Anant Ambani illness: ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানির কনিষ্ঠ পুত্র অনন্ত আম্বানির বিয়ে নিয়ে সারা দেশ উৎসবমুখর। কিন্তু এই আনন্দের মাঝেও লুকিয়ে আছে এক করুণ সত্য – অনন্তের দীর্ঘদিনের স্বাস্থ্য সমস্যা। কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া সত্ত্বেও তিনি একটি জটিল রোগের সাথে লড়াই করে চলেছেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক অনন্ত আম্বানির স্বাস্থ্য সংগ্রামের অজানা কাহিনী।
অনন্ত আম্বানির জীবন কখনোই সহজ ছিল না। ছোটবেলা থেকেই তিনি হাঁপানি রোগে আক্রান্ত। এই রোগের কারণে তাঁকে উচ্চ মাত্রায় স্টেরয়েড ওষুধ খেতে হয়। কিন্তু এই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে তাঁর শরীরের ওজন বেড়ে যায়।
২০১৭ সালে এক সাক্ষাৎকারে অনন্তের মা নীতা আম্বানি জানিয়েছিলেন, “অনন্তের তীব্র হাঁপানি ছিল, তাই আমাদের তাকে অনেক স্টেরয়েড দিতে হয়েছিল। সে স্থূলতায় ভুগছে।” স্টেরয়েডের কারণে অনন্তের ওজন এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে একসময় তা ২০৮ কেজি পর্যন্ত পৌঁছে যায়।
তবে ২০১৬ সালে অনন্ত সবাইকে অবাক করে দেন। মাত্র ১৮ মাসে তিনি ১০৮ কেজি ওজন কমান। এই অসাধারণ পরিবর্তনের জন্য তিনি প্রতিদিন ৫-৬ ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রম করতেন। তাঁর রুটিনে ছিল ২১ কিলোমিটার হাঁটা, যোগব্যায়াম, ওজন প্রশিক্ষণ এবং উচ্চ তীব্রতার কার্ডিও ব্যায়াম।
খাদ্যাভ্যাসেও আনেন ব্যাপক পরিবর্তন। চিনি সম্পূর্ণ বর্জন করেন, খান উচ্চ প্রোটিনযুক্ত ও কম কার্বোহাইড্রেটের খাবার। প্রতিদিন মাত্র ১২০০-১৪০০ ক্যালোরি গ্রহণ করতেন। তাঁর খাবারে থাকত সবুজ শাকসবজি, ডাল, অঙ্কুরিত শস্য, পনির ও দুধজাত খাবার। জাঙ্ক ফুড সম্পূর্ণ বাদ দেন।
কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হল, এত পরিশ্রম করেও অনন্ত আবার ওজন বাড়িয়ে ফেলেন। কারণ তাঁর হাঁপানির অবস্থা এতটাই জটিল যে স্টেরয়েড ছাড়া উপায় নেই। অথচ স্টেরয়েড খাওয়ার পাশাপাশি ব্যায়াম করা ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা প্রায় অসম্ভব।
স্টেরয়েড কীভাবে ওজন বাড়ায় তা নিয়ে গবেষণা করেছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের মতে, স্টেরয়েড শরীরের মেটাবলিজম প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। এর ফলে ক্ষুধা বেড়ে যায় এবং দৈনিক ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ বাড়ে। অতিরিক্ত ক্যালোরি শরীরে চর্বি হিসেবে জমা হয়ে ওজন বাড়িয়ে দেয়।
তবে এসব প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অনন্ত হাল ছাড়েননি। তিনি নিজের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে সচেষ্ট। সম্প্রতি জামনগরে অনুষ্ঠিত প্রি-ওয়েডিং সেলিব্রেশনে তিনি নিজের স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আমার জীবন কখনোই গোলাপের শয্যা ছিল না। ছোটবেলা থেকেই আমি নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছি। কিন্তু আমার বাবা-মা কখনোই আমাকে তা অনুভব করতে দেননি। তাঁরা সবসময় আমার পাশে থেকেছেন। তাঁরা আমাকে বিশ্বাস করতে শিখিয়েছেন যে আমি যদি চিন্তা করতে পারি, তাহলে আমি তা করতেও পারব।”
অনন্তের এই কথা শুনে তাঁর বাবা মুকেশ আম্বানির চোখে জল এসে যায়। এই মুহূর্তটি ধরা পড়ে ক্যামেরায়, যা সকলের হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
বর্তমানে অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ের আয়োজন চলছে। ১২ জুলাই মুম্বাইয়ের জিও ওয়ার্ল্ড কনভেনশন সেন্টারে তাঁদের বিয়ে হবে। এরপর ১৩ জুলাই হবে ‘শুভ আশীর্বাদ’ অনুষ্ঠান এবং ১৪ জুলাই ‘মঙ্গল উৎসব’ দিয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।
অনন্ত আম্বানি ছোটবেলা থেকেই গুরুতর হাঁপানি রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এই রোগের চিকিৎসায় তাঁকে উচ্চ মাত্রায় স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ খেতে হতো। স্টেরয়েডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে তাঁর শরীরের ওজন বেড়ে গিয়েছিল।
রিপোর্ট অনুযায়ী, অনন্ত আম্বানির প্রাথমিক ওজন ছিল প্রায় ২০৮ কেজি। এত বেশি ওজন থেকে কমানো নিঃসন্দেহে একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
অনন্ত আম্বানি প্রতিদিন ৫-৬ ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রম করতেন। তাঁর রুটিনে ছিল ২১ কিলোমিটার হাঁটা, যোগব্যায়াম, ওজন প্রশিক্ষণ এবং উচ্চ তীব্রতার কার্ডিও ব্যায়াম।
তিনি তাঁর খাদ্যাভ্যাসে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছিলেন। চিনি সম্পূর্ণ বর্জন করেন, খেতেন উচ্চ প্রোটিনযুক্ত ও কম কার্বোহাইড্রেটের খাবার। প্রতিদিন মাত্র ১২০০-১৪০০ ক্যালোরি গ্রহণ করতেন।
অনন্ত আম্বানি মাত্র ১৮ মাসে ১০৮ কেজি ওজন কমিয়েছিলেন, যা একটি অসাধারণ অর্জন।
শারীরিক পরিশ্রমের পাশাপাশি এই প্রক্রিয়াটি মানসিকভাবেও চ্যালেঞ্জিং ছিল। তাঁকে দৃঢ় মনোবল ও অধ্যবসায় বজায় রাখতে হয়েছিল।
দুঃখজনক ব্যাপার হল, এত পরিশ্রম করেও অনন্ত আবার ওজন বাড়িয়ে ফেলেন। কারণ তাঁর হাঁপানির অবস্থা এতটাই জটিল যে স্টেরয়েড ছাড়া উপায় নেই।
একজন প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য হিসেবে তাঁর ওজন হ্রাস ও বৃদ্ধি নিয়ে সর্বদা সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা ও সমালোচনা হয়, যা মানসিকভাবে চাপের সৃষ্টি করে।
অনন্ত আম্বানির জীবন আমাদের শিখিয়েছে যে টাকা-পয়সা থাকলেই সব সমস্যার সমাধান হয় না। তবে দৃঢ় মনোবল ও পরিবারের সমর্থন থাকলে যে কোনো বাধা অতিক্রম করা সম্ভব। অনন্তের স্বাস্থ্য সংগ্রাম আমাদের অনুপ্রেরণা দেয় যে জীবনের প্রতিকূলতাকে মেনে না নিয়ে তার বিরুদ্ধে লড়াই করে যেতে হয়। আশা করি অনন্ত আগামীতে তাঁর স্বাস্থ্য সমস্যা জয় করতে পারবেন এবং সুস্থ ও সুন্দর জীবন উপভোগ করবেন।
মন্তব্য করুন