Best animal spy dolphin dead mouse cat pigeon: গুপ্তচর হিসেবে বিভিন্ন প্রাণীর ব্যবহার একটি অত্যন্ত রোমাঞ্চকর ও বিস্ময়কর বিষয়। বিশেষ করে শীতল যুদ্ধের সময় থেকেই বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি নানা ধরনের প্রাণীকে গুপ্তচর হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। এর মধ্যে রয়েছে কবুতর, বিড়াল, তিমি, ডলফিন, মরা ইঁদুর এবং এমনকি পোকামাকড়ও। তবে এদের মধ্যে কোন প্রাণীটি সবচেয়ে কার্যকর গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেছে তা জানা যাক।
কবুতর: সবচেয়ে সফল গুপ্তচর প্রাণী
Indian National Fish: ভারতের জাতীয় মাছ নয়, জলজ প্রাণী – জানুন এই প্রাণীর অজানা রহস্য!
তিমি ও ডলফিন: জলের নীচে গুপ্তচরবৃত্তি
সামুদ্রিক প্রাণী যেমন তিমি ও ডলফিনও গুপ্তচর হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। ২০১৯ সালে নরওয়ের উপকূলে “Hvaldimir” নামে একটি বেলুগা তিমি পাওয়া যায় যার গায়ে “Equipment St Petersburg” লেখা একটি হার্নেস লাগানো ছিল। এটি নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা হয়েছিল যে রাশিয়া হয়তো এই তিমিকে গুপ্তচর হিসেবে ব্যবহার করছিল। তবে পরবর্তীতে মেরিন বায়োলজিস্টরা মনে করেছেন যে এটি সম্ভবত থেরাপি তিমি হিসেবে ব্যবহৃত হতো।ডলফিনের ক্ষেত্রেও অনুরূপ ঘটনা ঘটেছে। শীতল যুদ্ধের সময় সোভিয়েত নৌবাহিনী সেভাস্তোপোলের কাছে ডলফিন প্রশিক্ষণের কর্মসূচি চালিয়েছিল। অন্যদিকে মার্কিন নৌবাহিনীও Marine Mammal Program (MMP) এর অধীনে ডলফিনকে পানির নীচে নজরদারি ও তথ্য সংগ্রহের কাজে ব্যবহার করেছে। ১৯৬০ এর দশকে CIA-ও Project OXYGAS নামে একটি কর্মসূচি চালিয়েছিল যেখানে শত্রু জাহাজে বিস্ফোরক লাগানোর জন্য ডলফিন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল।
বিড়াল: অসফল গুপ্তচর প্রাণী
শীতল যুদ্ধের সময় CIA বিড়ালকেও গুপ্তচর হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছিল। “Project Acoustic Kitty” নামে একটি কর্মসূচির মাধ্যমে তারা বিড়ালের শরীরে শ্রবণযন্ত্র ও ট্রান্সমিটার লাগিয়ে গুপ্ত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বিড়ালের অনিয়ন্ত্রিত আচরণের কারণে এই প্রকল্প সফল হয়নি। CIA-এর একটি গোপন দলিলে উল্লেখ করা হয়েছে যে বাস্তব পরিস্থিতিতে এই কৌশল ব্যবহার করা সম্ভব নয়।
মরা ইঁদুর: অস্বাভাবিক গুপ্তচর মাধ্যম
সফলতার ১৫টি অভ্যাস: শীর্ষ ব্যক্তিত্বদের জীবন থেকে শেখার মতো পাঠ