Unknown Sides of UK PresidentKieran Starmer:যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে লেবার পার্টির ঐতিহাসিক জয়ের পর কিয়ার স্টারমার দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে চলেছেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক তাঁর জীবনের ১০টি উল্লেখযোগ্য দিক:
১. আইনজীবী থেকে রাজনীতিবিদ:
কিয়ার স্টারমার পেশায় একজন বিশিষ্ট আইনজীবী ছিলেন। তিনি ২০০২ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিসের ডিরেক্টর অফ পাবলিক প্রসিকিউশনস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালে তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করেন এবং সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২. শ্রমিক পরিবারের সন্তান:
স্টারমার একটি শ্রমিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা একজন টুলমেকার ছিলেন এবং মা একজন নার্স ছিলেন। তিনি লন্ডনের সাউথগেটে বেড়ে ওঠেন।
৩. শিক্ষাগত যোগ্যতা:
তিনি লিডস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
৪. মানবাধিকার বিষয়ে বিশেষজ্ঞতা:
স্টারমার মানবাধিকার আইনের একজন বিশেষজ্ঞ। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।
Windows 11 Unknown Feature: উইন্ডোজের ১১টি গোপনীয় ফিচার যা আপনার কাজ সহজ করে দেবে
৫. নাইট উপাধি:
২০১৪ সালে তাঁর আইনি কর্মজীবনে অবদানের জন্য তাঁকে নাইট উপাধি প্রদান করা হয়। তিনি ‘সার’ উপাধি ধারণ করেন।
৬. লেবার পার্টির নেতৃত্ব:
২০২০ সালের এপ্রিলে তিনি লেবার পার্টির নেতা নির্বাচিত হন। তিনি দলকে পুনরুজ্জীবিত করতে সক্ষম হন এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় অর্জন করেন।
৭. পারিবারিক জীবন:
স্টারমার বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রী ভিক্টোরিয়া একজন ব্যারিস্টার এবং ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (NHS) কর্মকর্তা।
৮. ব্রেক্সিট অবস্থান:
তিনি ব্রেক্সিটের বিরোধিতা করেছিলেন এবং দ্বিতীয় গণভোটের পক্ষে ছিলেন। তবে পরবর্তীতে তিনি ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন।
৯. পরিবেশ সংরক্ষণে অঙ্গীকার:
স্টারমার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন। তিনি ২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্যকে কার্বন নিরপেক্ষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
১০. সংস্কৃতি ও ক্রীড়া:
স্টারমার একজন উৎসাহী ফুটবল খেলোয়াড় এবং আর্সেনাল ফুটবল ক্লাবের সমর্থক। তিনি গিটার বাজাতে পারেন এবং সঙ্গীতপ্রেমী হিসেবে পরিচিত।
কিয়ার স্টারমারের এই বৈচিত্র্যময় জীবন ও অভিজ্ঞতা তাঁকে যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনে সহায়ক হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তাঁর নেতৃত্বে যুক্তরাজ্য কীভাবে এগিয়ে যায় তা দেখার জন্য সারা বিশ্ব অপেক্ষায় রয়েছে।