Stress management techniques: আজকালকার যুগে সবাই কেমন যেন একটা তাড়াহুড়োর মধ্যে আছে, তাই না? সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শুধু কাজ আর চিন্তা। অফিসের ডেডলাইন (Deadline), সংসারের ঝামেলা, সব মিলিয়ে জীবনটা একটা দৌড়ের উপর। এই পরিস্থিতিতে একটুখানি মানসিক শান্তি (Mental Peace) খুঁজে বের করাটা খুব দরকার। কারণ মন ভালো না থাকলে শরীরও খারাপ লাগে, আর কোনো কাজেও মন বসানো যায় না। এই ব্লগ পোষ্টে (Blog Post) আমরা ৫টা সহজ অভ্যাসের কথা বলব, যেগুলো আপনাকে একটু হলেও শান্তি এনে দিতে পারে।
প্রকৃতি আমাদের মনকে শান্ত করে, স্ট্রেস (Stress) কমায়। গাছপালা, সবুজ ঘাস, পাখির ডাক – এগুলো দেখলে মন ভালো হয়ে যায়। শহরের ইট-কাঠের জঞ্জালে হাঁপিয়ে উঠলে প্রকৃতির কাছে গেলে শান্তি পাওয়া যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত প্রকৃতির কাছাকাছি থাকে, তাদের ডিপ্রেশন (Depression) কম হয়। শুধু তাই নয়, প্রকৃতির সংস্পর্শে থাকলে আমাদের মনোযোগ বাড়ে এবং সৃজনশীলতাও (Creativity) বৃদ্ধি পায়।
মন খারাপের স্ট্যাটাস: এই অনুভূতিটা যেন মেঘলা দিনের মতো, তাই না?
আসলে, আমরা তো প্রকৃতিরই একটা অংশ। তাই যখন আমরা প্রকৃতি থেকে দূরে থাকি, তখন একটা শূন্যতা অনুভব করি। প্রকৃতির কাছে ফিরে গেলে সেই শূন্যতা পূরণ হয়, মন ভরে যায়।
ডাটা বলছে, একটা স্টাডিতে দেখা গেছে, সপ্তাহে মাত্র ২ ঘণ্টা পার্কে কাটালে মানসিক চাপ অনেক কমে যায়। তার মানে বুঝতেই পারছেন, সামান্য সময় দিলেই কতটা উপকার পাওয়া যেতে পারে।
প্রকৃতির কাছাকাছি থাকার জন্য অনেক উপায় আছে। আপনার জীবনযাত্রার সাথে যেটা সবচেয়ে বেশি মানানসই, সেটাই বেছে নিতে পারেন:
রিয়েল লাইফ উদাহরণ: ঢাকার অনেক মানুষ এখন ছুটির দিনে বোটানিক্যাল গার্ডেন (Botanical Garden) বা কোনো লেকের ধারে ঘুরতে যায়। একটুখানি প্রকৃতির ছোঁয়া পাওয়ার জন্য তারা শহরের বাইরেও ছুটে যায়।
উপকারিতা | কিভাবে সাহায্য করে |
---|---|
মানসিক চাপ কমায় | প্রকৃতির শান্ত পরিবেশ মনকে রিলাক্স (Relax) করে। |
মন ভালো রাখে | সবুজ আর প্রকৃতির সৌন্দর্য মনকে আনন্দ দেয়। |
সৃজনশীলতা বাড়ায় | নতুন আইডিয়া (Idea) আসে যখন মন শান্ত থাকে। |
শারীরিক সুস্থতা বাড়ায় | সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি (Vitamin D) পাওয়া যায়, যা হাড়ের জন্য খুব দরকারি। |
শখ আমাদের মনকে আনন্দ দেয়, কাজের একঘেয়েমি দূর করে। দিনের পর দিন একই কাজ করতে করতে যখন হাঁপিয়ে উঠি, তখন শখের কাজগুলো আমাদের রিফ্রেশ (Refresh) করে তোলে।
গান শোনা, ছবি আঁকা, বই পড়া, বাগান করা – এগুলো সবই শখ হতে পারে। শখের কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। যেটা করতে আপনার ভালো লাগে, সেটাই আপনার শখ।
শখের কাজ করার সময় আমরা নিজেদেরকে প্রকাশ করতে পারি, যা মানসিক শান্তির জন্য খুব দরকারি। এটা অনেকটা থেরাপির (Therapy) মতো কাজ করে।
ব্যস্ত জীবনে শখের জন্য সময় বের করাটা কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়। একটু চেষ্টা করলেই কিছু সময় বের করা যায়:
রিয়েল লাইফ উদাহরণ: অনেকেই এখন অনলাইনে (Online) ছবি আঁকা বা গান শেখার ক্লাস (Class) করে, যা তাদের শখ পূরণ করতে সাহায্য করে। এছাড়া, অনেকে ব্লগিং (Blogging) করে বা ইউটিউবে (YouTube) ভিডিও (Video) বানিয়েও নিজেদের শখ পূরণ করে।
শখ | উপকারিতা |
---|---|
গান শোনা | মন ভালো রাখে, স্ট্রেস (Stress) কমায়। |
ছবি আঁকা | সৃজনশীলতা বাড়ায়, মনকে শান্ত করে। |
বই পড়া | নতুন জ্ঞান অর্জন করা যায়, চিন্তাশক্তি বাড়ে। |
বাগান করা | প্রকৃতির কাছাকাছি থাকা যায়, শারীরিক ব্যায়ামও হয়। |
মননশীলতা মানে বর্তমান মুহূর্তে মনোযোগ দেওয়া। যা ঘটছে, সেটার দিকে খেয়াল রাখা, কোনো রকম বিচার না করে। অতীতের চিন্তা বা ভবিষ্যতের ভাবনা বাদ দিয়ে বর্তমানে বাঁচা।
এটা আপনাকে শান্ত থাকতে এবং স্ট্রেস (Stress) কমাতে সাহায্য করে। যখন আমরা মননশীল হই, তখন আমাদের মন শান্ত থাকে এবং আমরা আরও ভালোভাবে সবকিছু উপলব্ধি করতে পারি।
মননশীলতা হলো একটা মানসিক ব্যায়ামের মতো। নিয়মিত চর্চা করলে এটা আমাদের জীবনের একটা অংশে পরিণত হয়।
মননশীলতা (Mindfulness) চর্চা করার অনেক উপায় আছে। নিচে কয়েকটা সহজ উপায় দেওয়া হলো:
ডাটা: একটা গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত মেডিটেশন (Meditation) করলে দুশ্চিন্তা কমে যায়। শুধু তাই নয়, এটা আমাদের মনোযোগ বাড়াতেও সাহায্য করে।
স্বাস্থ্যকর খাবার আমাদের শরীর ও মনের জন্য খুব জরুরি। আমরা যা খাই, তার সরাসরি প্রভাব আমাদের শরীরের উপর পড়ে। শুধু শরীর নয়, মনের উপরও খাবারের প্রভাব অনেক।
জাঙ্ক ফুড (Junk Food) বা ফাস্ট ফুড (Fast Food) খেলে শরীর খারাপ লাগে, মনও খারাপ থাকে। এগুলো আমাদের শরীরে এনার্জি (Energy) দেয় ঠিকই, কিন্তু তা ক্ষণস্থায়ী।
ফল, সবজি, শস্য – এগুলো আমাদের শরীরকে শক্তি দেয় এবং মনকে শান্ত রাখে। এগুলো আমাদের শরীরে ভিটামিন (Vitamin) ও মিনারেল (Mineral) সরবরাহ করে, যা শরীর ও মনের জন্য খুব দরকারি।
ডাটা: একটা স্টাডিতে দেখা গেছে, যারা স্বাস্থ্যকর খাবার খায়, তাদের ডিপ্রেশন (Depression) হওয়ার সম্ভাবনা কম। স্বাস্থ্যকর খাবার আমাদের মনকে প্রফুল্ল রাখে।
বয়স অনুযায়ী প্রতিদিন কতটা হাঁটা উচিত? জেনে নিন সঠিক নির্দেশিকা
ঘুম আমাদের শরীর ও মনকে বিশ্রাম দেয়। ঘুমের সময় আমাদের শরীর নিজেকে মেরামত করে এবং নতুন দিনের জন্য প্রস্তুত হয়।
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, কাজেও ভুল হয়। ঘুমের অভাব আমাদের মনোযোগ কমিয়ে দেয় এবং সৃজনশীলতা নষ্ট করে।
প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো দরকার। তবে এটা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। কারো কারো জন্য ৬ ঘণ্টা ঘুমই যথেষ্ট, আবার কারো কারো জন্য ৯ ঘণ্টা লাগতে পারে।
তাহলে দেখলেন তো, ব্যস্ত জীবনেও একটু চেষ্টা করলেই মানসিক শান্তি (Mental Peace) পাওয়া যায়। প্রকৃতির কাছাকাছি থাকা, শখের কাজ করা, মননশীলতা (Mindfulness) চর্চা করা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং পর্যাপ্ত ঘুমানো – এই ৫টা অভ্যাস আপনার জীবনকে অনেক সুন্দর করে তুলতে পারে। আজ থেকেই শুরু করুন, দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার মন শান্ত হয়ে আসছে। যদি এই ব্লগ পোষ্ট (Blog Post) ভালো লাগে, তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার (Share) করুন। আর আপনার মতামত কমেন্ট (Comment) করে জানান। আপনার সামান্য চেষ্টা আপনার জীবনকে অনেকখানি পরিবর্তন করে দিতে পারে।
মন্তব্য করুন