Bengal Warriorz 2024 team analysis: প্রো কাবাডি লিগের (PKL) ১১তম সিজন শুরু হতে চলেছে। গত সিজনে নিরাশাজনক পারফরম্যান্সের পর বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স এবার নতুন উদ্যমে মাঠে নামতে চলেছে। দলের নতুন কোচ প্রশান্ত সুর্ভের নেতৃত্বে তারা এবার শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে মরিয়া।
আসুন দেখে নেওয়া যাক বেঙ্গল ওয়ারিয়র্সের শক্তি, দুর্বলতা, সুযোগ এবং চ্যালেঞ্জগুলো কী কী।বেঙ্গল ওয়ারিয়র্সের সবচেয়ে বড় শক্তি হল তাদের অভিজ্ঞ ও দক্ষ রেইডার এবং ডিফেন্ডার লাইনআপ। দলের অধিনায়ক মনিন্দর সিং PKL ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেইড পয়েন্ট অর্জনকারী খেলোয়াড়। তিনি এবারও দলের রেইডিং বিভাগের নেতৃত্ব দেবেন।তাকে সহায়তা করবেন নিতিন কুমার, বিশ্বাস এস, প্রণয় রানে এবং অর্জুন রাঠির মতো প্রতিভাবান রেইডাররা। অর্জুন রাঠি নিলামে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হওয়া ক্যাটাগরি D খেলোয়াড়।ডিফেন্সে রয়েছেন বিশ্বের সেরা ডিফেন্ডারদের একজন ফাজেল আত্রাচালি। তিনি PKL ইতিহাসের সবচেয়ে সফল ডিফেন্ডার।
East Bengal ISL 2024-25: ইস্টবেঙ্গলের হতাশাজনক শুরু, গোয়ার বিপক্ষে হারের পর কোচের বিরুদ্ধে ক্ষোভ
তার সঙ্গে রয়েছেন অভিজ্ঞ নীতেশ কুমার। এই দুই তারকা ডিফেন্ডারের জোড়ি যেকোনো আক্রমণকে রুখে দিতে সক্ষম।তবে দলের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হল অল-রাউন্ডারদের অভাব। অধিকাংশ সফল PKL দলেই কমপক্ষে একজন নির্ভরযোগ্য অল-রাউন্ডার থাকে। কিন্তু বেঙ্গল ওয়ারিয়র্সের স্কোয়াডে এই বিভাগটি দুর্বল।
সাগর কুমার একমাত্র স্বীকৃত অল-রাউন্ডার, কিন্তু তার অভিজ্ঞতা খুবই কম। এটি দলের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।আরেকটি দুর্বলতা হল ফাজেল ও নীতেশের বাইরে ডিফেন্সিভ লাইনআপের গভীরতার অভাব। গত মৌসুমের সেরা ডিফেন্ডার শুভম শিন্ডেকে ছেড়ে দেওয়া ব্যয়বহুল প্রমাণিত হতে পারে। কভার পজিশনে মায়ুর কাদম ও বৈভব গার্জের মতো খেলোয়াড়দের অনেকটা উন্নতি করতে হবে।তবে বেঙ্গল ওয়ারিয়র্সের কাছে বড় সুযোগও রয়েছে। দলে অনেক তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড় রয়েছেন যারা এই সিজনে বড় প্রভাব ফেলতে পারেন।
তাদের মধ্যে রয়েছেন অর্জুন রাঠি, আকাশ পিক্কাড, সুযশ গাইকওয়াড প্রমুখ। এই তরুণরা যদি ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেন তাহলে দলের সাফল্যের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।এছাড়া দলের নতুন কোচ প্রশান্ত সুর্ভে আগে অ্যাসিস্ট্যান্ট কোচ ছিলেন। তিনি দলের খেলোয়াড়দের ভালোভাবে চেনেন। তার সহকারী হিসেবে যুক্ত হয়েছেন প্রাক্তন কাবাডি খেলোয়াড় প্রবীণ যাদব। এই নতুন কোচিং টিম দলকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে।তবে বেঙ্গল ওয়ারিয়র্সের সামনে বড় চ্যালেঞ্জও রয়েছে। দলে অনেক তারকা খেলোয়াড় থাকায় তাদের মধ্যে সমন্বয় স্থাপন করা কঠিন হতে পারে।
সবাই যদি একসঙ্গে কাজ করতে না পারেন তাহলে দলটি লিগের সবচেয়ে অস্থির দলগুলোর একটি হয়ে উঠতে পারে।আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হল মনিন্দর ও ফাজেলের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা। প্রতিপক্ষ দলগুলো এই দুজনকে নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করবে। তাতে বাকি খেলোয়াড়দের ওপর চাপ বাড়বে। তারা সেই চাপ সামলাতে না পারলে দলের পারফরম্যান্স খারাপ হতে পারে।বেঙ্গল ওয়ারিয়র্সের প্রথম ম্যাচ ২০ অক্টোবর হায়দরাবাদে জয়পুর পিঙ্ক প্যান্থার্সের বিপক্ষে। এরপর ২৪ অক্টোবর তারা ইউপি ইয়োদ্ধাসের মুখোমুখি হবে। ২৬ অক্টোবর ইউ মুম্বাই এবং ২৯ অক্টোবর পুনেরি পালটানের বিপক্ষে খেলবে বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স।
বিশ্বাস করতে পারবেন না Netflix কী আনছে আগস্টে ২০২৪ – ওয়েব সিরিজ তালিকাটি দেখুন!
দলের পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড:রেইডার: মনিন্দর সিং, নিতিন কুমার, বিশ্বাস এস, শ্রীকান্ত জাদব, আকাশ পিক্কাড, সুযশ গাইকওয়াড, প্রণয় রানে, অর্জুন রাঠিঅল-রাউন্ডার: সাগর কুমারডিফেন্ডার: ফাজেল আত্রাচালি, নীতেশ কুমার, মায়ুর কাদম, বৈভব গার্জে, আদর্শ কায়াদে, অভিনাশ নাগর, আশিশ সংগার, অমিত মাগরসামগ্রিকভাবে বেঙ্গল ওয়ারিয়র্সের কাছে শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তার জন্য তাদের দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে এবং সুযোগগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। মনিন্দর ও ফাজেলের নেতৃত্বে যুব ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের সমন্বয় ঘটাতে পারলে তারা অবশ্যই শীর্ষ দলগুলোর মধ্যে থাকবে। তবে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে না পারলে মাঝারি সারির দল হিসেবেই থেকে যাবে বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স। সামনের দিনগুলোতে দেখা যাবে তারা কতটা সফল হয়।
মন্তব্য করুন