জোর কদমে সিনেমা হল গুলোতে চলছে মিঠুন চক্রবর্তী , দেবশ্রী রায়, সোহম চক্রবর্তী , সৌরসেনী মৈত্র অভিনীত ছবি শাস্ত্রী। এই ছবির ট্রেলার দেখেই মানুষের মধ্যে শুরু হয়েছে এক অন্য ধরনের উন্মাদনা। ইতিমধ্যেই এই ছবি হলে হলে রিলিজ করে গেছে। প্রচুর মানুষ পুজোর মধ্যে এই ছবি দেখতে ভিড় করছেন সিনেমা হলগুলিতে। সম্প্রতি আমরা কথা বলছিলাম শাস্ত্রীতে অভিনয় করা অভিনেতা অরিজিৎ লাহিড়ীর সাথে। শাস্ত্রীর শুটিং থেকে শুরু করে তার চরিত্র সব নিয়েই কথা হলো দীর্ঘক্ষণ।
১। শাস্ত্রী করতে গিয়ে মজার কিছু অভিজ্ঞতা হল কী?
অরিজিৎ-অভিজ্ঞতা মজার তো আছেই প্রথম দিন প্রথম দৃশ্যর শুটিং ছিল মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে আমি দাঁড়িয়ে আছি ওনার সামনে। উনি আমার থেকে দু ফুট দূরে। ওইরকম একটি ব্যক্তি এত বিশাল কোয়ালিটির সামনে দাঁড়িয়ে আছি, আমি একটু টেনশন করছিলাম, তো উনি আমাকে দেখে হয়ত বুঝতে পেরেছিলেন সেটা। এরপর উনি আমাকে নিজে থেকেই কথা বললেন, মজা করে বললেন, ওরে আমি ভাল্লুক নই, তোকে আমি খাব না, ভালো করে কাজ কর, রিলেক্সে থাক। ওনার মত এত বড় মাপের শিল্পী কি করে আমাদের নতুন অভিনেতাদের সঙ্গে মিশে যেতে পারেন এবং সহজ করে দিতে পারেন ব্যাপারটা সেইদিন আমি বুঝেছিলাম।
Dadasaheb Phalke Award: ৪৮ বছরের অভিনয় যাত্রার স্বীকৃতি: মিঠুন চক্রবর্তীর
২। আপনার অভিনীত চরিত্রটির সাথে বেশিরভাগ সময় কাকে দেখা যাবে মিঠুন চক্রবর্তী না সোহমকে?
অরিজিৎ-আমার সঙ্গে মূলত শুটিং বেশিরভাগটাই ছিল সোহম চক্রবর্তী সঙ্গে। তবে মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গেও দুটো দৃশ্যে আমি আছি।
৩। মিঠুনের সঙ্গে কাজ করা প্রসঙ্গে কী বলবেন?
অরিজিৎ – ওইরকম বড় মাপের মানুষ বড় মাপের শিল্পী এত বছর বয়সে এসে কাজের প্রতি কমিটমেন্ট কাজ করার খিদে দেখে আমি নিজেও খুব অনুপ্রাণিত হয়েছি। প্রচন্ডভাবে টেকনিক্যালি সাউন্ড একজন অভিনেতা ওনার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা আমার সারা জীবনের একটা সঞ্চয় হয়ে থাকবে।
৪। শাস্ত্রীর চরিত্রটা করে আপনার এখন কী অনুভূতি?
অরিজিৎ-আমার চরিত্রের নাম নীল আমি হচ্ছি সোহমদার অভিনীত চরিত্রের সহকর্মী ও জুনিয়র ভাই। খুব অল্প পরিসরেই আমি আছি কিন্তু যতটুকু আছি আমি এনজয় করেছি। আসলে আমার এই কাজটি করার মূলত কারণ ছিল মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে একপর্দায় কাজ করার সুযোগ।
ভালোবাসা,অ্যাকশনে ভরপুর বাংলা ছবি AK47! ছবির গল্প, শ্যুটিং সব নিয়ে সাক্ষাৎকার দিলেন পরিচালক
৫। যদি আপনার কাছে সুযোগ আসে শাস্ত্রীর কোনও একটি চরিত্রের সাথে নিজের চরিত্রের অদলবদল করার তাহলে কোন চরিত্রটি করতে চাইবেন?
অরিজিৎ -এটা বেশ ইন্টারেস্টিং প্রশ্ন। আমার যদি আরেকটু বয়স বাড়তো ৩০ বা ৩২ হত, তাহলে সোহমদার যে চরিত্রটা সৈকত সেটা আমি করতে চাইতাম। এই ছবিতে যে চরিত্রটা শাস্ত্রীর বিপরীতে তৈরি করা হয়েছে,
যে ভন্ড জ্যোতিষীদের মুখোশ নিজের নিউজ চ্যানেলের মাধ্যম দিয়ে খুলছে। আমি অবশ্যই এরকম একটা চরিত্র করতে চাইতাম বা ভবিষ্যতেও কোনও ছবিতে এরকম চরিত্র পেলে নিজের অভিনয় দক্ষতা দেখানোর একটা বিশাল সুযোগ পাওয়া যাবে বলে মনে করি।