্রয়ী’র তৃতীয় ও শেষ সিনেমা ‘অপুর সংসার’ অপুর (সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়) প্রাপ্তবয়স্ক জীবন, তার অপ্রত্যাশিত বিবাহ, এবং জীবনের করুণ মোড় নিয়ে গল্প বলে। একটি বিবাহ অনুষ্ঠানে বরের মানসিক বিকারগ্রস্ততা দেখা দেওয়ায়, অপু কন্যাপক্ষের অনুরোধে বিকল্প বর হিসেবে আপর্ণাকে (শর্মিলা ঠাকুর) বিয়ে করে।
সিনেমাটিতে দেখানো হয়, কীভাবে অপু এবং আপর্ণার মধ্যে ধীরে ধীরে একটি উষ্ণ ও মমতাময় সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু আপর্ণার গর্ভাবস্থায় প্রসবকালীন মৃত্যু অপুর জীবনকে বিপর্যস্ত করে দেয়। দুঃখে ভেঙে পড়া অপু নিজের সন্তানকে দেখতেও অস্বীকার করে এবং ভবঘুরে জীবন বেছে নেয়। বছর পাঁচেক পর, তার বন্ধু পুলু তাকে খুঁজে বের করে এবং তার ছেলে কাজলের দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ করে।
সত্যজিৎ রায়ের অন্যান্য অসামান্য কীর্তি
চারুলতা (১৯৬৪) – IMDb রেটিং ৮.১/১০
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নষ্টনীড়’ গল্প অবলম্বনে নির্মিত ‘চারুলতা’ সত্যজিৎ রায়ের আরেকটি অবিস্মরণীয় সৃষ্টি। সিনেমাটি উনিশ শতকের কলকাতায় একজন সংবাদপত্র সম্পাদকের একাকী স্ত্রী চারুলতার (মাধবী মুখার্জী) গল্প বলে, যিনি তার স্বামীর ভাই অমলের (সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়) সঙ্গে সাহিত্য প্রেম ভাগ করে নেন।
সিনেমাটি চারুলতার একাকীত্ব, বিবাহিত জীবনের জটিলতা, এবং আবেগের সূক্ষ্ম প্রকাশ অসাধারণভাবে তুলে ধরে। বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নির্মাতাদের একজন হিসেবে সত্যজিৎ রায়ের খ্যাতি ‘চারুলতা’র মাধ্যমেই আরও সুদৃঢ় হয়।
অরণ্যের দিনরাত্রি (১৯৭০) – IMDb রেটিং ৮.১/১০
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ চারজন কলকাতার যুবকের পলাশপুর নামক একটি ছোট জঙ্গলবেষ্টিত গ্রামে ছুটি কাটাতে যাওয়ার গল্প1। সিনেমায় দেখানো হয় কীভাবে আধুনিক শহুরে যুবকেরা গ্রামীণ পরিবেশে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে ব্যর্থ হয়, এবং প্রেম, আকর্ষণ, এবং সামাজিক শ্রেণি বিভাজনের জটিলতা মোকাবেলা করে।
সিনেমাটি শারীরিক সাহচর্য, প্রকৃতির সাথে মানুষের সম্পর্ক, এবং সামাজিক প্রথার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের বিষয়গুলি গভীরভাবে অন্বেষণ করে।
জানা অরণ্য (১৯৭৫) – IMDb রেটিং ৮.৩/১০
সত্যজিৎ রায়ের ‘কলকাতা ত্রয়ী’র তৃতীয় সিনেমা ‘জানা অরণ্য’ সৌমিত্র (প্রদীপ মুখার্জী) নামক একজন উজ্জ্বল ও আদর্শবাদী যুবকের চাকরির সন্ধান এবং কর্কশ বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়ার গল্প। সিনেমায় দেখানো হয় কীভাবে সৌমিত্র তার আদর্শ ও নৈতিকতা পরিত্যাগ করে সমাজে সফল হওয়ার চেষ্টা করে।
১৯৭০-এর দশকের কলকাতার সামাজিক-অর্থনৈতিক চিত্র, বেকারত্বের সমস্যা, এবং ব্যক্তিগত মূল্যবোধের আপসের বিষয়গুলি সিনেমাটিতে দক্ষতার সাথে তুলে ধরা হয়েছে।
ফ্যান্টাসি থেকে সমাজবাস্তবতা: বিচিত্র ধারার বাংলা সিনেমা
গুপী গাইন বাঘা বাইন (১৯৬৯) – IMDb রেটিং ৮.৭/১০
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর গল্প অবলম্বনে সত্যজিৎ রায় নির্মিত ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ একটি অসাধারণ ফ্যান্টাসি সিনেমা। গুপী (তপন চট্টোপাধ্যায়) এবং বাঘা (রবি ঘোষ) নামক দুই গ্রামীণ যুবক, যাদের একজন গান গাইতে এবং অন্যজন ঢোল বাজাতে চায়, তাদের রোমাঞ্চকর অভিযানের গল্প সিনেমাটিতে বলা হয়েছে।
সিনেমায় দেখানো হয়, কীভাবে তারা দুজনে ভূতের রাজার (হরিন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়) কাছ থেকে তিনটি বর লাভ করে: যে কোনো খাবার ও পোশাক পাওয়ার ক্ষমতা, যাদু জুতা যা তাদের যে কোনো জায়গায় নিয়ে যেতে পারে, এবং গান ও বাজনা দিয়ে মানুষকে স্তব্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা। এই অদ্ভুত ক্ষমতাগুলি ব্যবহার করে তারা শুন্ডি রাজ্যে অভিযান শুরু করে।
সিনেমাটি বাচ্চাদের জন্য নির্মিত হলেও, এটি প্রাপ্তবয়স্কদের মনেও সমান আবেদন সৃষ্টি করেছে। সত্যজিৎ রায়ের মনোমুগ্ধকর সঙ্গীত এবং রূপকথার মতো বিশেষ প্রভাবগুলি সিনেমাটিকে একটি সময়োত্তীর্ণ ক্লাসিক করে তুলেছে।
মনপুরা (২০০৯) – IMDb রেটিং ৮.৭/১০
গিয়াসউদ্দিন সেলিম পরিচালিত ‘মনপুরা’ একটি বাংলাদেশী রোমান্টিক ট্র্যাজেডি সিনেমা, যা গ্রামীণ বাংলাদেশের পটভূমিতে নির্মিত। সিনেমাটি শোনাই (চঞ্চল চৌধুরী) এবং জেলে পরিবারের মেয়ে পরী (ফারহানা মিলি) এর প্রেমের গল্প বলে।
সিনেমাটি গ্রামীণ জীবনের সরলতা, প্রেমের শক্তি, এবং সামাজিক বাধাগুলির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটি আবেগময় চিত্র তুলে ধরে। চঞ্চল চৌধুরী, ফারহানা মিলি, মামুনুর রশীদ এবং ফজলুর রহমান বাবুর অভিনয় সিনেমাটিকে একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতায় পরিণত করেছে।
অজ্ঞাতনামা/দ্য আননেমড (২০১৬) – IMDb রেটিং ৯.০/১০
তৌকির আহমেদ পরিচালিত ‘অজ্ঞাতনামা’ (দ্য আননেমড) একটি বাংলাদেশী সিনেমা যা আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারের কঠিন বাস্তবতাকে তুলে ধরে। সিনেমায় একটি মৃতদেহের ভুল পরিচয়ের মাধ্যমে অভিবাসী শ্রমিকদের জীবনের করুণ দিকগুলি উন্মোচিত হয়।
ফিল্মটি দেখায় কীভাবে আসিরুদ্দিন প্রামাণিক একটি ভুয়া পাসপোর্ট নিয়ে আজমানে যায়, এবং একটি মারাত্মক ঘটনায় মৃত্যুর পর তার পরিচয় নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। সিনেমাটি ৮৯তম অস্কার পুরস্কারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সেরা বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে মনোনীত হয়েছিল।
মিরর গেম (২০১৬) – IMDb রেটিং ৮.৯/১০
বিজিত শর্মা পরিচালিত ‘মিরর গেম’ একটি মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলার সিনেমা। সিনেমাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জয় ভার্মা (পরবীন দাবাস) এর গল্প বলে, যিনি ভেঙে পড়া বিবাহ এবং ব্যর্থ ক্যারিয়ার থেকে মুক্তির পথ খোঁজেন।
একজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী ছাত্র রনি, অধ্যাপক ভার্মার কাছে তার থিসিসের জন্য সাহায্য চায়। ভার্মা এই সুযোগ ব্যবহার করে রনিকে একটি প্রস্তাব দেন, যা তার সমস্ত সমস্যা সমাধান করবে বলে তিনি আশা করেন। কিন্তু শীঘ্রই জিনিসগুলি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং অধ্যাপক ভার্মা তার নিজের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করেন।
সমসাময়িক বাংলা সিনেমা: নতুন প্রজন্মের স্বর
দশই জুন (২০২৫) – IMDb রেটিং ৮.৯/১০
‘দশই জুন’ একটি সাম্প্রতিক বাংলা থ্রিলার যা একটি নারী প্রধান চরিত্রের গল্প বলে। সিনেমায় দেখানো হয়, কীভাবে এক মহিলা একদিন তার বাড়িতে একা থাকাকালীন সময়ে, হঠাৎ দরজায় ঘণ্টি বাজে এবং তিনি দরজা খুলে একজন খুনিকে প্রবেশ করতে দেখেন, যে আশ্রয় চায়।
সৌরভ দাস, সৌমিত্রিশা কুন্ডু, কৌশিক সেন, এবং ঋষভ চক্রবর্তীর অভিনয়ে সিনেমাটি দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা ও উদ্বেগ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।
নন্দিনী (২০২৩) – IMDb রেটিং ৯.০/১০
‘নন্দিনী’ একটি রহস্যময় টিভি সিরিজ যা একজন গর্ভবতী মা এবং তার জন্ম নেওয়া সন্তানের গল্প বলে। সিরিজে স্নিগ্ধার (ঋতব্রতী চক্রবর্তী) গল্প দেখানো হয়, যিনি তার গর্ভের সন্তানের জটিল অবস্থার কথা জেনে মানসিক যন্ত্রণায় ভোগেন।
পরিবারের সবাই যখন খুশিতে আত্মহারা হয় যে পরিবারের বংশধর আসতে চলেছে, তখন স্নিগ্ধার বিশ্ব ভেঙে পড়ে যখন তার ডাক্তার জানান যে তার গর্ভে থাকা শিশু শীঘ্রই মারা যাবে এবং তাকে গর্ভপাত করতে হবে। কিন্তু মাঝরাতে, যখন সবাই ঘুমিয়ে পড়ে, স্নিগ্ধার টেলিফোন বাজে এবং একটি শিশুর কণ্ঠ তাকে বলে, “মা! আমি মরিনি, আমি এখনও বেঁচে আছি!”।
বাংলা সিনেমার দিকনির্দেশনা ও সমৃদ্ধ ঐতিহ্য
বাংলা চলচ্চিত্রের যাত্রা সাতাশি বছর আগে ১৯৫৬ সালে ‘মুখ ও মুখোশ’ সিনেমাটির মাধ্যমে শুরু হয়েছিল, যা IMDb-তে ৮.৪ রেটিং পেয়েছে। আবদুল জব্বার খানের এই সিনেমা বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে। ছবিটিতে একদল ডাকাতের গল্প বলা হয়, যারা একটি আহত শিশুকে খুঁজে পায় এবং তাকে নিজেদের সাথে নিয়ে যায়।
সেই শুরু থেকে বাংলা চলচ্চিত্র অনেক পথ পাড়ি দিয়েছে। বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি, সমাজ ও মানুষের জীবনকে সিনেমায় তুলে ধরার মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্র একটি স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরি করেছে। সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক, মৃণাল সেন, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, তপন সিনহার মতো পরিচালকরা বাংলা সিনেমাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করেছেন।
সমাপনী মন্তব্য: বিশ্ব মানচিত্রে বাংলা চলচ্চিত্রের অবস্থান
IMDb-তে ৮+ রেটিং পাওয়া এই দশটি বাংলা সিনেমা বাংলা চলচ্চিত্রের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং বৈচিত্র্যের প্রমাণ বহন করে। সত্যজিৎ রায়ের ‘অপু ত্রয়ী’ থেকে শুরু করে আধুনিক ‘অজ্ঞাতনামা’ পর্যন্ত, এই সিনেমাগুলি শুধু গল্প বলার মাধ্যম হিসেবেই নয়, সামাজিক দলিল হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ।
আজকের ডিজিটাল যুগে, যখন ওটিটি প্লাটফর্ম এবং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবগুলি বাংলা সিনেমাকে বিশ্বব্যাপী দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে, তখন এই সিনেমাগুলি বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি, এবং শিল্পকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরছে। এই সিনেমাগুলি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, ভাষা ও সাংস্কৃতিক বাধা অতিক্রম করে, বাংলা চলচ্চিত্র বিশ্বব্যাপী মানুষের হৃদয় ছুঁতে সক্ষম।
IMDb-এর কঠোর মূল্যায়নে ৮+ রেটিং অর্জন করা এই সিনেমাগুলি শুধু বাঙালিদের গর্বই নয়, বিশ্ব চলচ্চিত্রের ইতিহাসে বাংলা সিনেমার অবিসংবাদিত অবদানের প্রমাণ। বর্তমান প্রজন্মের চলচ্চিত্র নির্মাতারা এই মহান ঐতিহ্য থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে নতুন সৃষ্টিশীল পথে এগিয়ে যাচ্ছেন, যা নিশ্চিত করছে যে বাংলা চলচ্চিত্রের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল এবং প্রতিশ্রুতিময়।