বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের দৈনন্দিন শারীরিক কার্যকলাপের উপর ভিত্তি করে একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে, যা কিছু চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করেছে। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণায় ৪৬টি দেশের প্রায় ৭ লক্ষ মানুষের স্মার্টফোনের ডেটা বিশ্লেষণ করা হয়েছে, যা দৈনিক পদক্ষেপের সংখ্যা ট্র্যাক করেছে। এই সমীক্ষার ফলাফলগুলো *নেচার* জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী শারীরিক কার্যকলাপের বৈষম্যকে তুলে ধরেছে।
ঘটনার বিবরণ
এই গবেষণায় দেখা গেছে যে কিছু দেশে দৈনিক পদক্ষেপের গড় সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কম, যা তাদের অধিকতর স্থবির জীবনযাত্রার ইঙ্গিত দেয়। তালিকার শীর্ষে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, যেখানে গড়ে প্রতিদিন মাত্র ৩,৫১৩ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। শহুরে জটিলতা এবং সীমিত পায়ে চলার অবকাঠামো ইন্দোনেশিয়ার কম কার্যকলাপের স্তরের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সৌদি আরব দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, যেখানে গড় পদক্ষেপ সংখ্যা ৩,৮০৭। এই দেশের গরম জলবায়ু এবং সাংস্কৃতিক কারণগুলি কম শারীরিক কার্যকলাপের জন্য দায়ী। মালয়েশিয়ায় গড় পদক্ষেপ সংখ্যা ৩,৯৬৩, যেখানে শহরায়ন এবং মোটরযান ব্যবহারের প্রবণতা কম পদক্ষেপের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে[1]।
বিশ্বস্ত সূত্র থেকে উদ্ধৃতি
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুযায়ী, “শহুরে পরিকল্পনা এবং জনস্বাস্থ্য উদ্যোগের উন্নতি ইন্দোনেশিয়ায় হাঁটা এবং শারীরিক কার্যকলাপ বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।” সৌদি আরবের ক্ষেত্রে, “গরম আবহাওয়া এবং সাংস্কৃতিক প্রভাবগুলি কম পদক্ষেপের জন্য দায়ী, এবং জনসচেতনতা প্রচারাভিযান এবং অভ্যন্তরীণ ব্যায়াম সুবিধার উন্নয়ন এই সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ” বলে উল্লেখ করা হয়েছে[1]।
সংশ্লিষ্ট পরিসংখ্যান বা তথ্য
গবেষণায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ফিলিপাইনে গড় পদক্ষেপ সংখ্যা ৪,০০৮, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৪,১০৫, এবং মিশরে ৪,৩১৫। এই দেশগুলির মধ্যে শহরায়ন এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য শারীরিক কার্যকলাপের স্তরের বৈচিত্র্যের জন্য দায়ী[1]।
সম্ভাব্য প্রভাব
শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি হৃদরোগ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, এবং ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা বছরে প্রায় ৫.৩ মিলিয়ন মৃত্যুর জন্য দায়ী, যা ধূমপানের কারণে মৃত্যুর সংখ্যার চেয়ে বেশি। এই গবেষণার ফলাফলগুলো জনস্বাস্থ্য নীতি এবং উদ্যোগের উন্নয়নে সহায়ক হতে পারে, যা মানুষের শারীরিক কার্যকলাপ বাড়াতে সহায়ক হবে।
এই তথ্যগুলো আমাদেরকে শারীরিক কার্যকলাপের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করে এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আরও সক্রিয় থাকার জন্য উৎসাহিত করে।
১. ইন্দোনেশিয়া
২. সৌদি আরব
৩. মালয়েশিয়া
৪. ফিলিপাইন
৫. দক্ষিণ আফ্রিকা
৬. মিশর
৭. গ্রিস
৮. ভারত
৯. তুরস্ক
১০. ব্রাজিল
– গড় পদক্ষেপ: ৪,৪৮৯
কারণ: শহুরে পরিবেশ, নিরাপত্তার অভাবএই তালিকা স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের দৈনন্দিন শারীরিক কার্যকলাপের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন