Abhishek Banerjee phone number leak? তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জির সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনেকেই উৎসুক। কিন্তু তাঁর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সহজ নয়। তবে চিন্তার কিছু নেই, এই লেখায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে অভিষেক ব্যানার্জির সঙ্গে যোগাযোগ করার বিভিন্ন উপায়।
অভিষেক ব্যানার্জি বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভা সাংসদ এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে দুইবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। সাংসদ হিসেবে তাঁর দিল্লিতে একটি বাসভবন রয়েছে। সেখানে যোগাযোগ করার জন্য দুটি টেলিফোন নম্বর রয়েছে – ০১১২৩৭৯৪৭৩৭ এবং ৯০১৩৮৬৯৫০৯।কলকাতায় অভিষেক ব্যানার্জির নিজস্ব বাড়ি রয়েছে হাজরায়। এছাড়া ক্যামাক স্ট্রিটে তাঁর অফিস রয়েছে। তৃণমূল ভবনেও তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ পাওয়া যায়। নিজের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারেও তিনি নিয়মিত দলীয় বৈঠক করেন এবং এলাকাবাসীদের সমস্যা শোনেন।অভিষেক ব্যানার্জির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হলে (০৩৩) ২৪৫৪২০১০ নম্বরে ফোন করা যেতে পারে। এছাড়াও দুটি মোবাইল নম্বর রয়েছে – ০৯৮৩০৫১০০০০ এবং ০৯৪৩৪১৪৫৩৩৩। এই নম্বরগুলিতে ফোন করে সাধারণ মানুষ তাঁদের সমস্যা বা অভিযোগ জানাতে পারেন। লোকসভার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেও এই তথ্য দেওয়া আছে।
অভিষেক ব্যানার্জি বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা। দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরেই তাঁর স্থান। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে তাঁর জনপ্রিয়তা ক্রমশ বেড়েছে। তবে একই সঙ্গে বিতর্কও কম হয়নি। দলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে প্রায়ই আলোচনা হয়। তৃণমূলে এক ব্যক্তি এক পদের নীতি প্রবর্তনের পিছনেও অভিষেকের ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করা হয়।বর্তমানে অভিষেক ব্যানার্জি জাতীয় রাজনীতিতেও সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছেন। বাংলার বাইরে গোয়া, ত্রিপুরা প্রভৃতি রাজ্যে তৃণমূলের বিস্তার ঘটানোর দায়িত্ব তাঁর উপরই ন্যস্ত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু একই সঙ্গে গরু পাচার মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি তাঁকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
এই নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও সরব হয়েছেন।অভিষেক ব্যানার্জি ১৯৮৭ সালের ৭ নভেম্বর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা অমিত ব্যানার্জি এবং মা লতা ব্যানার্জি। তিনি নবনালন্দা হাই স্কুল এবং এম.পি. বিড়লা ফাউন্ডেশন হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে পড়াশোনা করেন। এরপর দিল্লিতে গিয়ে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট থেকে বিবিএ এবং এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর থেকেই অভিষেক ব্যানার্জির রাজনৈতিক উত্থান শুরু হয়। ২০১৪ সালে তিনি প্রথমবার লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং জয়ী হন। সেই সময় তিনি ছিলেন লোকসভার সবচেয়ে কম বয়সী সাংসদ। ২০১৯ সালেও তিনি ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন। ২০২১ সালে তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে নিযুক্ত করা হয়।
অভিষেক ব্যানার্জি ২০১২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রুজিরা নারুলাকে বিয়ে করেন। তাঁদের একটি মেয়ে ও একটি ছেলে রয়েছে। তিনি মানবাধিকার ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষে সোচ্চার। সমাজে নৈতিক মূল্যবোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি সদা সচেষ্ট। অবসর সময়ে তিনি জীবনী পড়তে, পুরনো হিন্দি গান শুনতে এবং ক্রিকেট, ফুটবল ও স্নুকার খেলতে পছন্দ করেন।অভিষেক ব্যানার্জির সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ২.৩২ কোটি টাকা। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলিতেও বেশ ফলোয়ার রয়েছে। টুইটারে তাঁর হ্যান্ডেল @abhishekaitc, ফেসবুক পেজ AbhishekBanerjeeOfficial এবং ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট @abhishekaitc। এই প্ল্যাটফর্মগুলিতেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা যেতে পারে।
তবে মনে রাখতে হবে, একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে অভিষেক ব্যানার্জির কাছে প্রতিদিন অসংখ্য ফোন কল ও বার্তা আসে। তাই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে গেলে ধৈর্য ধরতে হবে। কোনও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তাঁকে বিরক্ত না করাই ভালো। তাঁর অফিস বা দলীয় কর্মীদের মাধ্যমে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা যেতে পারে। এছাড়া তাঁর জনসভা বা অন্যান্য কর্মসূচিতে যোগ দিয়েও তাঁর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাওয়া যেতে পারে।সর্বশেষে বলা যায়, অভিষেক ব্যানার্জি বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে। তবে একজন জনপ্রতিনিধির ব্যস্ততা ও গোপনীয়তার বিষয়টি মাথায় রেখে যথাযথভাবে যোগাযোগ করাই শ্রেয়।
মন্তব্য করুন