বাংলাদেশে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের খবর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু এই আন্দোলনে পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তাদের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি অনেকটাই অজানা রয়ে গেছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই অজানা কাহিনী।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশের উচ্চ আদালত সরকারি চাকরিতে স্বাধীনতা যোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য ৩০% কোটা পুনর্বহাল করেন। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলন ক্রমশ হিংসাত্মক রূপ নেয়।
আন্দোলনকারীদের সাথে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। তবে নিহতদের সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন সূত্রে ভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে।
১৮ জুলাই ঢাকায় সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। এদিন আন্দোলনকারীরা বাংলাদেশ টেলিভিশনের সদর দফতরে আগুন লাগিয়ে দেয়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।রাজধানীর উত্তরা এলাকায় পুলিশের একটি চেকপোস্টে হামলা চালানো হয়। এতে ৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হন।চট্টগ্রামে আন্দোলনকারীদের সাথে সংঘর্ষে ১ জন পুলিশ সদস্য নিহত হন।
বিষয় | সংখ্যা |
---|---|
মোট নিহত | ২৫-৩২ জন |
মোট আহত | ২,৫০০+ |
পুলিশ সদস্য আহত | ৩৫০-৪০০ জন |
পুলিশ সদস্য নিহত | ২-৩ জন |
সরকারি কর্মকর্তা আহত | ৫০-৬০ জন |
সরকারি কর্মকর্তা নিহত | ১ জন |
মোতায়েন বিজিবি প্লাটুন | ২২৯ টি |
দুঃখজনকভাবে, কোটা আন্দোলনে আহত ও নিহত হওয়া পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তাদের সংখ্যা সম্পর্কে কোনো নির্দিষ্ট সরকারি তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে:
এই তথ্যগুলো বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। সরকারি পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়নি। আন্দোলনের ব্যাপকতা ও তীব্রতা বিবেচনা করে ধারণা করা হচ্ছে যে, আহত ও নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে:
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সরকার ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে আলোচনার কোনো বিকল্প নেই। উভয় পক্ষকে সহিংসতা পরিহার করে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সরকার ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে আলোচনার কোনো বিকল্প নেই। উভয় পক্ষকে সহিংসতা পরিহার করে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের রায় এই সংকট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।বাংলাদেশের এই সংকট দ্রুত মীমাংসা না হলে দেশের অর্থনীতি ও স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়তে পারে। তাই সকল পক্ষকে সংযম ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে হবে।
মন্তব্য করুন