ভারতের স্মার্টফোন বাজারে এক নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। 2023 সালের শেষে দেশে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় 748 মিলিয়ন ছাড়িয়েছে, যা 2022 সালের তুলনায় 4% বেশি। এই ক্রমবর্ধমান ব্যবহারের সাথে সাথে, ডিভাইসের যত্ন নেওয়ার গুরুত্বও বেড়েছে। বিশেষ করে, চার্জিং পোর্টের পরিচর্যা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভারতের বৈচিত্র্যময় জলবায়ু ও পরিবেশগত অবস্থা স্মার্টফোনের চার্জিং পোর্টের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ধূলিকণার মাত্রা উচ্চ। উদাহরণস্বরূপ, দিল্লিতে 2023 সালে PM2.5 এর গড় মাত্রা ছিল 98.6 μg/m³, যা WHO এর নির্ধারিত মাত্রার প্রায় 20 গুণ বেশি। এই ধূলিকণা সহজেই চার্জিং পোর্টে জমে যায়।
পকেটের লিন্টও একটি বড় সমস্যা। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন গড়ে একজন ব্যক্তির পকেট থেকে প্রায় 0.1 গ্রাম লিন্ট উৎপন্ন হয়, যার একটি অংশ ফোনের চার্জিং পোর্টে জমা হতে পারে।
ভারতের মৌসুমি আবহাওয়া, বিশেষ করে মানসুন ঋতুতে উচ্চ আর্দ্রতা (কলকাতায় জুলাই মাসে গড় আর্দ্রতা 84%), চার্জিং পোর্টে আর্দ্রতাজনিত সমস্যা সৃষ্টি করে।
কখনোই ধাতব বস্তু ব্যবহার করবেন না। এটি পোর্টের ভিতরের নাজুক পিন ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ভারতীয় বাজারে বিক্রিত স্মার্টফোনগুলির প্রায় 85% USB-C পোর্ট ব্যবহার করে, যার ভিতরে 24টি পিন থাকে। এগুলি অত্যন্ত সংবেদনশীল।
অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করবেন না। গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র 0.15 নিউটন বল প্রয়োগেই USB পোর্টের পিন বেঁকে যেতে পারে।
তরল পদার্থ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। ভারতে প্রতি বছর প্রায় 18% স্মার্টফোন তরল পদার্থের সংস্পর্শে এসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রতি মাসে অন্তত একবার চার্জিং পোর্ট পরিষ্কার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। নিয়মিত পরিচর্যার মাধ্যমে স্মার্টফোনের আয়ু বাড়ানো সম্ভব। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত পরিচর্যা করা হলে একটি স্মার্টফোনের গড় আয়ু 2.5 বছর থেকে বেড়ে 3.5 বছর হতে পারে।
ভারতীয় বাজারে বিভিন্ন ধরনের নির্ভরযোগ্য পরিষ্কার কিট পাওয়া যায়। 2023 সালের হিসাবে, এই বাজারের আকার প্রায় 150 কোটি টাকা, যা প্রতি বছর 15% হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
স্মার্টফোন আজ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। ভারতে 2024 সালের শুরুতে প্রতি 100 জনে 75 জনের কাছে স্মার্টফোন রয়েছে। এই মূল্যবান ডিভাইসের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। চার্জিং পোর্ট পরিষ্কার রাখা এই যত্নের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নিয়মিত পরিচর্যার মাধ্যমে আপনি আপনার স্মার্টফোনের কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে পারেন এবং এর আয়ু বাড়াতে পারেন।