পহেলগাঁওয়ের পরেও! ইসলামাবাদের ত্রাতা নয়াদিল্লি, এক সতর্কবার্তায় রক্ষা পেল দেড় লক্ষ প্রাণ

গতকাল রাত সাড়ে ১০টায় পহেলগাঁও সীমান্তবর্তী এলাকায় পাকিস্তানের পক্ষ থেকে সামরিক ক্রিয়াকলাপের জেরে সঙ্কট সৃষ্টি হলে, নতুন দিল্লি সময়মতো হুঁশিয়ার করে আক্রান্ত সেক্টর থেকে নাগরিকদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন। এই…

Avatar

 

গতকাল রাত সাড়ে ১০টায় পহেলগাঁও সীমান্তবর্তী এলাকায় পাকিস্তানের পক্ষ থেকে সামরিক ক্রিয়াকলাপের জেরে সঙ্কট সৃষ্টি হলে, নতুন দিল্লি সময়মতো হুঁশিয়ার করে আক্রান্ত সেক্টর থেকে নাগরিকদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন। এই সতর্কবার্তা বাস্তবায়নের ফলে প্রায় দেড় লক্ষ লোক দুর্গত এলাকা ত্যাগ করে নিরাপদ আশ্রয়ে স্থানান্তরিত হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে রবিবার রাতে পাকিস্তানের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তীব্র গুলিবর্ষণের খবর পাওয়ার পরেই ভারতের সেনাবাহিনী দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানায়। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরকে অবিলম্বে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়। ভারত-پاکستان উত্তেজনার মাঝেই স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনসাধারণকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিতে বহুমূল্য ভূমিকা রাখে।

দিল্লি নভেম্বরের মাঝামাঝি বর্ধিত উত্তাপকে সামনে রেখে এহেন সামরিক উত্তেজনার পুনরাবৃত্তি রোধে আগেভাগে ইঙ্গিত দিয়েছিল। বিদেশমন্ত্রক থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, “সীমান্তবর্তী এলাকায় অবাঞ্ছিত সংঘাত এড়াতে আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর প্রতি সতর্কবার্তা চালিয়ে যাচ্ছি।” একই সঙ্গে তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে স্থিতিশীলতা রক্ষা করার আহ্বান জানান।

তদন্তে দেখা গেছে পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় মূলত ভূ-স্বত্ব ইস্যু ও সীমা অতিক্রমের অভিযোগ থেকে উত্তেজনা শুরু হয়। সীমান্তের দুই পাশে স্থায়ী বসতি স্থাপন এবং জমি নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে চললেও সাম্প্রতিক সময়ে তা গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছায়। ভারতীয় বিচার বিভাগী ও সশস্ত্র বাহিনী সমস্যা সমাধানে নানামুখী আলোচনার প্রস্তুতি নিয়েছে।

সীমান্ত মোতায়েন বাড়ানোর পাশাপাশি, মানবিক সহায়তা কর্মসূচি চালু করেছে ভারতীয় সরকার। বিগত কয়েক ঘণ্টায় এনডিআরএফ, সিআরপিএফ ও রাজ্য পুলিশের যৌথ টহল নিয়ন্ত্রণে নিরাপদ অভিযান চালিয়ে আহত ও অসহায়দের ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। ইতোমধ্যে প্রায় ৪৫ হাজার লোককে তুমুল বর্ষার আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে।

গত পহেলগাঁও ঘটনাক্রমে উভয় দেশের পর্যাপ্ত সেনা মোতায়েন সত্ত্বেও এই সতর্কবার্তা এবং শীঘ্রই পলমিশন ইস্যুতে শান্তির চেষ্টা বিপর্যস্ত সংঘাত এড়াতে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ ও দেওমুরসুর সীমান্ত পহেলা নভেম্বর থেকেই উত্তেজনা লক্ষ্য করা হচ্ছিল। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, এই সতর্কবার্তায় স্থানীয় মানুষের দ্রুত সাড়া দেয়ার মানসিক প্রস্তুতিও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছে।

পেছনের প্রেক্ষাপটে, ১৯৬৫ ও ১৯৭১ সালের ভারত–পাক যুদ্ধের স্মৃতি এখনও তাজা। তখনও সীমান্ত পাড়ি দেওয়া ও গোলাগুলির ফলে কোটি কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তাই বর্তমান শুভসংহতি রক্ষায় দু’দেশের মধ্যকার শান্তি প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান করছে বিশ্ব সমাজ। ভারতের সচিবালয় আবারো গুরুত্বারোপ করেছে যে, বিবাদ পেক্ষাপটে উভয় পক্ষের সঙ্গে কূটনৈতিক অঙ্গনে প্রসঙ্গ চূড়ান্ত করতে ইচ্ছুক।

সংশ্লিষ্ট পলিটিক্যাল কাউন্সিল ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো চূড়ান্ত উপসংহারে এই সতর্কবার্তাকে প্রশংসা করেছে। তারা জানিয়েছে, সীমান্ত এলাকায় হিংসা ছড়াতে না দিয়ে মানবিক দিকটিকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে। সূত্রের খবর, দ্রুত শান্তি আলোচনা শুরু করার লক্ষ্যে দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসার কথাও ভাবছেন।

শেষপর্যায়ে উল্লেখ্য, ‘ভারত-পাকিস্তান পহেলগাঁও সতর্কবার্তা’ সংক্রান্ত এই ঘটনা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ একটি নজির হয়ে থাকবে, যেখানে সশস্ত্র সংঘাতের বদলে কূটনৈতিক সতর্কবার্তাই জনজীবন রক্ষার মূল হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে।

About Author
Avatar

আন্তর্জাতিক খবরের সর্বশেষ আপডেট, গভীর বিশ্লেষণ এবং বিশ্বের প্রভাবশালী ঘটনাবলীর বিস্তারিত প্রতিবেদন পেতে আমাদের International Desk-এ আসুন। বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ, রাজনৈতিক গতিবিধি, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং সাংস্কৃতিক ঘটনাবলী সম্পর্কে জানতে এই পাতাটি আপনার একমাত্র গন্তব্য।