How to handle a dishonored check: চেক ডিজঅনার বা চেক বাউন্স বাংলাদেশে একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্টস অ্যাক্ট, ১৮৮১ এর ১৩৮ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই আইনের আওতায় চেক প্রদানকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে পারে। তবে সতর্কতা অবলম্বন করে এই ধরনের মামলা এড়ানো সম্ভব।
চেক ডিজঅনার হল এমন একটি পরিস্থিতি যেখানে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অন্য কাউকে চেক প্রদান করে, কিন্তু সেই চেক ব্যাংকে জমা দেওয়ার পর অপর্যাপ্ত তহবিল বা অন্য কোনো কারণে তা অকার্যকর হয়ে যায়। এটি আইনগতভাবে একটি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।
প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বিদায়: পশ্চিমবঙ্গের ৫টি গুরুত্বপূর্ণ মামলা এখনও অমীমাংসিত – কী হবে এর
চেক ডিজঅনার বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সাধারণত নিম্নলিখিত কারণগুলোর জন্য চেক ডিজঅনার হয়ে থাকে:
চেক ডিজঅনার হলে আইনগত প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই প্রক্রিয়ার ধাপগুলো নিম্নরূপ:
নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্টস অ্যাক্ট, ১৮৮১ এর ১৩৮ ধারা অনুযায়ী চেক ডিজঅনার মামলায় শাস্তির বিধান রয়েছে। এই শাস্তির বিষয়গুলো নিম্নরূপ:
শাস্তির ধরন | বিবরণ |
---|---|
কারাদণ্ড | সর্বোচ্চ ১ বছর পর্যন্ত |
জরিমানা | চেকের অঙ্কের তিন গুণ পর্যন্ত |
উভয় শাস্তি | কারাদণ্ড ও জরিমানা উভয়ই প্রযোজ্য হতে পারে |
চেক ডিজঅনার মামলা এড়াতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে:
যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার মামলা দায়ের করা হয়, তাহলে নিম্নলিখিত প্রতিরক্ষা কৌশল গ্রহণ করা যেতে পারে:
চেক ডিজঅনার মামলা শুধু আইনি জটিলতাই নয়, এর ব্যাপক সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাবও রয়েছে। এর ফলে:
বাংলাদেশে চেক ডিজঅনার মামলার সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৪ সালের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী:
বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট চেক ডিজঅনার মামলা সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল:
মোবাইল নম্বর দিয়ে রেশন কার্ড চেক: এক ক্লিকে জেনে নিন আপনার খাদ্য সুরক্ষার অধিকার!
বাংলাদেশ সরকার চেক ডিজঅনার মামলা কমানোর জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে:
চেক ডিজঅনার মামলা বাংলাদেশের আর্থিক ব্যবস্থার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এটি শুধু আইনি সমস্যাই নয়, বরং সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাবও ফেলে। তাই এই ধরনের মামলা এড়াতে সকলকে সচেতন থাকতে হবে। চেক প্রদানের সময় যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করলে এবং আইনি বিধান সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে অনেকাংশে এই সমস্যা এড়ানো সম্ভব। পাশাপাশি, সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত এই বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও আইনি কাঠামো শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া।
মন্তব্য করুন