Menstrual irregularities reasons: মাসিক ঋতুচক্র নারী শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সাধারণত প্রতি ২৮ দিন অন্তর মাসিক হয়ে থাকে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে নির্দিষ্ট তারিখে মাসিক হচ্ছে না বা অনিয়মিত হচ্ছে। এটি অনেক নারীর জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ মাসিক অনিয়মিত হওয়ার পিছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে।গবেষণায় দেখা গেছে, প্রজননক্ষম বয়সী নারীদের মধ্যে প্রায় ১৪-২৫% নারীর মাসিক অনিয়মিত হয়ে থাকে। এর অর্থ হল প্রতি ৪-৫ জন নারীর মধ্যে ১ জনের মাসিক অনিয়মিত। তাই এটি একটি সাধারণ সমস্যা।মাসিক অনিয়মিত হওয়ার পিছনে যেসব কারণ থাকতে পারে:
১. হরমোনাল পরিবর্তন:
শরীরে estrogen ও progesterone হরমোনের ভারসাম্যহীনতা মাসিক অনিয়মিত করতে পারে। বিশেষ করে কিশোরী বা menopause-এর সময় এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।
২. গর্ভাবস্থা:
গর্ভাবস্থার প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই মাসিক না হলে pregnancy test করা উচিত।
৩. জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি:
বিভিন্ন ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল বা ডিভাইস ব্যবহারের ফলে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।
হার্ট ব্লক: আপনার হৃদয় কি বিপদে? জানুন সতর্ক সংকেত ও প্রতিকার।
৪. স্ট্রেস:
মানসিক চাপ বা উদ্বেগ শরীরের হরমোন ব্যালান্স নষ্ট করে মাসিক অনিয়মিত করতে পারে।
৫. ওজন পরিবর্তন:
খুব দ্রুত ওজন কমা বা বাড়া মাসিক চক্রকে প্রভাবিত করতে পারে।
৬. অতিরিক্ত ব্যায়াম:
কঠোর শারীরিক পরিশ্রম বা অতিরিক্ত ব্যায়াম করলে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।৭. থাইরয়েড সমস্যা: হাইপোথাইরয়েডিজম বা হাইপারথাইরয়েডিজম মাসিক অনিয়মিত করতে পারে।
৮. পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS):
PCOS থাকলে ovulation ঠিকমত না হওয়ায় মাসিক অনিয়মিত হয়।
৯. এন্ডোমেট্রিওসিস:
জরায়ুর টিস্যু অন্য জায়গায় বেড়ে গেলে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।
১০. ডায়াবেটিস:
অনিয়ন্ত্রিত রক্তে শর্করার মাত্রা মাসিক চক্রকে প্রভাবিত করতে পারে।এছাড়াও বিভিন্ন ওষুধ, ক্যান্সার, পেলভিক ইনফ্লামেটরি ডিজিজ ইত্যাদি কারণেও মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।
LIC এজেন্টদের মাসিক আয়: কোথায় সবচেয়ে বেশি, কোথায় সবচেয়ে কম?
মাসিক অনিয়মিত হলে কী করবেন:
• মাসিকের তারিখ ও প্রবাহের পরিমাণ লিখে রাখুন
• স্বাস্থ্যকর খাবার খান ও নিয়মিত ব্যায়াম করুন
• স্ট্রেস কমানোর চেষ্টা করুন
• প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
বিশেষজ্ঞরা বলেন, মাসিক ২১-৩৫ দিনের মধ্যে হলে তা স্বাভাবিক। তবে ৩ মাস বা তার বেশি সময় ধরে মাসিক না হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ দীর্ঘদিন মাসিক না হলে তা হাড়ের ক্ষয়, হৃদরোগ ইত্যাদি সমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।মনে রাখবেন, প্রত্যেক নারীর শরীর আলাদা। তাই কারও সাথে নিজের তুলনা না করে নিজের শরীরের দিকে মনোযোগ দিন। সুস্থ জীবনযাপন ও নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে মাসিক নিয়মিত রাখতে পারেন।