Origin of April Fools’ Day: প্রতি বছর ১ এপ্রিল বিশ্বজুড়ে এপ্রিল ফুল বা ‘বোকা বানানোর দিন’ হিসেবে পালিত হয়। এই দিনে লোকজন একে অপরকে ঠাট্টা-মজা করে, বিভিন্ন কৌশলে বোকা বানায় এবং হাস্যরসাত্মক পরিবেশ তৈরি করে। যদিও বাংলাদেশের মতো দেশগুলিতে এই উৎসব তেমন একটা জনপ্রিয় নয়, তবে পশ্চিমা দেশগুলিতে এপ্রিল ফুল বেশ ঘটা করে পালন করা হয়। কিন্তু কখন, কীভাবে এবং কেন এই দিনটি শুরু হয়েছিল? এপ্রিল ফুল-এর ইতিহাস কি? আসুন জানা যাক এই মজার দিনের নেপথ্যে লুকিয়ে থাকা রহস্যময় কাহিনী।
এপ্রিল ফুল-এর উৎপত্তি ও ইতিহাস
এপ্রিল ফুল-এর সঠিক উৎপত্তি নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে নানা মতপার্থক্য রয়েছে। সবচেয়ে জনপ্রিয় তত্ত্ব অনুসারে, ১৫৮২ সালে ক্যালেন্ডার পরিবর্তনের সময় থেকেই এপ্রিল ফুল-এর উৎপত্তি হয়েছে। তবে এই উৎসবের প্রথম লিখিত উল্লেখ পাওয়া যায় ১৫৬১ সালে ফ্লেমিশ লেখক এডুয়ার্ড দ্য ডেনের একটি কবিতায়, যেখানে তিনি একজন অভিজাত ব্যক্তির কথা লিখেছেন যিনি তার ভৃত্যকে ১ এপ্রিলে বিভিন্ন ‘বোকার কাজ’ করতে পাঠিয়েছিলেন।
ক্যালেন্ডার পরিবর্তনের গল্প
ইতিহাসবিদদের অনেকে বিশ্বাস করেন যে, ১৬ শতকে যখন ইউরোপীয় দেশগুলি জুলিয়ান ক্যালেন্ডার থেকে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে পরিবর্তন করে, তখন থেকেই এপ্রিল ফুল-এর প্রথা শুরু হয়। জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে, বছরের শুরু ছিল মার্চের শেষে বা এপ্রিলের শুরুতে। কিন্তু নতুন গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে বছরের শুরু হয় ১ জানুয়ারি থেকে।
ফ্রান্স ছিল প্রথম দেশ যা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার গ্রহণ করে, ১৫৮২ সালে। যারা পুরাতন ক্যালেন্ডার মেনে চলতে থাকল এবং ১ এপ্রিলকে নতুন বছরের শুরু হিসেবে পালন করতে থাকল, তাদেরকে ‘বোকা’ বলা হতো এবং তাদের নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করা হতো। সেই থেকেই ১ এপ্রিল ‘এপ্রিল ফুলস ডে’ হিসাবে পরিচিতি লাভ করে।
প্রাচীন রোমের ‘হিলারিয়া’ উৎসব
অনেক ইতিহাসবিদ মনে করেন যে এপ্রিল ফুল-এর উৎপত্তি প্রাচীন রোমের ‘হিলারিয়া’ নামক উৎসব থেকে হতে পারে। লাতিন শব্দ ‘হিলারিয়া’ থেকে যার অর্থ ‘আনন্দদায়ক’। এই উৎসব প্রতি বছর মার্চের শেষে পালিত হতো এবং সেখানে লোকেরা বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে অন্যদের সাথে মজা করতো।
হিলারিয়া উৎসবে দেবী সাইবেলের অনুসারীরা এক ধরনের হাস্যোজ্জ্বল আনন্দ উৎসব পালন করতেন। সেই সময় মানুষ বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে অন্যদের সাথে মজা করতো, যা বর্তমান এপ্রিল ফুল-এর অনুরূপ।
চসারের ‘দ্য ক্যান্টারবেরি টেলস’-এর প্রভাব
আরেকটি তত্ত্ব অনুসারে, ব্রিটিশ কবি জিওফ্রে চসারের ‘দ্য ক্যান্টারবেরি টেলস’ (১৩৯২) গ্রন্থের “নান্স প্রিস্টস টেল” অংশে ১ এপ্রিল ও বোকামির মধ্যে একটি সম্পর্ক স্থাপন করা হয়েছে। এই গল্পে একটি গর্বিত মোরগ, চন্তক্লিয়ার, একটি শেয়ালের দ্বারা প্রতারিত হয় “যেহেতু মার্চ শুরু হয়েছে, ত্রিশ দিন এবং দুটি দিন,” অর্থাৎ মার্চ ১ থেকে ৩২তম দিন, যা হল ১ এপ্রিল।
তবে এটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে কারণ গল্পের বর্ণনায় এমন তথ্যও রয়েছে যা ১ এপ্রিলকে নির্দেশ করে না। আধুনিক পণ্ডিতদের বিশ্বাস, পাণ্ডুলিপিতে একটি অনুলিপি ত্রুটি রয়েছে এবং চসার আসলে লিখেছিলেন “Syn March was gon” (যখন মার্চ শেষ হয়েছে)। যদি তাই হয়, তবে গল্পটি মার্চের পরে ৩২ দিন, অর্থাৎ ২ মে’কে বোঝাতো।
বিভিন্ন দেশে এপ্রিল ফুল ডে উদযাপন
এপ্রিল ফুল শুধু একটি নির্দিষ্ট দেশেই নয়, বরং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাবে পালিত হয়। প্রতিটি দেশের নিজস্ব রীতিনীতি ও ঐতিহ্য অনুসারে এপ্রিল ফুল উদযাপন করে।
ফ্রান্সে ‘পোয়াসোঁ দাভ্রিল’ (April Fish)
ফ্রান্সে এপ্রিল ফুল-কে ‘পোয়াসোঁ দাভ্রিল’ (Poisson d’Avril) বা ‘এপ্রিল মাছ’ বলা হয়। ফরাসি শিশুরা কাগজের তৈরি মাছ অন্যদের পিঠে লুকিয়ে লাগিয়ে দেয়, যাতে তারা বুঝতে না পারে। এটি সম্ভবত একটি ছোট মাছকে নির্দেশ করে যা সহজেই ধরা পড়ে, বোকা বানানোর প্রতীক হিসেবে।
১৫০৮ সালে ফরাসি কবি এলয় দ্যামেরভাল ‘পোয়াসোঁ দাভ্রিল’ শব্দটি ব্যবহার করেন, যা সম্ভবত ফ্রান্সে এই উৎসবের প্রথম উল্লেখ।
স্কটল্যান্ডে দুই দিনের উৎসব
স্কটল্যান্ডে এপ্রিল ফুল দুই দিন ধরে পালিত হয়, ১ এবং ২ এপ্রিল। প্রথম দিনকে ‘গোকি ডে’ (Gowkie Day) বা ‘হান্ট দ্য গোক’ (Hunt the Gowk) বলা হয়, যেখানে ‘গোক’ (cuckoo) শব্দটি বোকার প্রতীক। দ্বিতীয় দিনকে বলা হয় ‘টেইলি ডে’ (Tailie Day), যেখানে লোকেরা বন্ধুদের পিঠে “আমাকে লাথি মারো” (kick me) লেখা কাগজ লাগিয়ে দেয়।
অন্যান্য দেশের অনন্য উদযাপন পদ্ধতি
ভারতে হোলি উৎসব, যা রঙের উৎসব হিসেবে পরিচিত, সেটিও ১ এপ্রিলের কাছাকাছি সময়ে পালিত হয় এবং সেখানেও লোকেরা একে অপরের সাথে ঠাট্টা ও মজা করে।
ইরানে, পারস্য নববর্ষের ১৩তম দিনে এপ্রিল ফুল-এর মতো উৎসব পালিত হয়, যা সাধারণত ১ এপ্রিলের কাছাকাছি সময়ে পড়ে।
স্পেনিশ-ভাষী দেশগুলিতে এবং ফিলিপাইনে, “Día de los Santos Inocentes” (হোলি ইনোসেন্টস ডে) নামে একটি উৎসব রয়েছে যা এপ্রিল ফুল-এর সাথে খুব মিল, তবে ডিসেম্বরের শেষে (২৭, ২৮ বা ২৯ তারিখে) পালিত হয়।
তুরস্কেও এপ্রিল ফুল-এর রীতি রয়েছে। সেখানে প্র্যাঙ্ক প্রকাশ করা হয় “বির নিসান! / নিসান বির!” (১ এপ্রিল!) চিৎকার করে।
ইউক্রেনের ওডেসা শহরে এপ্রিল ফুল “হুমোরিনা” (Humorina) নামে বিশেষভাবে পালিত হয়, যা ১৯৭৩ সালে শুরু হয়। এই উৎসবে শহরের কেন্দ্রে বৃহৎ শোভাযাত্রা, বিনামূল্যে কনসার্ট, স্ট্রিট ফেয়ার ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত থাকে।
ঐতিহাসিক বিখ্যাত এপ্রিল ফুল প্র্যাঙ্ক
এপ্রিল ফুল-এর ইতিহাসে কিছু বিখ্যাত প্র্যাঙ্ক (মজার) ঘটনা রয়েছে, যা সময়ের সাথে সাথে কিংবদন্তিতে পরিণত হয়েছে। এই প্র্যাঙ্কগুলি এপ্রিল ফুল-এর জনপ্রিয়তা বাড়াতে সাহায্য করেছে।
১৬৯৮ সালের টাওয়ার অব লন্ডন প্র্যাঙ্ক
এপ্রিল ফুল-এর ইতিহাসে প্রথম লিখিত প্র্যাঙ্ক ঘটে ১৬৯৮ সালে। সেবার ১ এপ্রিল ইংল্যান্ডের টাওয়ার অব লন্ডনে “ওয়াশিং দ্যা লায়ন্স” (সিংহদের গোসল করানো) অনুষ্ঠান দেখানোর নামে টিকিট বিক্রি করা হয়। হাজারো দর্শক নির্দিষ্ট সময়ে সেখানে জড়ো হয় কিন্তু দেখে যে সেখানে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন নেই। এভাবে সেদিন হাজারো মানুষকে বোকা বানানো হয়।
১৬৮৬ সালে ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ জন অবরে এপ্রিল ফুল-কে “ফুলস হোলি ডে” বলে উল্লেখ করেন, যা ব্রিটেনে প্রথম উল্লেখ।
১৯৫৭ সালের বিবিসির স্প্যাগেটি গাছের প্র্যাঙ্ক
এপ্রিল ফুল-এর ইতিহাসে সবচেয়ে বিখ্যাত প্র্যাঙ্ক হিসেবে বিবেচিত হয় ১৯৫৭ সালে বিবিসির একটি প্রতিবেদন। বিবিসির প্যানোরামা অনুষ্ঠানে দেখানো হয় যে সুইজারল্যান্ডে শীতের পর স্প্যাগেটির ফলন হয়েছে। ভিডিওতে দেখানো হয় গাছ থেকে নুডলসের মতো স্প্যাগেটি ঝুলছে, আর কৃষকরা সেগুলো সংগ্রহ করছে।
অনেকে মনে করেন, এপ্রিল ফুল উপলক্ষে মানুষকে বোকা বানাতে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এটিই প্রথম কোনো অনুষ্ঠান।
আধুনিক সময়ের উল্লেখযোগ্য প্র্যাঙ্ক
বর্তমান সময়ে বিভিন্ন মিডিয়া, কোম্পানি এবং ব্যক্তিরা এপ্রিল ফুল উপলক্ষে নানা ধরনের প্র্যাঙ্ক করে থাকে। ২০১৭ সালে মিলওয়াকি কাউন্টি ট্রানজিট সিস্টেম একটি প্র্যাঙ্ক হিসেবে গ্রাহকদের মিলওয়াকি থেকে জাপান পর্যন্ত রাউন্ডট্রিপ বাস সার্ভিস দেওয়ার ঘোষণা করে।
বর্তমানে অনেক সংবাদমাধ্যম ১ এপ্রিলে ফলাও করে ভুয়া ও ভুল সংবাদ প্রকাশ করে। পরদিন অবশ্য সেগুলোর সংশোধনী দিয়ে জানিয়ে দেয় যে খবরটি আসলে এপ্রিল ফুল ছিল।
এপ্রিল ফুল ডে সম্পর্কিত ভ্রান্ত ধারণা
এপ্রিল ফুল-এর উৎপত্তি নিয়ে অনেক ভ্রান্ত ধারণা ও মিথ প্রচলিত আছে, যা ঐতিহাসিকভাবে সত্য নয়। এই ভুল ধারণাগুলির মধ্যে কিছু বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
মুসলমানদের সাথে সম্পর্কিত ভুল তথ্য
বাংলাদেশে একটি প্রচলিত ধারণা রয়েছে যে এপ্রিল ফুল-এর সাথে মুসলমানদের বোকা বানানোর ইতিহাস জড়িয়ে আছে। অনেকে মনে করেন ১৫ শতকের শেষে স্পেনে রাজা ফার্দিনান্দ ও রাণী ইসাবেলা মুসলিম শাসনের অবসান ঘটান। তারা স্পেনের গ্রানাডায় হামলা করে অসংখ্য মুসলিমকে মসজিদে আটকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারেন, আর সেই দিনটি ছিল ১ এপ্রিল।
কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, এর কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই।
নোয়ার জাহাজ ও পায়রার গল্প
১৮৯৫ সালের ‘দ্য কমপ্লিট কমপেন্ডিয়াম অব ইউনিভার্সাল নলেজ’-এ লেখক উইলিয়াম র্যালস্টন বাল্চ লিখেছেন যে এপ্রিল ফুল-এর উৎপত্তি বাইবেলের নোয়ার জাহাজের গল্প থেকে হতে পারে।
এই তত্ত্ব অনুসারে, নোয়া জলপ্লাবনের সময় পায়রাকে জাহাজ থেকে পাঠিয়েছিলেন জল কমেছে কিনা তা দেখতে, কিন্তু তখনও জল কমেনি। এই ঘটনাটি ঘটেছিল হিব্রু ক্যালেন্ডারের প্রথম মাসের প্রথম দিনে, যা ১ এপ্রিলের সাথে মেলে। এই ঘটনার স্মৃতিতে, যারা এই উল্লেখযোগ্য ঘটনা ভুলে যায়, তাদের শাস্তি দেওয়া হতো এপ্রিল ফুল-এর মাধ্যমে।
তবে এই তত্ত্বেরও কোনো ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই।
আবহাওয়া পরিবর্তন ও বোকা বানানোর গল্প
আরেকটি তত্ত্ব অনুসারে, এপ্রিল ফুল-এর উৎপত্তি ‘ভারনাল ইকুইনক্স’ থেকে হতে পারে – অর্থাৎ যেদিন পৃথিবীর দিন ও রাত সমান হয় (সাধারণত মার্চের ২০-২১ তারিখে)। উত্তর গোলার্ধে এটি বসন্তের আগমন হিসেবে দেখা হয়।
এই সময়ে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটে এবং তা আগে থেকে অনুমান করা যায় না। অর্থাৎ আবহাওয়া মানুষকে বোকা বানায়। এই থেকেই এপ্রিল ফুল-এর উৎপত্তি হতে পারে বলে অনেক ইতিহাসবিদ মনে করেন।
এপ্রিল ফুল ডে’র আধুনিক প্রাসঙ্গিকতা
বর্তমান সময়ে এপ্রিল ফুল ডে’র চরিত্র অনেকটাই পরিবর্তিত হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি, সামাজিক মাধ্যম ও ইন্টারনেটের কারণে এর উদযাপন পদ্ধতিতেও পরিবর্তন এসেছে।
সামাজিক মাধ্যমে এপ্রিল ফুল
বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমে এপ্রিল ফুল উদযাপন করা হয় অনলাইন প্র্যাঙ্ক, ভাইরাল হোক্স (মিথ্যা খবর) এবং কৃত্রিম ঘোষণার মাধ্যমে। বিভিন্ন ব্র্যান্ড, সংবাদমাধ্যম এবং সেলিব্রিটিরা ১ এপ্রিলে তাদের অনুসরণকারীদের বোকা বানাতে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট করে থাকেন।
২০০৭ সাল থেকে এপ্রিল ফুল সংক্রান্ত সার্চ গুগল ট্রেন্ডে বেশি দেখা যায়, সম্ভবত সামাজিক মাধ্যমের উত্থানের কারণে।
বর্তমান সময়ে এই উৎসবের জনপ্রিয়তা
তবে, ২০২২ সালের একটি জরিপে দেখা গেছে যে আমেরিকানদের কাছে এপ্রিল ফুল ১৬তম সবচেয়ে জনপ্রিয় ছুটির দিন হিসেবে স্থান পেয়েছে। এর জনপ্রিয়তা ক্রমশ কমছে বলে মনে করেন অনেকে।
২০১৬ সালের আমেরিকান রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এবং তার পরবর্তী সময়ে বেশ কিছু সাংস্কৃতিক প্রবণতা দেখা যায়, যা এপ্রিল ফুল-এর ধারণাকে প্রভাবিত করেছে।
একটি মডেল অনুসারে, বিশ্বব্যাপী এপ্রিল ফুল-এ প্রায় ৬৭৮,৯০০ থেকে ১১৩,১৬০,০০০ প্র্যাঙ্ক হয়ে থাকে। এটি বিশ্বজুড়ে যথেষ্ট পরিমাণে মজা ও হাসির ইঙ্গিত দেয়।
ফুলদানির ফুল তাজা রাখার ১১টি অব্যর্থ উপায় – বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
এপ্রিল ফুল একটি অদ্ভুত দিন, যেখানে মানুষ হাসি-ঠাট্টা, মজা ও প্র্যাঙ্কের মাধ্যমে একে অপরকে বোকা বানায়। এর নির্দিষ্ট উৎপত্তি সম্পর্কে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও, এটি শতাব্দী ধরে বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হয়ে আসছে।
সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য তত্ত্ব অনুসারে, ১৬ শতকে ক্যালেন্ডার পরিবর্তনের সময় থেকেই এপ্রিল ফুল-এর উৎপত্তি হয়েছে এবং ফ্রান্সে এর প্রথম উদযাপন শুরু হয়। যদিও এপ্রিল ফুল-এর সাথে মুসলমানদের ট্র্যাজেডির কোনো সংযোগ নেই, প্রাচীন রোমের হিলারিয়া উৎসবের সাথে এর মিল খুঁজে পাওয়া যায়।এপ্রিল ফুল আজও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রীতি অনুসারে পালিত হয়। আধুনিক সময়ে, ডিজিটাল মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উত্থানের সাথে এপ্রিল ফুল উদযাপনের ধরণও পরিবর্তিত হয়েছে।যাই হোক, এপ্রিল ফুল-এর মূল উদ্দেশ্য একই রয়ে গেছে – হাসি, আনন্দ ও মজার মাধ্যমে সবাইকে একটি দিন মনোরঞ্জন করা। তাই সাবধানে থাকুন, আপনাকে যেন কেউ এপ্রিল ফুল-এর দিন বোকা না বানিয়ে দিতে পারে!