Ishita Ganguly
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২:৫৭ অপরাহ্ণ
অনলাইন সংস্করণ

Brinda Grover: বিলকিস বানো থেকে তিলোত্তমা – বৃন্দা গ্রোভারের হাতে উঠল দুই নৃশংস মামলার বিচার!

Brinda Grover decided to fight for rg kar rape and murder victim family

বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় দোষীদের মুক্তি বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের রায় দেওয়ার পর এবার কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তিলোত্তমা  ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় নির্যাতিতার পরিবারের হয়ে লড়াই করবেন বিশিষ্ট আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার। দুটি মামলাতেই নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তিনি।

বিলকিস বানো মামলায় গুজরাত সরকারের দেওয়া মুক্তির আদেশ বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের রায় দেওয়ার মাত্র কয়েকদিন পরেই বৃন্দা গ্রোভার এবার তিলোত্তমা হত্যা মামলায় নির্যাতিতার পরিবারের হয়ে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সূত্রের খবর, এই মামলায় তিনি কোনও পারিশ্রমিক নেবেন না। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। সেদিনই বৃন্দা গ্রোভার নির্যাতিতার পরিবারের হয়ে শীর্ষ আদালতে সওয়াল করবেন বলে জানা গিয়েছে।

বৃন্দা গ্রোভার একজন বিশিষ্ট মানবাধিকার আইনজীবী এবং নারী অধিকার কর্মী। তিনি বেশ কয়েকটি উচ্চ প্রোফাইল মামলায় পীড়িতদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গার সময় বিলকিস বানোর গণধর্ষণ ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার মামলায় তিনি একজন গুরুত্বপূর্ণ আইনজীবী ছিলেন। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট ১১ জন দোষীর মুক্তি বাতিল করে যে রায় দিয়েছে, সেখানেও তিনি একজন জনস্বার্থ মামলাকারীর প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।

পশ্চিমবঙ্গে Fast Track Court: কেন্দ্রের বরাদ্দ ১২৩টি, চালু মাত্র ৬টি

বিলকিস বানো মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর বৃন্দা গ্রোভার বলেছিলেন, “এটি গুজরাত সরকারের বিরুদ্ধে একটি কঠোর নিন্দা। আদালত স্পষ্টভাবে বলেছে যে আইন পরিষ্কার। উপযুক্ত সরকার হল সেই সরকার যেখানে অভিযুক্তদের বিচার ও সাজা দেওয়া হয়েছিল। আমরা জানি বিলকিস বানোর ক্ষেত্রে এটি ২০০২ সালে গুজরাতে সংঘটিত হিংসা থেকে উদ্ভূত একটি মামলা।”

তিলোত্তমা হত্যা মামলায় এতদিন নির্যাতিতার পরিবারের হয়ে লড়ছিলেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। কিন্তু এবার আইনজীবী বদল করলেন তিলোত্তমার মা-বাবা। এ প্রসঙ্গে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “এই বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। আমার পক্ষে যতটুকু করা সম্ভব ছিল, আমি করেছি। বাকিটা ওঁদের সিদ্ধান্ত। সুপ্রিম কোর্টে নির্যাতিতার হয়ে সওয়াল করার কোনও বিষয়ই নেই।”

বৃন্দা গ্রোভার একাধিক মানবাধিকার ও মহিলা-শিশুদের বিরুদ্ধে হওয়া নির্যাতনের মামলায় লড়েছেন। শিশুদের যৌন হেনস্থা থেকে সুরক্ষা, নির্যাতন প্রতিরোধ বিলের সংশোধনীর খসড়া তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে তাঁর। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্যও ছিলেন তিনি। ১৯৮৭ সালের হাসিমপুরা পুলিশ হত্যা মামলা থেকে শুরু করে ২০০৪ সালের ইসরাত জাহান মামলা, ২০০৮ কন্ধমালে খ্রিস্টান বিরোধী দাঙ্গার মামলাতেও লড়েছেন তিনি।

তিলোত্তমা  হত্যা মামলার ঘটনা:

গত ৯ আগস্ট ২০২৪ তারিখে কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৩১ বছর বয়সী একজন মহিলা পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেনি ডাক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়। তার দেহ ক্যাম্পাসের একটি সেমিনার রুমে পাওয়া যায়। পরের দিন ১০ আগস্ট, কলকাতা পুলিশের একজন ৩৩ বছর বয়সী পুরুষ সিভিক ভলান্টিয়ারকে এই অপরাধের সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনা ভারতে মহিলা ও চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে বিতর্ক বাড়িয়েছে এবং ব্যাপক ক্ষোভ, দেশব্যাপী ও আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ এবং সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

ঘটনার দিন রাতে তিলোত্তমা তার সহকর্মীদের সঙ্গে খাবার খেয়ে হাসপাতালে ৩৬ ঘণ্টার শিফট শেষে একটি সেমিনার হলে বিশ্রাম নিতে গিয়েছিলেন। পরের দিন সকাল ৯:৩০ নাগাদ সেমিনার হলে তার অর্ধ-উলঙ্গ দেহ পাওয়া যায়, যার চোখ, মুখ ও যৌনাঙ্গ থেকে রক্তপাত হচ্ছিল। পরে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রথমে তার পরিবারকে জানিয়েছিল যে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

৯ আগস্ট একটি ময়নাতদন্ত করা হয় এবং তার পর একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা নথিভুক্ত করা হয়। তদন্তের পর পুলিশ একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে, যিনি কলকাতা পুলিশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বাহিনীর একজন সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। তিনি মেডিকেল কলেজের কাছে পুলিশ ফাঁড়িতে নিযুক্ত ছিলেন। তাকে একজন নারীলোলুপ ও পারিবারিক নির্যাতনকারী হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের মতে, তিনি প্রাথমিকভাবে অপরাধ স্বীকার করেছিলেন।

স্বাধীন বাংলাদেশ ! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যুবককে খাইয়ে-দাইয়ে পিটিয়ে হত্যা

সিবিআই-এর অনুরোধে দিল্লির সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (সিএফএসএল) অভিযুক্তের একটি সাইকো-অ্যানালাইসিস টেস্ট পরিচালনা করে। অফিসাররা পিটিআই-কে জানিয়েছেন যে “ঘটনাটি বর্ণনা করার সময় সে কোনও অনুশোচনা দেখায়নি এবং অবিচলিত ছিল”। ২৩ আগস্ট তাকে ১৪ দিনের জন্য বিচারিক হেফাজতে পাঠানো হয়।

একটি বিশেষ সিবিআই আদালত সংস্থাকে অভিযুক্ত এবং কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষের পলিগ্রাফ টেস্ট করার অনুমতি দিয়েছিল। অভিযুক্তের পলিগ্রাফ অপরাধের রাতের ঘটনা বর্ণনার ক্ষেত্রে বেশ কিছু অসঙ্গতি প্রকাশ করেছে। সিবিআই ২৫ আগস্ট সন্দীপ কুমার ঘোষ এবং প্রাক্তন মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট ও কলেজের উপাধ্যক্ষ সঞ্জয় বশিষ্ঠের বাড়িতে হানা দেয় এবং বেশ কিছু নথি জব্দ করে। এছাড়াও হাসপাতাল প্রশাসনের আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করে। পরে, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) হাসপাতাল প্রশাসনের আর্থিক অনিয়ম নিয়ে তদন্ত শুরু করে।

১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ, কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং তালা থানার স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) অভিজিত মণ্ডলকে আটক করা হয়। ঘোষকে প্রথম তথ্য রিপোর্ট (এফআইআর) দাখিল করতে দেরি করা এবং মামলার গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ ভুলভাবে পরিচালনা করার জন্য দায়ী করা হয়েছে।

এসএইচও মণ্ডলকে প্রাথমিক তদন্তে অবহেলা এবং প্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। উভয়কেই পরে জামিন দেওয়া হয়।

এই মামলায় বৃন্দা গ্রোভারের যোগদান নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তিনি বলেছেন, “আমি এই মামলায় যোগ দিয়েছি কারণ এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা যা নারী নিরাপত্তা এবং কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের অধিকারের প্রশ্ন তুলেছে। আমরা চাই যে এই মামলার সুষ্ঠু বিচার হোক এবং দোষীরা উপযুক্ত শাস্তি পায়।”

বৃন্দা গ্রোভারের যোগদানের পর থেকে এই মামলা নতুন গতি পেয়েছে। তিনি ইতিমধ্যেই মামলার নথিপত্র খতিয়ে দেখা শুরু করেছেন এবং আগামী শুনানিতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলবেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি বলেছেন, “আমরা চাই যে এই মামলার তদন্ত নিরপেক্ষভাবে হোক। কোনও রাজনৈতিক প্রভাব যেন তদন্তকে প্রভাবিত না করে।”

তিলোত্তমা পরিবার বৃন্দা গ্রোভারের যোগদানে আশাবাদী। তিলোত্তমার বাবা বলেছেন, “আমরা আশা করছি যে বৃন্দা গ্রোভারের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা এই মামলায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করবে। আমরা চাই যে আমাদের মেয়ের হত্যাকারীরা কঠোর শাস্তি পায়।”

এই মামলায় বৃন্দা গ্রোভারের যোগদান শুধু আইনি লড়াইয়ের জন্য নয়, বরং এটি নারী নিরাপত্তা এবং কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের অধিকার নিয়ে একটি বৃহত্তর আলোচনা শুরু করেছে। তিনি বলেছেন, “আমাদের সমাজে মহিলাদের নিরাপত্তা এবং সম্মান নিশ্চিত করার জন্য আরও অনেক কিছু করতে হবে। এই মামলা শুধু একটি ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি নয়, এটি আমাদের সমাজের একটি গভীর সমস্যার প্রতিফলন।”

বৃন্দা গ্রোভারের মতে, এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করতে হলে আইনি ব্যবস্থার পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। তিনি বলেন, “আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় লিঙ্গ সমতা এবং নারীর প্রতি সম্মান শেখানো উচিত। কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কঠোর নীতি প্রয়োজন।”

তিলোত্তমা হত্যা মামলায় বৃন্দা গ্রোভারের যোগদান শুধু একটি আইনি লড়াই নয়, এটি নারী অধিকার এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য একটি বৃহত্তর আন্দোলনের অংশ। তার অভিজ্ঞতা এবং প্রতিশ্রুতি এই মামলায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বৃন্দা গ্রোভারের কর্মজীবন:

বৃন্দা গ্রোভার তার কর্মজীবনে বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলায় লড়েছেন। তিনি শুধু আইনজীবী নন, একজন সক্রিয় মানবাধিকার কর্মীও। তার কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ:

১. বিলকিস বানো মামলা: ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গার সময় বিলকিস বানোর গণধর্ষণ ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার মামলায় তিনি একজন গুরুত্বপূর্ণ আইনজীবী ছিলেন।

২. ইসরাত জাহান মামলা: ২০০৪ সালে গুজরাতে পুলিশের হাতে নিহত ইসরাত জাহানের পরিবারের হয়ে লড়েছেন তিনি।

৩. হাসিমপুরা পুলিশ হত্যা মামলা: ১৯৮৭ সালে উত্তর প্রদেশের হাসিমপুরায় পুলিশের হাতে ৪২ জন মুসলিম যুবকের হত্যার মামলায় নির্যাতিতদের পরিবারের হয়ে লড়েছেন।

৪. কন্ধমাল দাঙ্গা মামলা: ২০০৮ সালে ওড়িশার কন্ধমালে খ্রিস্টান বিরোধী দাঙ্গার মামলায় নির্যাতিতদের পক্ষে লড়েছেন।

৫. শিশু যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ: শিশুদের যৌন হেনস্থা থেকে সুরক্ষা, নির্যাতন প্রতিরোধ বিলের সংশোধনীর খসড়া তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন।

বৃন্দা গ্রোভার শুধু আদালতে লড়াই করেন না, তিনি সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নীতি নির্ধারণেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মঞ্চে নারী অধিকার, শিশু অধিকার এবং মানবাধিকার নিয়ে বক্তব্য রাখেন। তার মতে, “আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি সামাজিক পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা, সংস্কৃতি এবং সামাজিক মূল্যবোধে পরিবর্তন আনতে হবে।”

তিলোত্তমা হত্যা মামলায় বৃন্দা গ্রোভারের যোগদান শুধু একটি মামলার জন্য নয়, এটি নারী নিরাপত্তা এবং কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের অধিকার নিয়ে একটি বৃহত্তর আন্দোলনের সূচনা। তার অভিজ্ঞতা এবং প্রতিশ্রুতি এই মামলায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সমাজে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সম্ভাব্য প্রভাব:

১. আইনি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা: বৃন্দা গ্রোভারের যোগদান মামলার তদন্ত প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আনতে পারে। তার অভিজ্ঞতা এবং খ্যাতি নিশ্চিত করবে যে মামলাটি সঠিকভাবে পরিচালিত হয়।

২. জনসচেতনতা বৃদ্ধি: এই মামলা নিয়ে বৃন্দা গ্রোভারের সক্রিয়তা নারী নিরাপত্তা এবং কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের অধিকার সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

৩. নীতিগত পরিবর্তন: মামলার ফলাফল এবং বৃন্দা গ্রোভারের মতামত কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নীতি পরিবর্তনে প্রভাব ফেলতে পারে।

৪. আইনি সংস্কার: এই মামলা থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে নারী নিরাপত্তা সংক্রান্ত আইন সংস্কারে ব্যবহৃত হতে পারে।

৫. সামাজিক পরিবর্তন: বৃন্দা গ্রোভারের কার্যক্রম শুধু আইনি ক্ষেত্রে নয়, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনেও সাহায্য করতে পারে।

বৃন্দা গ্রোভারের মতো একজন বিশিষ্ট আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মীর যোগদান তিলোত্তমা  হত্যা মামলায় একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তার অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং প্রতিশ্রুতি শুধু এই মামলায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করবে না, একই সঙ্গে নারী নিরাপত্তা এবং কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের অধিকার নিয়ে একটি বৃহত্তর আলোচনা শুরু করবে। এই মামলা শুধু একটি ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি নয়, এটি আমাদের সমাজের একটি গভীর সমস্যার প্রতিফলন। আশা করা যায়, এই মামলার মাধ্যমে শুধু তিলোত্তমা পরিবার ন্যায়বিচার পাবে না, একই সঙ্গে আমাদের সমাজে নারী নিরাপত্তা ও সম্মান নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ধর্মের পথে গীতার আলো: জীবনবোধের অমৃত বাণী

ইলেকট্রিক গাড়ির চার্জ নিয়ে দুশ্চিন্তার দিন শেষ! ব্রিটিশ ফার্মের সঙ্গে হাত মেলাতে চলেছে CESC

রাজনীতির মাঠ থেকে ওটিটি পর্দায়: সিপিএম নেত্রী দীপ্সিতা ধর এখন ‘জিদ্দি গার্লস’-এর বিদ্রোহী চরিত্রে!

ভারতে খুচরা মুদ্রাস্ফীতি ৩.৬১ শতাংশে নেমেছে: সবজির দাম কমায় জনগণের স্বস্তি

রেশন কার্ডে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করার প্রস্তাব: কেন্দ্রের পথে রাজ্যের সমর্থন!

আইপিএলের ছক্কার রাজা কে? টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দেখে নিন শীর্ষ দশের তালিকা

মাহমুদউল্লাহর ক্রিকেট যাত্রার ইতি: আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিদায়ের ঘোষণা

অষ্টম বেতন কমিশন: সরকারি কর্মচারীদের জন্য সাত বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম ডিএ বৃদ্ধির সম্ভাবনা, হতাশার ছায়া!

ভারতের মাটিতে গোয়েন্দা বিশ্বের মহাজমায়েত: দোভালের নেতৃত্বে দিল্লিতে বৈঠক!

আলো কম? WhatsApp ভিডিও কলে যা করবেন, চমকে যাবেন!

১০

রবিবার থেকে চার জেলায় তাপপ্রবাহের দাপট, কবে মিলবে স্বস্তি

১১

বিশ্ব মঞ্চে ভারতের শিক্ষার জয়যাত্রা: বাংলার প্রতিষ্ঠান কোথায় দাঁড়িয়ে?

১২

ফেসবুক পোস্ট লুকান: নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে রাখার কৌশল!

১৩

চন্দননগরে ফরাসি শাসনমুক্তির ৭৫ বছর: হেরিটেজ রিসার্চ সেন্টারের যাত্রা শুরু

১৪

জিমেইলে ই-মেইল শিডিউল: গোপন ট্রিকটি জেনে নিন!

১৫

৫০ টি দোলের শুভেচ্ছা, প্রিয়জনের সাথে উৎসব আরো রঙিন হোক

১৬

স্মার্টফোন থেকে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ সরাবেন যেভাবে

১৭

ওভার থিংকিং ধরা পরে যে সাতটি আচরণে

১৮

ইউনুসের ‘নতুন’ বাংলাদেশে ধর্ষণের ঊর্ধ্বগতি: রাজপথে প্রতিবাদের ঝড় ছাত্রদের

১৯

ভারতে ইন্টারনেট বিপ্লবের নতুন দিগন্ত: স্টারলিঙ্কের সঙ্গে এয়ারটেলের ঐতিহাসিক চুক্তি

২০
close