Kali Puja Celebration: দীপাবলি বা Diwali, হিন্দুদের অন্যতম প্রধান উৎসব, যা আলো ও অন্ধকারের লড়াইয়ের প্রতীক। ২০২৪ সালে, দীপাবলি পড়েছে ৩১ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার। একই দিনে পালিত হবে কালীপুজো, যা মূলত পশ্চিমবঙ্গে বিশেষভাবে উদযাপিত হয়। এই দিনটি অমাবস্যার রাতে দেবী কালীর পূজা করা হয়, যা সমস্ত নেতিবাচক শক্তিকে দূর করে ইতিবাচকতা ও সমৃদ্ধি আনার উদ্দেশ্যে পালিত হয়।
দীপাবলির ইতিহাস ও গুরুত্বদীপাবলি উৎসবের ইতিহাস বহু প্রাচীন এবং বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনীর সাথে জড়িত। প্রধানত এটি রামায়ণের কাহিনী অনুসারে পালন করা হয়, যেখানে ভগবান রাম ১৪ বছরের বনবাস শেষে রাবণকে পরাজিত করে অযোধ্যায় ফিরে আসেন। অযোধ্যার মানুষ তাদের প্রিয় রাজাকে স্বাগত জানাতে প্রদীপ জ্বালিয়ে আলোকিত করে তোলেন শহর। এছাড়াও, এই উৎসব কৃষ্ণের নারকাসুরকে পরাজিত করার বিজয়কেও স্মরণ করে।
ভূত চতুর্দশী ২০২৪: জেনে নিন কবে খাবেন চোদ্দ শাক, কখন জ্বালাবেন চোদ্দ প্রদীপ
ধনতেরাস দিয়ে দীপাবলির সূচনা হয়। এই দিনে লক্ষ্মী দেবী ও ধন্বন্তরী দেবতার পূজা করা হয় এবং সোনা-রূপা কেনা শুভ মনে করা হয়।
নারক চতুর্দশীর দিন পালিত হয় ছোটো দীপাবলি, যা কৃষ্ণের নারকাসুরকে পরাজিত করার স্মরণে পালিত হয়।
মূল দীপাবলি বা বড় দীপাবলি পালিত হয় এই দিনে। লক্ষ্মী পূজা এবং ঘর সাজানোর মাধ্যমে এই দিনটি উদযাপিত হয়।
ভাইফোঁটা ২০২৪: ৩ নভেম্বর পড়ছে ভাইফোঁটা, জেনে নিন সঠিক দিন ও শুভ মুহূর্ত
গোবর্ধন পূজার দিন কৃষ্ণের গোবর্ধন পর্বত উত্তোলনের কাহিনী স্মরণ করা হয়।
ভাই দুজে ভাই-বোনের সম্পর্ক উদযাপন করা হয়, যেখানে বোনেরা ভাইদের দীর্ঘায়ু কামনা করে এবং ভাইরা তাদের উপহার দেয়।
কালীপুজোর গুরুত্বকালীপুজো মূলত পশ্চিমবঙ্গ এবং পূর্ব ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিশেষভাবে উদযাপিত হয়। দেবী কালীর পূজা করে সমস্ত নেতিবাচক শক্তিকে দূর করার জন্য এবং ইতিবাচকতা আনার জন্য এই পুজো করা হয়। এটি ব্রাহ্মণিক এবং তান্ত্রিক উভয় পদ্ধতিতে পালিত হয় এবং বিভিন্ন মন্দিরে বিশাল প্যান্ডেল তৈরি করে উদযাপন করা হয়।উৎসবের অর্থনৈতিক প্রভাবদীপাবলি ভারতের অর্থনীতিতে বিশাল প্রভাব ফেলে। এই সময়ে নতুন পোশাক, গয়না, বাড়ির সাজসজ্জা এবং অন্যান্য সামগ্রী কেনা হয়ে থাকে, যা লক্ষ্মী দেবীর আশীর্বাদ হিসাবে ধরা হয়।
এছাড়াও, আতশবাজি ফাটানোও দীপাবলির একটি অংশ, যা ঐতিহ্যগতভাবে খারাপ শক্তিকে দূর করার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।এইভাবে, Diwali ও কালীপুজো শুধুমাত্র ধর্মীয় নয় বরং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎসব। এটি আলো ও অন্ধকারের লড়াইয়ের প্রতীক হিসেবে আমাদের জীবনে ইতিবাচকতা আনে এবং সমাজে ঐক্য ও সম্প্রীতি বৃদ্ধি করে।
মন্তব্য করুন