High profit hidden businesses in India: ভারতের ছোট ও মাঝারি উদ্যোগপতিরা আজ ডিজিটাল যুগে নতুন নতুন ব্যবসায়িক মডেল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। এই উদ্যোক্তারা খুব কম বিনিয়োগে শুরু করে এখন কোটি কোটি টাকা আয় করছেন। আজকের এই ব্লগ পোস্টে আমরা ভারতের এমন ৫টি সফল ব্যবসা সম্পর্কে জানব যারা সাহসী উদ্যোক্তা মানসিকতা, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের সুবিধা এবং অনন্য ব্যবসায়িক ধারণা নিয়ে বছরে কোটি টাকার বেশি আয় করছে। এসব ব্যবসার গল্প থেকে আমরা জানতে পারব কিভাবে একজন সাধারণ ব্যক্তি অসাধারণ সাফল্য অর্জন করতে পারেন।
দ্য ফ্যাশন ফ্যাক্টরি: কিভাবে একজন CCTV অপারেটর কোটিপতি হলেন
২০১৪ সালে জুবায়ের রহমান তামিলনাড়ুর তিরুপুরে একজন সাধারণ CCTV অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। মাত্র ২১ বছর বয়সে একটি ই-কমার্স কোম্পানির অফিসে CCTV ইনস্টল করতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন কিভাবে কোম্পানিগুলি পণ্য সংগ্রহ করে অনলাইনে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে। এই ধারণাটি তাকে আকৃষ্ট করে কারণ এতে বড় পরিমাণে উৎপাদনে বিনিয়োগ করার প্রয়োজন ছিল না।
তিরুপুর ‘ভারতের নিটওয়্যার রাজধানী’ হিসেবে পরিচিত, যেখানে ভারতের সুতি নিটওয়্যার রপ্তানির ৯০ শতাংশ উৎপাদিত হয়। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে, জুবায়ের ২০১৫ সালে নিজের বাড়ি থেকে মাত্র ১০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করে ‘দ্য ফ্যাশন ফ্যাক্টরি’ নামে একটি ব্যবসা শুরু করেন।
ব্যবসায়িক কৌশল এবং মার্কেট ক্যাপচার
শুরুতে, তিনি ফ্লিপকার্ট এবং আমাজনে পণ্য লিস্টিং করা শুরু করেন। তিনি দেখতে পান যে বাচ্চাদের পোশাক কম্বো প্যাকে (পাঁচ বা ছয়টি ইউনিট একসাথে) বিক্রি করলে সর্বাধিক গ্রাহক আকর্ষণ করা যায়। প্রতিটি প্যাক ৫৫০-৮৮০ টাকার মধ্যে বিক্রি হতো, যা প্রতিটি পোশাককে আলাদাভাবে বিক্রি করার তুলনায় সস্তা ছিল।
“কম্বো প্যাকে বিক্রি করলে প্রতিটি পোশাক আলাদাভাবে বিক্রির তুলনায় সস্তা হতো। প্রতি বিক্রিতে আমি কম লাভ দেখলেও, আমার কম ইউনিট প্রাইস অনেক মনোযোগ আকর্ষণ করল, এবং অর্ডারের সংখ্যা দ্রুত বেড়ে গেল,” তিনি ব্যাখ্যা করেন।
অর্ডার বাড়তে থাকায়, তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে ৩০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করে একটি উৎপাদন ইউনিট প্রতিষ্ঠা করেন। তার কৌশল এতটাই সফল হয় যে বর্তমানে দ্য ফ্যাশন ফ্যাক্টরি প্রতিদিন ২০০-৩০০টি অর্ডার পায়1। এগুলি পূরণ করে, জুবায়েরের কোম্পানি প্রতি মাসে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় করে। “আমরা আমাজনের সাথে একটি একচেটিয়া চুক্তিও করেছি। আমরা প্রতি মাসে মোট ২০-৩০ লক্ষ ইউনিট বিক্রি করি,” তিনি যোগ করেন।
বর্তমান এবং ভবিষ্যত
দ্য ফ্যাশন ফ্যাক্টরি বর্তমানে বার্ষিক ৬.৫ কোটি টাকা রাজস্ব অর্জন করে এবং আগামী বছরে ১২ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
স্টোরি@হোম: হোম ফার্নিশিংয়ে বিপ্লব
অনিত রুংগটা ২০১২ সালে গুজরাটের বড়োদরায় একটি পারিবারিক ব্যবসা হিসেবে স্টোরি@হোম প্রতিষ্ঠা করেন। তার লক্ষ্য ছিল উচ্চ মানের হোম ফার্নিশিং ভারতের সর্বত্র পৌঁছে দেওয়া।
ফিজিক্যাল স্টোর থেকে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে রূপান্তর
শুরুতে কোম্পানির ভৌত দোকান ছিল এবং বিভিন্ন খুচরা অংশীদারদের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করত। যেমন সকল ব্যবসার ক্ষেত্রেই হয়, তাদের ইনভেন্টরি এবং সাপ্লাই চেইন দক্ষতা সম্পর্কিত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ছিল।
“তারপর ই-কমার্স বুম এলো এবং আমরা প্রথম দিকের ব্র্যান্ডগুলির মধ্যে ছিলাম যারা ফ্লিপকার্ট, আমাজন, স্ন্যাপডিল এবং আরও অনেকের সাথে অংশীদারিত্ব করেছিল। আমরা আপগ্রেড করে ভৌত দোকান থেকে বিক্রয়ের জন্য অনলাইন চ্যানেলে স্যুইচ করলাম,” রুংগটা বলেন।
অসাধারণ বৃদ্ধি এবং সাফল্য
প্রতি বছর ১০ লক্ষেরও বেশি নতুন গ্রাহক যোগ হওয়া সহ, ২০১৮ সালে কোম্পানির টার্নওভার প্রায় ৬৫ কোটি টাকা ছিল। এই বছর কোম্পানি ১০০ কোটি টাকা রাজস্বের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
XYXX: পুরুষদের আন্ডারওয়্যারে অভূতপূর্ব বিপ্লব
যোগেশ কাবরা ২০১৭ সালে গুজরাটের সুরাটে XYXX প্রতিষ্ঠা করেন, যা একটি প্রিমিয়াম পুরুষদের আন্ডারওয়্যার এবং লাউঞ্জওয়্যার ব্র্যান্ড, ভারতে আন্ডারওয়্যার সংস্কৃতি পরিবর্তনের লক্ষ্যে।
ব্যবসার পেছনের প্রেরণা
যোগেশ একদিন আন্ডারওয়্যার কিনতে গিয়ে ভালো কোনো কালেকশন না পেয়ে হতাশ হন। সব ব্র্যান্ডের ফ্যাব্রিক কোয়ালিটি একই ছিল এবং তার পছন্দের কিছুই ছিল না। তাই তিনি নিজেই পুরুষদের আন্ডারওয়্যারের ব্যবসা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন।
উচ্চমানের পণ্য এবং বিক্রয় বৃদ্ধি
কোম্পানিটি ৫০ লক্ষ টাকা মূলধন দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বুটস্ট্র্যাপড। বর্তমানে XYXX সুরাটের অফিসে ৪০ জনকে নিয়োগ করেছে।যেহেতু আন্ডারওয়্যার মান এবং আরামের উপর নির্ভর করে, XYXX তার পণ্যগুলির জন্য LenzingMicroModal ফ্যাব্রিক ব্যবহার করে। এটি বিশ্বব্যাপী প্রিমিয়াম আন্ডারওয়্যার ফ্যাব্রিক, যা অস্ট্রিয়ায় বিচউড গাছের শাঁস থেকে নিষ্কাশিত।
লঞ্চের পর, XYXX বিক্রয়ের জন্য আমাজনে নিজেকে তালিকাভুক্ত করে। ভারতীয় আন্ডারওয়্যার শিল্পে বড় ব্র্যান্ডগুলির সাথে প্রতিযোগিতা করে, XYXX, তার USP সহ, শুরু থেকেই অনলাইন বিক্রয় জেনারেট করতে শুরু করে, প্রতি মাসে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করে, ১ কোটি টাকা রাজস্ব উপার্জন করে।
XYXX-এর বিতরণ চ্যানেলগুলি মহারাষ্ট্র, মধ্য প্রদেশ, গুজরাট এবং ছত্তীসগড়ে রয়েছে। আজ পর্যন্ত, ব্র্যান্ডটি তিন লক্ষ গ্রাহক আকর্ষণ করেছে, বার্ষিক ১২ কোটি টাকা টার্নওভার জেনারেট করেছে, এবং আগামী মাসগুলিতে দ্বিগুণ হওয়ার আশা করে।
মাত্র ১০ হাজার টাকায় ২৫টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া: কম পুঁজিতে বড় লাভের সুযোগ
ইক্র্যাফটইন্ডিয়া.কম: রাজস্থানী কারুশিল্পের ডিজিটাল সম্প্রসারণ
জয়পুরে জন্ম ও বেড়ে ওঠা রাহুল জৈন সবসময়ই স্থানীয় কারুশিল্পের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। মনোমুগ্ধকর কাঠপুতুল থেকে শুরু করে অলঙ্কৃত মোচড়ি জুতা, বা রঙিন চুড়ি, রাজস্থানের কারুশিল্প সারা বিশ্বে চাহিদা রয়েছে।
ব্যবসার উৎপত্তি
ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি সম্পন্ন করার পরে, রাহুল যখন মুম্বাইয়ে একটি মলে একজন বন্ধুর জন্য উপহার কিনতে গিয়েছিলেন, তখন রাজস্থানী কারুশিল্পগুলির অত্যধিক দাম দেখে তিনি হতবাক হন।
সেই অভিজ্ঞতা থেকে, রাহুল এক বছর পর নিজের ই-কমার্স কোম্পানি খোলার জন্য অনুপ্রাণিত হন, যাতে শিল্পীদের সাথে সহযোগিতা করে মধ্যস্থতাকারীদের বাদ দিয়ে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি করা যায়।
২০১৪ সালে, রাহুল অঙ্কিত আগরওয়াল এবং পবন গোয়েলের সাথে ২০,০০০ টাকা বুটস্ট্র্যাপড ক্যাপিটাল দিয়ে ইক্র্যাফটইন্ডিয়া.কম সহ-প্রতিষ্ঠা করেন।
উদ্দেশ্য এবং প্রভাব
প্রতিষ্ঠাতারা শিল্প সংরক্ষক এবং শিল্পীদের মধ্যে ব্যবধান দূর করতে এবং শিল্পকে সংগঠিত করতে চেয়েছিলেন, যাতে সাশ্রয়ী মূল্যের শিল্পকর্মের সাথে ব্যবসার বিকাশের সুযোগগুলিকে গতি দেওয়া যায়। কোম্পানির প্রজ্বলিত ইচ্ছা ছিল ভারতীয় শিল্প ও কারুশিল্পের জন্য একটি বিশ্বব্যাপী পৌঁছানো তৈরি করা, এছাড়াও এই কারিগরদের দক্ষতা বিকাশে অবদান রাখা এবং উৎসাহিত করা।
হোম ডেকর থেকে শুরু করে ফার্নিশিং, আসবাবপত্র, পেইন্টিং, কিচেনওয়্যার এবং উপহার, পোর্টালটিতে ৮,০০০-এরও বেশি অনন্য পণ্য রয়েছে।
বৃদ্ধি এবং সাফল্য
যা ২০১৪ সালে একটি ছোট অনলাইন হস্তশিল্প স্টোর হিসেবে শুরু হয়েছিল, যেখানে কোম্পানি প্রায় ২৫০ টাকা দামের কাঠের হাতি শোপিস বিক্রি করত, ইক্র্যাফটইন্ডিয়া.কম, বর্তমানে, ভারতের অন্যতম বৃহত্তম হস্তশিল্প ই-স্টোর এবং ১২ কোটি টাকা টার্নওভার অর্জন করে।
রুবানস এক্সেসরিজ: এক জুয়েলারি ব্র্যান্ডের উত্থান
চিনু কালা ১৫ বছর বয়সে পারিবারিক সমস্যার কারণে মুম্বাইতে তার বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। তিনি নিজের ভরণপোষণের জন্য আট বছরেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন ধরনের চাকরি করেন। ২০০৪ সালে তিনি বেঙ্গালুরুতে বিয়ে করেন। বন্ধুদের অনেক চাপের মধ্যে, তিনি গ্ল্যাডর্যাগস মিসেস ইন্ডিয়া প্যাজেন্ট, ২০০৮-এ অংশগ্রহণ করেন, যেখানে তিনি ফাইনালে পৌঁছান। তারপর তিনি মডেলিং ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করেন, যার পরে তিনি ফন্টে কর্পোরেট সলিউশন্স নিয়ে তার উদ্যোক্তা যাত্রা শুরু করেন, যা কর্পোরেট মার্চেন্ডাইজিং-এ বিশেষজ্ঞ।
একটি সুযোগ চিহ্নিতকরণ
কর্পোরেট মার্চেন্ডাইজিং সেক্টরে থাকাকালীন, চিনু উপলব্ধি করেন যে ভারতীয় জুয়েলারি মার্কেট বিশাল হওয়া সত্ত্বেও, এই শিল্পে একটি বড় ফাঁক রয়েছে, ভোক্তার চাহিদা পূরণের জন্য কোন অনন্য ডিজাইন নেই।
তাই, তিনি ২০১৪ সালে বেঙ্গালুরুর ফিনিক্স মলে ৭০ বর্গফুটের একটি কিয়স্কে ৩ লক্ষ টাকা বুটস্ট্র্যাপড ক্যাপিটাল দিয়ে রুবানস এক্সেসরিজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন।
অনলাইনে পরিবর্তন
চিনু বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ এবং কোচিতে পাঁচটি এক্সক্লুসিভ স্টোর খোলেন1। যাইহোক, শীঘ্রই তিনি উপলব্ধি করেন যে তার কাস্টমার বেস কমে যাচ্ছে। যদিও বিক্রয় কমেনি, তার স্টোরগুলিতে ফুটফল দ্রুত কমছিল।
“আমার প্রায় ৬০ শতাংশ গ্রাহক যারা আমার স্টোরগুলিতে যেতেন তারা অনলাইন শপিং মোডে স্যুইচ করে গেলেন, এটি আরও সুবিধাজনক এবং বাড়ি থেকে বেরোনোর ঝামেলা থেকে তাদের বাঁচায় বলে। এবং এই অভিজ্ঞতার পরে, আমাকে অবিলম্বে অনলাইনে যাওয়ার পদক্ষেপ নিতে হয়েছিল।”
চিনু তার সমস্ত অফলাইন স্টোর বন্ধ করে এবং বিক্রয়ের অনলাইন মোডে স্যুইচ করার কঠিন সিদ্ধান্ত নেন। তিনি ফ্লিপকার্ট, মিন্ত্রা এবং জাবংয়ের মতো বিভিন্ন ই-কমার্স পোর্টালে নিজেকে তালিকাভুক্ত করেন এবং এভাবে তার গ্রাহক বেস পুনরুদ্ধার করেন।
ব্যবসার বর্তমান অবস্থা
বর্তমানে, ব্র্যান্ডটি দৈনিক ১,০০০ অর্ডার পায় এবং তার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যেও তার জুয়েলারি বিক্রি করে। ২০১৬-১৭ সালে, ব্র্যান্ডটি ৫৬ লক্ষ টাকা রাজস্ব লাভ করে। আর্থিক বছর ২০১৯-এ, ব্র্যান্ডের রাজস্ব ১১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে বছর শেষে ৭.৫ কোটি টাকা রাজস্ব অর্জন করে।
ছোট ব্যবসা থেকে কোটি টাকার সাম্রাজ্য: কী শিখলাম
উপরের ৫টি সফল ব্যবসার গল্প থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা নেওয়া যায়:
বাজারের চাহিদা পূরণ করুন: প্রতিটি উদ্যোক্তা বাজারে একটি ফাঁক বা অপূরণীয় চাহিদা চিহ্নিত করেছিলেন এবং সেখানে একটি সমাধান প্রদান করেছেন।
ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের সুবিধা নিন: সকল ব্যবসাই আমাজন, ফ্লিপকার্ট ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহার করে তাদের বিক্রয় বাড়িয়েছে।
অল্প বিনিয়োগ, বড় প্রত্যাবর্তন: অধিকাংশ ব্যবসা খুব কম পুঁজি দিয়ে শুরু করেছিল এবং ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়েছিল।
পরিবর্তনের সাথে অভিযোজিত হোন: রুবানস এক্সেসরিজের মতো ব্যবসা যখন গ্রাহকরা অনলাইনে স্যুইচ করতে শুরু করল, তখন তারাও অভিযোজিত হয়েছিল।
পণ্যের মান অগ্রাধিকার দিন: XYXX-এর মতো কোম্পানিগুলি সর্বোচ্চ মানের উপকরণ ব্যবহার করে তাদের প্রতিযোগীদের থেকে আলাদা হয়েছে।
ভারতের এই ৫টি অজানা ব্যবসার সাফল্যের গল্প আমাদের দেখায় যে সঠিক ধারণা, পরিশ্রম এবং দৃঢ় সংকল্পের সাথে, যে কেউ একটি ছোট ব্যবসা থেকে শুরু করে কোটি টাকার সাম্রাজ্য তৈরি করতে পারে। এই উদ্যোক্তারা প্রমাণ করেছেন যে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম এবং ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল ব্যবহার করে, ভৌগোলিক বাধা অতিক্রম করা এবং সারা দেশে, এমনকি আন্তর্জাতিক বাজারে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব।
আপনি যদি একজন আকাঙ্ক্ষী উদ্যোক্তা হন, তাহলে এই সাফল্যের গল্পগুলি থেকে অনুপ্রেরণা নিন এবং আপনার নিজের ব্যবসায়িক যাত্রা শুরু করুন। মনে রাখবেন, প্রতিটি কোটিপতি একদিন শূন্য থেকে শুরু করেছিলেন। আপনার ধারণা, উদ্ভাবন এবং দৃঢ়তা আপনাকে সেই একই পথে নিয়ে যেতে পারে।