চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ২০২৫: আপনার যাত্রার নির্ভরযোগ্য সঙ্গী

Chitra Express train schedule 2025: বাংলাদেশের রেলপথে চিত্রা এক্সপ্রেস একটি জনপ্রিয় ইন্টারসিটি ট্রেন যা ঢাকা থেকে খুলনা পর্যন্ত চলাচল করে। ২০২৫ সালের জন্য এই ট্রেনের নতুন সময়সূচী প্রকাশিত হয়েছে, যা…

Manoshi Das

 

Chitra Express train schedule 2025: বাংলাদেশের রেলপথে চিত্রা এক্সপ্রেস একটি জনপ্রিয় ইন্টারসিটি ট্রেন যা ঢাকা থেকে খুলনা পর্যন্ত চলাচল করে। ২০২৫ সালের জন্য এই ট্রেনের নতুন সময়সূচী প্রকাশিত হয়েছে, যা যাত্রীদের জন্য আরও সুবিধাজনক ও নির্ভরযোগ্য পরিবহন সেবা নিশ্চিত করবে। চিত্রা এক্সপ্রেস প্রতিদিন ঢাকা থেকে রাত ৭টায় ছেড়ে পরের দিন ভোর ৩:৪০ মিনিটে খুলনায় পৌঁছায়। আবার খুলনা থেকে সকাল ৯টায় ছেড়ে বিকেল ৫:৫৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছায়।

চিত্রা এক্সপ্রেসের ইতিহাস ও বৈশিষ্ট্য

চিত্রা এক্সপ্রেস ২০০৭ সালের ৭ অক্টোবর থেকে তার যাত্রা শুরু করে। এই ট্রেনটি নড়াইলের চিত্রা নদীর নামে নামকরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল এই ট্রেন পরিচালনা করে। চিত্রা এক্সপ্রেস ৪১২.৪ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে ঢাকা থেকে খুলনা পৌঁছায়। এই রুটে ট্রেনটি বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু অতিক্রম করে।চিত্রা এক্সপ্রেসে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের আসন ব্যবস্থা:

  • এসি স্লিপার
  • এসি চেয়ার
  • নন-এসি চেয়ার

এছাড়াও যাত্রীদের জন্য রয়েছে খাবারের সুবিধা এবং বিনোদনের ব্যবস্থা।

বন্দে ভারত Kolkata: কলকাতা থেকে দ্রুতগামী যাত্রার স্বাদ নিন, জেনে নিন

চিত্রা এক্সপ্রেসের বিস্তারিত সময়সূচী

চিত্রা এক্সপ্রেস সপ্তাহে ৬ দিন চলাচল করে। সোমবার এই ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি। নিচে ২০২৫ সালের জন্য চিত্রা এক্সপ্রেসের বিস্তারিত সময়সূচী দেওয়া হলো:

স্টেশন আপ সময় (৭৬৪) ডাউন সময় (৭৬৩)
কমলাপুর রাত ০৭:০০ সন্ধ্যা ০৫:৫৫
বিমানবন্দর রাত ০৭:৩২ বিকেল ০৫:২৫
জয়দেবপুর রাত ০৭:৫৮ বিকেল ০৫:০১
টাঙ্গাইল রাত ০৯:০০ বিকেল ০৪:০৯
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রাত ০৯:২৫ বিকেল ০৩:৪৭
শহীদ এম. মনসুর আলী রাত ০৯:৫৩ দুপুর ০২:৫২
উল্লাপাড়া রাত ১০:১২ দুপুর ০২:৩৩
বড়াল ব্রিজ রাত ১০:৩১ দুপুর ০২:১২
চাটমোহর রাত ১০:৪৭ দুপুর ০১:৫৬
ঈশ্বরদী রাত ১১:৩৫ দুপুর ০১:২৫
ভেড়ামারা রাত ১১:৫৮ দুপুর ১২:৫২
মীরপুর দুপুর ১২:৩৯
পোড়াদহ রাত ১২:২৯ দুপুর ১২:২৭
আলমডাঙ্গা রাত ১২:৩৮ দুপুর ১২:০৯
চুয়াডাঙ্গা রাত ১২:৫৮ সকাল ১১:৪৯
দর্শনা হল সকাল ১১:২৮
কোর্ট চাঁদপুর রাত ০১:৪৩ সকাল ১১:০২
মোবারকগঞ্জ রাত ০১:৫৪ সকাল ১০:৪৯
যশোর রাত ০২:২৪ সকাল ১০:০৬
নওয়াপাড়া রাত ০২:৫৫ সকাল ০৯:৩৪
খুলনা ভোর ০৩:৪০ সকাল ০৯:০০

টিকেট মূল্য

চিত্রা এক্সপ্রেসের টিকেট মূল্য আসন শ্রেণী অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। নিচে ২০২৫ সালের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের সর্বশেষ মূল্য তালিকা অনুযায়ী টিকেটের দাম দেওয়া হলো:

আসন শ্রেণী টিকেট মূল্য (১৫% ভ্যাটসহ)
এসি বার্থ ১৫০৫ টাকা
এসি সিট ১০০৫ টাকা
স্নিগ্ধা ৮৪০ টাকা
প্রথম শ্রেণী বার্থ ১০০৫ টাকা
প্রথম শ্রেণী সিট ৬৭০ টাকা
শোভন চেয়ার ৫০৫ টাকা

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

১. চিত্রা এক্সপ্রেস সপ্তাহে ৬ দিন চলাচল করে। সোমবার এই ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি।

২. ট্রেনটিতে মোট ১২টি বগি এবং ৪টি আসন রয়েছে।
৩. চিত্রা এক্সপ্রেসে দুটি এয়ার-কন্ডিশনড (এসি) কেবিন এবং এসি চেয়ার কক্ষ রয়েছে।
৪. বিভিন্ন দিনে ট্রেনে অতিরিক্ত বগি যোগ করা হয়।
৫. ঢাকা থেকে খুলনা যেতে ট্রেনটি প্রায় ৮ ঘণ্টা ৪০ মিনিট সময় নেয়।

৬. খুলনা থেকে ঢাকা আসতে প্রায় ৯ ঘণ্টা সময় লাগে।

যাত্রীদের জন্য পরামর্শ

১. অগ্রিম টিকেট সংগ্রহ: ভ্রমণের কমপক্ষে ৭-১০ দিন আগে টিকেট কিনুন। এতে আপনার পছন্দের আসন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।
২. সময়মতো স্টেশনে পৌঁছান: ট্রেন ছাড়ার কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে স্টেশনে পৌঁছানোর চেষ্টা করুন।
৩. নিরাপত্তা সতর্কতা: আপনার মালামাল সবসময় নজরে রাখুন এবং অপরিচিত ব্যক্তিদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস রাখবেন না।

৪. খাবার ও পানীয়: দীর্ঘ যাত্রার জন্য নিজের সাথে খাবার ও পানীয় নিয়ে নিন। তবে ট্রেনেও খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে।

৫. মোবাইল চার্জার: লম্বা যাত্রাপথে মোবাইল চার্জ শেষ হয়ে যেতে পারে। তাই পাওয়ার ব্যাংক বা চার্জার সঙ্গে রাখুন।

জানুয়ারি মাসের রাতের আকাশে দেখা মিলবে ‘Wolf Moon’-এর!

চিত্রা এক্সপ্রেস ঢাকা-খুলনা রুটে একটি জনপ্রিয় ও নির্ভরযোগ্য ট্রেন সেবা। ২০২৫ সালের জন্য প্রকাশিত নতুন সময়সূচী অনুযায়ী, এই ট্রেন যাত্রীদের জন্য আরও সুবিধাজনক ও নিরাপদ ভ্রমণের সুযোগ তৈরি করেছে। সঠিক সময়ে স্টেশনে পৌঁছে, নিরাপত্তা নিয়ম মেনে এবং অন্যান্য যাত্রীদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আপনি একটি আরামদায়ক ও আনন্দময় ট্রেন যাত্রা উপভোগ করতে পারেন। চিত্রা এক্সপ্রেস শুধু একটি পরিবহন মাধ্যমই নয়, এটি বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ ও সংস্কৃতির মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

About Author
Manoshi Das

মানসী দাস একজন মার্কেটিং এর ছাত্রী এবং আমাদের বাংলাদেশ প্রতিনিধি। তিনি তাঁর অধ্যয়ন ও কর্মজীবনের মাধ্যমে বাংলাদেশের বাজার ও ব্যবসায়িক পরিবেশ সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করেছেন। একজন উদীয়মান লেখিকা হিসেবে, মানসী বাংলাদেশের সামাজিক-অর্থনৈতিক অবস্থা, স্থানীয় বাজারের প্রবণতা এবং ব্র্যান্ডিং কৌশল নিয়ে লিখে থাকেন। তাঁর লেখনীতে বাংলাদেশের যুব সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি ও আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়।