Inspiring disabled entrepreneurs Gafur Mollick: রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলার পাঁচুরিয়া ইউনিয়নের খোলাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল গফুর মল্লিক একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী। জন্মের পর থেকেই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও তিনি তাঁর অসাধারণ আত্মসম্মানবোধ এবং কর্মস্পৃহার মাধ্যমে সমাজের সামনে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।গফুর মল্লিক ৭৬ বছর বয়সী একজন বৃদ্ধ, যিনি জন্মের পর থেকেই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। তাঁর পরিবার ছিল অত্যন্ত দরিদ্র, যার কারণে ১৬ বছর বয়সে তাঁর বাবা তাঁকে বাস-ট্রেনে ভিক্ষা করতে বলেছিলেন।
কিন্তু গফুর মল্লিক তাঁর আত্মসম্মানবোধের কারণে ভিক্ষা করতে অস্বীকার করেন এবং নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।গফুর মল্লিক ৬৬ বছর ধরে ট্রেনে ট্রেনে নারকেলের নাড়ু বিক্রি করে তাঁর জীবিকা নির্বাহ করছেন। তিনি প্রতিদিন সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে ট্রেনে উঠেন এবং যাত্রীদের কাছে নারকেলের নাড়ু বিক্রি করেন। এই কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি তাঁর পরিবারের ভরণপোষণ করেন এবং নিজের আত্মসম্মান বজায় রাখেন।গফুর মল্লিকের এই অসাধারণ আত্মসম্মানবোধ এবং কর্মস্পৃহা স্থানীয় প্রশাসন এবং সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তাঁর এই অনন্য উদাহরণ প্রমাণ করে যে, প্রতিবন্ধকতা কখনোই জীবনের পথে বাধা হতে পারে না, যদি মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস এবং কর্মস্পৃহা থাকে।
সফলতার ১৫টি অভ্যাস: শীর্ষ ব্যক্তিত্বদের জীবন থেকে শেখার মতো পাঠ
স্থানীয় এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, “জনাব গফুর মিয়া আমাদের সমাজে একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। তিনি কুটির শিল্পের মাধ্যমে নারিকেলের নাড়ু উৎপাদন করে এবং বিক্রি করে। অন্যের দান গ্রহণ করেন না। অন্যান্যদের মতো ভিক্ষাবৃত্তি করেন না।”গফুর মল্লিকের জীবন থেকে আমরা শিখতে পারি যে, জীবনে যত বড় বাধাই আসুক না কেন, আত্মবিশ্বাস এবং কর্মস্পৃহার মাধ্যমে সেই বাধাকে অতিক্রম করা সম্ভব। তাঁর জীবন আমাদের শেখায় যে, প্রতিবন্ধকতা কখনোই আমাদের স্বপ্ন পূরণের পথে বাধা হতে পারে না।গফুর মল্লিকের এই অসাধারণ জীবন যাত্রা সমাজের অন্যান্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য একটি অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠতে পারে। তাঁর উদাহরণ থেকে অন্যরা শিখতে পারে যে, নিজের উপর বিশ্বাস রাখলে এবং কঠোর পরিশ্রম করলে জীবনে সফলতা অর্জন করা সম্ভব।
গফুর মল্লিকের জীবন কাহিনী আমাদের সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা প্রয়োজন, যাতে তারা সমাজের মূলধারায় যুক্ত হতে পারে এবং তাদের প্রতিভা ও দক্ষতা কাজে লাগাতে পারে।গফুর মল্লিকের মতো ব্যক্তিদের জন্য সরকার এবং বেসরকারি সংস্থাগুলি আরও বেশি সহায়তা প্রদান করতে পারে। যেমন, তাদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, সহজ ঋণ সুবিধা, এবং বাজারজাতকরণের সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে। এর ফলে তারা আরও ভালভাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন এবং সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবেন।গফুর মল্লিকের জীবন কাহিনী আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, প্রতিটি মানুষের মধ্যে অসীম সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে।
আমাদের দায়িত্ব হলো সেই সম্ভাবনাকে উৎসাহিত করা এবং তার বিকাশের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা।গফুর মল্লিকের মতো ব্যক্তিদের জীবন কাহিনী আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে পাঠ্যক্রমের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম আত্মবিশ্বাস, কর্মস্পৃহা এবং আত্মসম্মানের গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পারবে।গফুর মল্লিকের জীবন থেকে আমরা শিখতে পারি যে, জীবনে সফলতা অর্জনের জন্য শুধুমাত্র শারীরিক সক্ষমতা নয়, মানসিক দৃঢ়তা এবং আত্মবিশ্বাসও সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর জীবন আমাদের শেখায় যে, প্রতিকূলতাকে সুযোগে পরিণত করা সম্ভব, যদি আমরা দৃঢ় সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যাই।গফুর মল্লিকের জীবন কাহিনী আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, সমাজের প্রতিটি সদস্যের মূল্য রয়েছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাও সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং তাদের প্রতিভা ও দক্ষতা সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
ঝাড়খন্ডের আদিবাসী কন্যা ঋত্বিকা তিরকি চালাচ্ছেন “Vande Bharat Express” – মহিলা ক্ষমতায়নের এক
গফুর মল্লিকের জীবন থেকে আমরা শিখতে পারি যে, জীবনে সফলতা অর্জনের জন্য বড় বড় সুযোগ বা সুবিধার প্রয়োজন নেই। যা আছে তা দিয়েই শুরু করা যায় এবং ধীরে ধীরে নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করা যায়।গফুর মল্লিকের জীবন কাহিনী আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, প্রতিটি মানুষের মধ্যে একটি অনন্য প্রতিভা লুকিয়ে আছে। আমাদের দায়িত্ব হলো সেই প্রতিভাকে খুঁজে বের করা এবং তার যথাযথ বিকাশের জন্য সহায়তা করা।গফুর মল্লিকের জীবন থেকে আমরা শিখতে পারি যে, জীবনে সফলতা অর্জনের জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা এবং অধ্যবসায় প্রয়োজন। তিনি ৬৬ বছর ধরে একই কাজ করে যাচ্ছেন, যা তাঁর অসাধারণ ধৈর্য এবং দৃঢ়তার পরিচয় বহন করে।গফুর মল্লিকের জীবন কাহিনী আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, সমাজের প্রতি আমাদের একটি দায়িত্ব রয়েছে।
আমরা যদি একে অপরকে সহযোগিতা করি এবং উৎসাহ দিই, তাহলে সমাজের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব।শেষ পর্যন্ত, গফুর মল্লিকের জীবন আমাদের শেখায় যে, জীবনে যত বড় বাধাই আসুক না কেন, আত্মবিশ্বাস, কর্মস্পৃহা এবং দৃঢ় সংকল্পের মাধ্যমে সেই বাধাকে অতিক্রম করা সম্ভব। তাঁর জীবন একটি জ্বলন্ত উদাহরণ যে, প্রতিবন্ধকতা কখনোই আমাদের স্বপ্ন পূরণের পথে বাধা হতে পারে না।