BJP Leader after Narendra Modi: নরেন্দ্র মোদির উত্তরসূরি নিয়ে ভারতের রাজনৈতিক মহলে জোর আলোচনা চলছে। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বে পরিবর্তন আসন্ন বলে মনে করছেন অনেকেই। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো সুনির্দিষ্ট নাম সামনে আসেনি।বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, অমিত শাহ এবং যোগী আদিত্যনাথের নাম সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হচ্ছে মোদির সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে। অমিত শাহ বর্তমানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিজেপির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
অন্যদিকে যোগী আদিত্যনাথ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।তবে দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের মধ্যে নিতিন গড়করি, রাজনাথ সিং এবং পীযূষ গোয়েলের নামও উঠে আসছে। এছাড়া নূপুর শর্মা এবং হিমন্ত বিশ্ব শর্মার মতো তরুণ নেতাদের নামও শোনা যাচ্ছে।রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মোদির চলে যাওয়ার পর বিজেপির ভোট ব্যাংক বজায় রাখা বড় চ্যালেঞ্জ হবে। কারণ গত দুটি নির্বাচনে মোদির ব্যক্তিগত প্রভাব ও জনপ্রিয়তার কারণেই বিজেপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে। তাই তার উত্তরসূরি নির্বাচনে দল খুবই সতর্কতার সাথে সিদ্ধান্ত নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে এখনও পর্যন্ত মোদি নিজে কোনো ইঙ্গিত দেননি যে তিনি ক্ষমতা ছাড়তে যাচ্ছেন। বরং ২০২৪ সালের নির্বাচনেও তিনি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। সুতরাং উত্তরসূরি নিয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।মোদির জনপ্রিয়তা এখনও অটুট রয়েছে। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, ৭০% ভারতীয় মনে করেন মোদিই দেশের জন্য সর্বোত্তম নেতা। তাই আগামী নির্বাচনেও তিনি বিজেপির মুখ হিসেবেই প্রচার চালাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।তবে দীর্ঘমেয়াদে বিজেপিকে অবশ্যই মোদি-উত্তর যুগের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। দলের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব কার হাতে যাবে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
মোদির মতো কোনো শক্তিশালী নেতা পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মোদির পর বিজেপির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে হিন্দুত্ববাদী ইমেজ বজায় রেখে উদারপন্থী ভোটারদেরও আকৃষ্ট করা। কারণ মোদির ব্যক্তিগত আবেদন দুই ধরনের ভোটারদেরই টানতে সক্ষম হয়েছিল। তার উত্তরসূরির ক্ষেত্রে এটি সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।অনেকে মনে করছেন, মোদির পর বিজেপি হয়তো নেতৃত্বের ক্ষেত্রে একটি সমন্বিত মডেল গ্রহণ করতে পারে।
যেখানে একজন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, কিন্তু দলের নীতি নির্ধারণে একাধিক শীর্ষ নেতার ভূমিকা থাকবে। এতে করে কোনো একজন নেতার উপর নির্ভরশীলতা কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।তবে এসব আলোচনা এখনও অনুমানের পর্যায়েই রয়েছে। কারণ মোদি নিজেও এখনও কোনো ইঙ্গিত দেননি যে তিনি ক্ষমতা ছাড়তে যাচ্ছেন। বরং ২০২৪ সালের নির্বাচনেও তিনি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।সুতরাং এখনই উত্তরসূরি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
তবে দীর্ঘমেয়াদে বিজেপিকে অবশ্যই মোদি-উত্তর যুগের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। দলের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব কার হাতে যাবে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। মোদির মতো কোনো শক্তিশালী নেতা পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মোদির পর বিজেপির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে হিন্দুত্ববাদী ইমেজ বজায় রেখে উদারপন্থী ভোটারদেরও আকৃষ্ট করা। কারণ মোদির ব্যক্তিগত আবেদন দুই ধরনের ভোটারদেরই টানতে সক্ষম হয়েছিল। তার উত্তরসূরির ক্ষেত্রে এটি সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
অনেকে মনে করছেন, মোদির পর বিজেপি হয়তো নেতৃত্বের ক্ষেত্রে একটি সমন্বিত মডেল গ্রহণ করতে পারে। যেখানে একজন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, কিন্তু দলের নীতি নির্ধারণে একাধিক শীর্ষ নেতার ভূমিকা থাকবে। এতে করে কোনো একজন নেতার উপর নির্ভরশীলতা কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।বিজেপির ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনা চলছে এমন সময়ে বিরোধী দলগুলোও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। কংগ্রেস সহ ২৬টি বিরোধী দল ইতিমধ্যে INDIA (Indian National Developmental Inclusive Alliance) নামে একটি জোট গঠন করেছে। তারা ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজেপিকে পরাজিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে।
এই পরিস্থিতিতে বিজেপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে মোদির জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করা এবং পরবর্তী সময়ে দলকে শক্তিশালী রাখা। মোদির উত্তরসূরি নির্বাচনের ক্ষেত্রে এসব বিষয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।তবে এখনও পর্যন্ত কোনো সুনির্দিষ্ট নাম সামনে না আসায় বিষয়টি নিয়ে অনুমান ও জল্পনা-কল্পনাই চলছে বেশি। আগামী কয়েক বছরে পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় তার উপর নির্ভর করবে বিজেপির ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব কার হাতে যাবে।