আমাদের এমন কিছু ভাই-বোন রয়েছে যাদের গাড়িতে বিশেষ করে বাসে উঠলেই বমি হয়, মাথা ঘোড়ে, পেট গোলায়। তাদের জন্যই আজকের এই লেখা। আজ আমরা আপনাদের সঙ্গে এমন একটি কারন এবং তার প্রতিকার শেয়ার করে নেবো যা খেয়াল রাখলে আপনারা এই বমি হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন। চলুন তবে শুরু করা যাক।
বমি হবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে কারনটি চিকিৎসা বিজ্ঞানে রয়েছে সেটি হলো Motion sickness এর বাংলা মানে হলো গতিজনিত অসুস্থতা, এই মোশন সিকনেস টা কি সেটা আগে জেনে নিই। আমাদের কানের তিনটি অংশ থাকে বহিঃকর্ণ, মধ্য কর্ণ ও অন্তঃকর্ণ। এই অন্তঃকর্ণের কাজ হলো আমাদের শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করা, অর্থাৎ আমরা কি অবস্থায় আছি, আমরা হাঁটছি না বসে আছি না চলছি সেই বার্তা মস্তিষ্কে পাঠানো।
এবার আমরা যখন গাড়িতে উঠি তখন আমাদের অন্তঃকর্ণ আমাদের মস্তিষ্ককে জানায় যে আমরা গতিশীল অবস্থায় আছি কিন্তু আমাদের চোখ তখন অন্য কিছু দেখে যেমন চোখ দেখে আমাদের চারিপাশে যে সমস্ত মানুষ বসে আছে সবাই স্থির হয়ে বসে আছে কাউকে দেখে মনে হচ্ছে না সে গতিশীল এবং সে এই বার্তা মস্তিকে পাঠায়, এই জাগাতেই ঘটে সমস্যা। এখানে অন্তঃকর্ণের পাঠানো বার্তা অনুযায়ী আপনি গতিশীল আবার চোখের পাঠানো বার্তা অনুযায়ী আপনি স্থির। যখন একই সময় আপনার মাথায় দু’ধরনের বার্তা পৌঁছায়।
তখন আপনার মাথা কনফিউজ হয়ে যায় এবং এই কনফিউজের ফলে আপনার শরীরের অবনতি হয় এবং আপনার মাথা ঘোড়া, বমি, পেট ঘাটার মতো সমস্যার সৃষ্টি হয়। একেই মোশন সিকনেস বলে।
এর থেকে বাঁচার উপায় কি? বাঁচার উপায় খুব সহজ আপনি বাসে উঠলে জানালার পাশে বসুন এবং বাইরের বিভিন্ন জিনিস দেখুন। এতে আপনার চোখও গতিশীল অবস্থায় থাকবে। চোখ এবং কান দুটোই একই সিগন্যাল মাথায় পৌঁছাবে। এর ফলে বমির হাত থেকে আপনি বেঁচে যেতে পারেন।
নাহলে গাড়িতে ওঠার আদঘন্টা আগে একটি বমির ওষুধ খেয়ে নিন ঝামালা শেষ।
মোশন সিকনেস কিন্তু সকল মানুষের হয় না খুব কম % মানুষের মধ্যে এই সমস্যা দেখা দেয়। আপনি যদি অনবরত গাড়ি ঘোড়া চড়তে থাকেন তবুও এই সমস্যার চিরকালীন সমাধান হতে পারে।
মন্তব্য করুন