ভালোবাসা,অ্যাকশনে ভরপুর বাংলা ছবি AK47! ছবির গল্প, শ্যুটিং সব নিয়ে সাক্ষাৎকার দিলেন পরিচালক বিপ্লব কয়াল

Bengali Movie AK47: খুব শীঘ্রই বাংলা ছবির জগতে একটা ধামাকা হতে চলেছে। আগামী ২৭ শে সেপ্টেম্বর রিলিজ হচ্ছে একটি নতুন ছবি ‘AK 47’। ইতিমধ্যেই ছবির ট্রেলার প্রকাশিত হয়ে গেছে আর…

Srijita Chattopadhay

 

Bengali Movie AK47: খুব শীঘ্রই বাংলা ছবির জগতে একটা ধামাকা হতে চলেছে। আগামী ২৭ শে সেপ্টেম্বর রিলিজ হচ্ছে একটি নতুন ছবি ‘AK 47’। ইতিমধ্যেই ছবির ট্রেলার প্রকাশিত হয়ে গেছে আর এই ছবির এক ঝলক দেখেই দর্শক মুগ্ধ হয়ে বলছেন,“বাংলা ছবিতে এরকম ট্রেলার এই প্রথম!” স্বাভাবিক ছবির ট্রেলারে দেখা যাচ্ছে একই সাথে শহর ও গ্রামের গল্প বলছে এই ছবি, তারসাথে রয়েছে ভালোবাসা, অ্যাকশন ও ভরপুর সাসপেন্স! ছবির নায়ক, নায়িকা নবাগত হলেও রজতাভ দত্ত, খরাজ মুখোপাধ্যায়, পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে টলিউডের অনেকেই এই ছবির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হিসেবে রয়েছেন।

এই ছবির মধ্যে একটা আদিবাসী ঘরানা উঠে আসার জন্য এই ছবি দেখে অনেকটা সাউথের রিমেক বলে মনে হলেও এই ছবি কিন্তু সম্পূর্ণ নতুন একটি গল্প, বলা যেতে পারে বাংলা চলচ্চিত্র জগতের ইতিহাসে এরকম সাহসী পদক্ষেপ এই প্রথম। পরিচালক বিপ্লব কয়াল এই ছবি প্রসঙ্গে বলেন, “আজকে বাংলা ছেড়ে আমরা সবাই সাউথের দিকে ঝুঁকে পড়েছি। এই ছবি করতে গিয়ে আমরা যেটা করেছি সেটা হল আমাদের এখানে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর এদিকে যে আদিবাসীগুলি থাকেন তাদের কালচার দেখবেন অনেকটা এই টাইপেরই।

70th National Film Awards 2024: ‘আত্তাম’ সেরা চলচ্চিত্র, ঋষভ শেট্টি সেরা

তাদের কালচারগুলোকে নিয়েই মূলত এই ছবিটা করেছি। প্যারালালভাবে এই ছবিতে দুটো গল্প যাচ্ছে, শহরকেন্দ্রিকতা এবং আদিবাসী সংস্কৃতি দুটোকে মিশিয়ে এই সিনেমাটা বানিয়েছি। আগে আদিবাসীদের নিয়ে ছবি খুব একটা বেশি করা হয়নি, হয়ত ছবির কোন‌ও একটা জায়গায় আদিবাসীদের গান বা নাচ দেখানো হলো কিন্তু আদিবাসীদের নিয়ে পুরো গোটা ছবি এর আগে সেভাবে হয়নি, আমরা কিন্তু আদিবাসীদের সংস্কৃতি, গান, নাচ এই সমস্ত কিছুকে নিয়েই সিনেমাটা করেছি।”

এই সিনেমার নায়ক নবাগত, এই প্রসঙ্গে পরিচালক বিপ্লব বাবু বলেন,“এই সিনেমার যে নায়ক তিনিও কিন্তু একজন নন বেঙ্গলি। কিন্তু তার জন্ম আমাদের কলকাতাতেই সেই কনসেপ্টটা থেকেই কিছু স্টোরি এখানে দেখানো হয়েছে”। এই ছবির ট্রেলার দেখে অনেকেই সাউথের ছবির সাথে মিল খুঁজে পেয়েছেন এই প্রসঙ্গে পরিচালক বলেন,“এখনকার একটা ট্রেন্ড হচ্ছে সবাই কিন্তু সাউথের ছবি দেখতে ভালোবাসে। ছবিটা দেখলে হয়ত মনে হতে পারে সাউথের ছবি কিন্তু আদতে কিন্তু এটি একদমই দক্ষিণের ছবি নয়। আমি দীর্ঘদিন ধরে আদিবাসীদের কালচার ফলো করে তাদের নিয়ে স্টাডি করে চরিত্রের লুকগুলোকেও আদিবাসীদের মতই দেওয়ার চেষ্টা করেছি। বিষ্ণুপুর থেকে দশ কিলোমিটার ভেতরে দিকে গেলেই দেখবেন এরকম আদিবাসী কালচার আছে, এই কালচারটাকেই আমি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি ছবির মধ্যে। তাদের নাচ গান যা কিছু তারা ব্যবহার করে সেগুলোই আমরা ব্যবহার করেছি। সব থেকে বড় কথা হল এই ছবিটা করতে আমাদের দু’বছর সময় লেগেছে কারণ আদিবাসীদের পরনের যে কাপড়, ঝিনুকের যে মালা সেগুলো একটাও কিন্তু আমরা বাইরে থেকে আনায়নি সব আমরা নিজেরা হাতে তৈরি করেছি।”

Japon Kotha Ads
 বিজ্ঞাপন

এই ছবির গল্প প্রসঙ্গে পরিচালক বলেন, “শহর ও গ্রাম মিলিয়ে এই গল্পটা তৈরি হয়েছে আর এটা হচ্ছে ফুল লাভ স্টোরি, তবে এর পাশাপাশি গল্পে অ্যাকশন আছে। অ্যাকশন ও লাভ স্টোরি দুটোকে মিলিয়ে এই ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।”এত নাম থাকতে বন্দুকের নাম দিয়ে ছবি কেন এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিপ্লব বাবু সাফ বলেন,“AK 47 কিন্তু বন্দুক নয়,AK 47 হল একটা শেষ কথা, যার ওপরে আর কেউ যায় না। এই যে ক্ষমতাটা এটা গল্পের নায়কের মধ্যেই আছে, এই ভাবেই গল্পটা সাজানো। তবে বাকিটা বলতে চাইছি না, কারণ সেটা দর্শকদের হলে এসেই দেখতে হবে।”

কমল হাসানের ‘INDIAN 2’: ২৮ বছর পর ফিরে আসা সেনাপতি কি পারলেন দর্শকদের মন জয় করতে?”

এরকম একটি অভিনব গল্প প্রসঙ্গে পরিচালক বিপ্লববাবু আর‌ও বলেন,“এটুকু বলতে পারি, গল্পটা এমনভাবে তৈরি করা যে কেউ এই ছবিটা দেখে এক মুহুর্তের জন্য একঘেয়ে বোধ করবে না। গল্পের মধ্যে সেইসব উপাদান আছে যে দুই ঘন্টা দর্শককে বসিয়ে রাখবে বা গল্পটা দেখেও দর্শক ধরতে পারবেন না এরপরের সিনে কী হতে চলেছে! এতটাই সাসপেন্স রয়েছে গল্পে!”

About Author
Srijita Chattopadhay

সৃজিতা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক। তিনি একজন প্রতিশ্রুতিশীল লেখক এবং সাংবাদিক, যিনি তার লেখা দ্বারা বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির সমৃদ্ধি তুলে ধরতে সদা উদ্যমী। সৃজিতার লেখার ধারা মূলত সাহিত্য, সমাজ এবং সংস্কৃতির বিভিন্ন দিককে ঘিরে আবর্তিত হয়, যেখানে তিনি তার গভীর পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা ও বিশ্লেষণী দক্ষতার পরিচয় দেন। তাঁর নিবন্ধ ও প্রতিবেদনগুলি পাঠকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে, যা তার বস্তুনিষ্ঠতা ও সংবেদনশীলতার পরিচয় বহন করে। সৃজিতা তার কর্মজীবনে ক্রমাগত নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে বদ্ধপরিকর, যা তাকে বাংলা সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।