- ৪০ বছরের বেশি বয়সী নারী-পুরুষ
- যারা ধূমপান বা অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ করেন
- যারা অতিরিক্ত সূর্যালোকের সংস্পর্শে থাকেন
- যাদের খাদ্যতালিকায় প্রোটিন, ভিটামিন C, জিঙ্ক কম
- যাদের পরিবারে হাড়ের রোগ বা অটোইমিউন রোগের ইতিহাস আছে
কোলাজেনের ঘাটতি বুঝবেন কীভাবে?
কোলাজেনের ঘাটতি সরাসরি রক্ত পরীক্ষায় ধরা যায় না। তবে উপসর্গগুলো পর্যবেক্ষণ করলেই অনেকটা আন্দাজ করা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কমে যাওয়া, চুল ও নখ দুর্বল হওয়া, অল্প আঘাতে হাড় ভেঙে যাওয়া, ক্ষত সারাতে দেরি—এসবই কোলাজেনের ঘাটতির লক্ষণ।
কোলাজেনের ঘাটতি প্রতিরোধে করণীয়
- পর্যাপ্ত প্রোটিন, ভিটামিন C, জিঙ্ক ও অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খান
- ধূমপান ও অতিরিক্ত অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন
- সূর্যালোক থেকে ত্বককে রক্ষা করুন
- পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপ কমান
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন
কোলাজেনের ঘাটতি নিঃশব্দে শরীরের ভিতরে অনেক ক্ষতি ডেকে আনে—ত্বকের সৌন্দর্য হারানো থেকে শুরু করে হাড় ভেঙে যাওয়া পর্যন্ত। তাই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, বিশেষ করে ৩০-এর পর থেকেই, কোলাজেনের ঘাটতি প্রতিরোধে সচেতন থাকা জরুরি। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, সুষম খাদ্য ও নিয়মিত ব্যায়ামই পারে কোলাজেনের ঘাটতির ঝুঁকি কমাতে এবং শরীরকে দীর্ঘদিন সুস্থ ও তরুণ রাখতে।
- বয়স বৃদ্ধি: স্বাভাবিকভাবেই উৎপাদন কমে যায়।
- ধূমপান ও অ্যালকোহল: কোলাজেন নষ্ট করে।
- অতিরিক্ত সূর্যালোক: UV রশ্মি কোলাজেন ভেঙে দেয়।
- অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: প্রোটিন, ভিটামিন C, জিঙ্ক ও অ্যামিনো অ্যাসিডের অভাব।
- স্ট্রেস ও ঘুমের অভাব: কোলাজেন উৎপাদন কমিয়ে দেয়।
- অটোইমিউন রোগ: যেমন লুপাস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি।
- হরমোনের পরিবর্তন: বিশেষ করে মেনোপজের পর নারীদের ক্ষেত্রে।
কোলাজেনের ঘাটতি হলে কী কী হতে পারে?
১. অকাল বার্ধক্য ও ত্বকের সৌন্দর্য হারানো
কোলাজেনের ঘাটতি ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কমিয়ে দেয়, ফলে ত্বক ঝুলে যায়, বলিরেখা পড়ে এবং চেহারায় দ্রুত বার্ধক্যের ছাপ পড়ে। ত্বক হয়ে পড়ে শুষ্ক ও নিস্তেজ।
২. হাড় ও জয়েন্টের মারাত্মক ক্ষতি
কোলাজেন হাড়ের কাঠামো ও জয়েন্টের কার্টিলেজের মূল উপাদান। এর ঘাটতি অস্টিওপোরোসিস, অস্টিওআর্থ্রাইটিস, ফ্র্যাকচার ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার ঝুঁকি বাড়ায়।
৩. চুল ও নখ দুর্বল হওয়া
চুল পাতলা হয়ে পড়া, দ্রুত পড়ে যাওয়া এবং নখ ভেঙে যাওয়া—সবই কোলাজেনের ঘাটতির লক্ষণ।
৪. ক্ষত সারাতে দেরি
কোলাজেন টিস্যু পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ। ঘাটতি হলে ক্ষত, কাটা বা ফ্র্যাকচার সারাতে সময় বেশি লাগে।
৫. পেশি দুর্বলতা ও ক্লান্তি
কোলাজেন পেশির গঠনে ভূমিকা রাখে। ঘাটতি হলে পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে, সহজেই ক্লান্তি আসে।
৬. রক্তনালীর সমস্যা ও হৃদরোগের ঝুঁকি
কোলাজেন রক্তনালীর স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে। ঘাটতি হলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে, রক্তনালীর জটিলতা ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
কোলাজেনের ঘাটতি: কারা বেশি ঝুঁকিতে?
- ৪০ বছরের বেশি বয়সী নারী-পুরুষ
- যারা ধূমপান বা অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ করেন
- যারা অতিরিক্ত সূর্যালোকের সংস্পর্শে থাকেন
- যাদের খাদ্যতালিকায় প্রোটিন, ভিটামিন C, জিঙ্ক কম
- যাদের পরিবারে হাড়ের রোগ বা অটোইমিউন রোগের ইতিহাস আছে
কোলাজেনের ঘাটতি বুঝবেন কীভাবে?
কোলাজেনের ঘাটতি সরাসরি রক্ত পরীক্ষায় ধরা যায় না। তবে উপসর্গগুলো পর্যবেক্ষণ করলেই অনেকটা আন্দাজ করা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কমে যাওয়া, চুল ও নখ দুর্বল হওয়া, অল্প আঘাতে হাড় ভেঙে যাওয়া, ক্ষত সারাতে দেরি—এসবই কোলাজেনের ঘাটতির লক্ষণ।
কোলাজেনের ঘাটতি প্রতিরোধে করণীয়
- পর্যাপ্ত প্রোটিন, ভিটামিন C, জিঙ্ক ও অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খান
- ধূমপান ও অতিরিক্ত অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন
- সূর্যালোক থেকে ত্বককে রক্ষা করুন
- পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপ কমান
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন
কোলাজেনের ঘাটতি নিঃশব্দে শরীরের ভিতরে অনেক ক্ষতি ডেকে আনে—ত্বকের সৌন্দর্য হারানো থেকে শুরু করে হাড় ভেঙে যাওয়া পর্যন্ত। তাই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, বিশেষ করে ৩০-এর পর থেকেই, কোলাজেনের ঘাটতি প্রতিরোধে সচেতন থাকা জরুরি। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, সুষম খাদ্য ও নিয়মিত ব্যায়ামই পারে কোলাজেনের ঘাটতির ঝুঁকি কমাতে এবং শরীরকে দীর্ঘদিন সুস্থ ও তরুণ রাখতে।
- ক্ষত বা আঘাতের পরে ধীরে সারানো
- শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা ও ক্লান্তি
- রক্তনালীর দুর্বলতা, ফলে রক্ত চলাচলে সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি
- হজমের সমস্যা, অন্ত্রের আস্তরণ পাতলা হয়ে যাওয়া
কোলাজেনের ঘাটতির নিঃশব্দ বিপদ: কেন এটি ভয়ংকর?
কোলাজেনের ঘাটতির সবচেয়ে বিপজ্জনক দিক হলো—এটি অনেক সময় নিঃশব্দে, কোনো স্পষ্ট উপসর্গ ছাড়াই শরীরের ভিতরে ক্ষতি করতে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সবচেয়ে ভয়ংকর লক্ষণ হলো হাড়ের ভঙ্গুরতা। হাড়ের ভিতরের কোলাজেন কমে গেলে, হাড় সহজেই ফাটতে বা ভেঙে যেতে পারে, এমনকি সামান্য আঘাতেও। অনেকেই কেবল হঠাৎ ফ্র্যাকচারের পর বুঝতে পারেন, শরীরে কোলাজেনের ঘাটতি ছিল। এই ফ্র্যাকচারগুলো সাধারণত কব্জি, কোমর বা মেরুদণ্ডে বেশি দেখা যায়, যা বয়স্কদের জন্য মারাত্মক বিপদের কারণ হতে পারে।
কোলাজেনের ঘাটতির কারণ
- বয়স বৃদ্ধি: স্বাভাবিকভাবেই উৎপাদন কমে যায়।
- ধূমপান ও অ্যালকোহল: কোলাজেন নষ্ট করে।
- অতিরিক্ত সূর্যালোক: UV রশ্মি কোলাজেন ভেঙে দেয়।
- অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: প্রোটিন, ভিটামিন C, জিঙ্ক ও অ্যামিনো অ্যাসিডের অভাব।
- স্ট্রেস ও ঘুমের অভাব: কোলাজেন উৎপাদন কমিয়ে দেয়।
- অটোইমিউন রোগ: যেমন লুপাস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি।
- হরমোনের পরিবর্তন: বিশেষ করে মেনোপজের পর নারীদের ক্ষেত্রে।
কোলাজেনের ঘাটতি হলে কী কী হতে পারে?
১. অকাল বার্ধক্য ও ত্বকের সৌন্দর্য হারানো
কোলাজেনের ঘাটতি ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কমিয়ে দেয়, ফলে ত্বক ঝুলে যায়, বলিরেখা পড়ে এবং চেহারায় দ্রুত বার্ধক্যের ছাপ পড়ে। ত্বক হয়ে পড়ে শুষ্ক ও নিস্তেজ।
২. হাড় ও জয়েন্টের মারাত্মক ক্ষতি
কোলাজেন হাড়ের কাঠামো ও জয়েন্টের কার্টিলেজের মূল উপাদান। এর ঘাটতি অস্টিওপোরোসিস, অস্টিওআর্থ্রাইটিস, ফ্র্যাকচার ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার ঝুঁকি বাড়ায়।
৩. চুল ও নখ দুর্বল হওয়া
চুল পাতলা হয়ে পড়া, দ্রুত পড়ে যাওয়া এবং নখ ভেঙে যাওয়া—সবই কোলাজেনের ঘাটতির লক্ষণ।
৪. ক্ষত সারাতে দেরি
কোলাজেন টিস্যু পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ। ঘাটতি হলে ক্ষত, কাটা বা ফ্র্যাকচার সারাতে সময় বেশি লাগে।
৫. পেশি দুর্বলতা ও ক্লান্তি
কোলাজেন পেশির গঠনে ভূমিকা রাখে। ঘাটতি হলে পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে, সহজেই ক্লান্তি আসে।
৬. রক্তনালীর সমস্যা ও হৃদরোগের ঝুঁকি
কোলাজেন রক্তনালীর স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে। ঘাটতি হলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে, রক্তনালীর জটিলতা ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
কোলাজেনের ঘাটতি: কারা বেশি ঝুঁকিতে?
- ৪০ বছরের বেশি বয়সী নারী-পুরুষ
- যারা ধূমপান বা অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ করেন
- যারা অতিরিক্ত সূর্যালোকের সংস্পর্শে থাকেন
- যাদের খাদ্যতালিকায় প্রোটিন, ভিটামিন C, জিঙ্ক কম
- যাদের পরিবারে হাড়ের রোগ বা অটোইমিউন রোগের ইতিহাস আছে
কোলাজেনের ঘাটতি বুঝবেন কীভাবে?
কোলাজেনের ঘাটতি সরাসরি রক্ত পরীক্ষায় ধরা যায় না। তবে উপসর্গগুলো পর্যবেক্ষণ করলেই অনেকটা আন্দাজ করা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কমে যাওয়া, চুল ও নখ দুর্বল হওয়া, অল্প আঘাতে হাড় ভেঙে যাওয়া, ক্ষত সারাতে দেরি—এসবই কোলাজেনের ঘাটতির লক্ষণ।
কোলাজেনের ঘাটতি প্রতিরোধে করণীয়
- পর্যাপ্ত প্রোটিন, ভিটামিন C, জিঙ্ক ও অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খান
- ধূমপান ও অতিরিক্ত অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন
- সূর্যালোক থেকে ত্বককে রক্ষা করুন
- পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপ কমান
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন
কোলাজেনের ঘাটতি নিঃশব্দে শরীরের ভিতরে অনেক ক্ষতি ডেকে আনে—ত্বকের সৌন্দর্য হারানো থেকে শুরু করে হাড় ভেঙে যাওয়া পর্যন্ত। তাই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, বিশেষ করে ৩০-এর পর থেকেই, কোলাজেনের ঘাটতি প্রতিরোধে সচেতন থাকা জরুরি। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, সুষম খাদ্য ও নিয়মিত ব্যায়ামই পারে কোলাজেনের ঘাটতির ঝুঁকি কমাতে এবং শরীরকে দীর্ঘদিন সুস্থ ও তরুণ রাখতে।
Collagen deficiency symptoms: প্রতিদিনের জীবনে আমরা ত্বকের বলিরেখা, চুল পড়া বা হাড়ের দুর্বলতা নিয়ে চিন্তা করি, কিন্তু জানেন কি, এই সব সমস্যার নেপথ্যে থাকতে পারে একটি সাধারণ অথচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন—কোলাজেন? কোলাজেনের ঘাটতি (Collagen Deficiency) নিঃশব্দে শরীরের ভিতরে নানা ধরনের ক্ষতি ডেকে আনতে পারে, যেগুলোর বেশিরভাগই প্রথমে বোঝা যায় না, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
কোলাজেন কী এবং কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
কোলাজেন মানবদেহের সবচেয়ে প্রচুর প্রোটিন, যা আমাদের ত্বক, হাড়, জয়েন্ট, টেন্ডন, লিগামেন্ট, চুল ও নখের গঠনে মূল ভূমিকা রাখে। এটি শরীরের সংযোগকারী টিস্যুগুলিকে শক্তি, স্থিতিস্থাপকতা ও কাঠামোগত সহায়তা প্রদান করে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, বিশেষ করে ২৫ বছর পার হলে, প্রতি বছর দেহে কোলাজেন উৎপাদন ১-১.৫% হারে কমতে থাকে। ৬০ বছরের পর এই উৎপাদন প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। শুধু বয়স নয়, ধূমপান, দূষণ, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত সূর্যালোক, স্ট্রেস, ও ঘুমের অভাবও কোলাজেনের ঘাটতির জন্য দায়ী।
কোলাজেনের ঘাটতির লক্ষণ: শরীর কীভাবে সংকেত দেয়?
ত্বকের পরিবর্তন
- বলিরেখা, ত্বক ঝুলে যাওয়া ও মসৃণতা হারানো
- ত্বক শুষ্ক, খসখসে ও নিস্তেজ হয়ে পড়া
- ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কমে যাওয়া
হাড় ও জয়েন্টের সমস্যা
- হাড় দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে পড়া, অল্প আঘাতেই ফ্র্যাকচার
- জয়েন্টে ব্যথা, শক্তভাব, চলাফেরায় অসুবিধা
- অস্টিওআর্থ্রাইটিস ও অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া
চুল, নখ ও পেশির অবস্থা
- চুল পাতলা ও দ্রুত পড়ে যাওয়া
- নখ ভঙ্গুর ও দুর্বল হয়ে যাওয়া
- পেশির শক্তি ও আকার কমে যাওয়া
অন্যান্য লক্ষণ
- ক্ষত বা আঘাতের পরে ধীরে সারানো
- শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা ও ক্লান্তি
- রক্তনালীর দুর্বলতা, ফলে রক্ত চলাচলে সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি
- হজমের সমস্যা, অন্ত্রের আস্তরণ পাতলা হয়ে যাওয়া
কোলাজেনের ঘাটতির নিঃশব্দ বিপদ: কেন এটি ভয়ংকর?
কোলাজেনের ঘাটতির সবচেয়ে বিপজ্জনক দিক হলো—এটি অনেক সময় নিঃশব্দে, কোনো স্পষ্ট উপসর্গ ছাড়াই শরীরের ভিতরে ক্ষতি করতে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সবচেয়ে ভয়ংকর লক্ষণ হলো হাড়ের ভঙ্গুরতা। হাড়ের ভিতরের কোলাজেন কমে গেলে, হাড় সহজেই ফাটতে বা ভেঙে যেতে পারে, এমনকি সামান্য আঘাতেও। অনেকেই কেবল হঠাৎ ফ্র্যাকচারের পর বুঝতে পারেন, শরীরে কোলাজেনের ঘাটতি ছিল। এই ফ্র্যাকচারগুলো সাধারণত কব্জি, কোমর বা মেরুদণ্ডে বেশি দেখা যায়, যা বয়স্কদের জন্য মারাত্মক বিপদের কারণ হতে পারে।
কোলাজেনের ঘাটতির কারণ
- বয়স বৃদ্ধি: স্বাভাবিকভাবেই উৎপাদন কমে যায়।
- ধূমপান ও অ্যালকোহল: কোলাজেন নষ্ট করে।
- অতিরিক্ত সূর্যালোক: UV রশ্মি কোলাজেন ভেঙে দেয়।
- অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: প্রোটিন, ভিটামিন C, জিঙ্ক ও অ্যামিনো অ্যাসিডের অভাব।
- স্ট্রেস ও ঘুমের অভাব: কোলাজেন উৎপাদন কমিয়ে দেয়।
- অটোইমিউন রোগ: যেমন লুপাস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি।
- হরমোনের পরিবর্তন: বিশেষ করে মেনোপজের পর নারীদের ক্ষেত্রে।
কোলাজেনের ঘাটতি হলে কী কী হতে পারে?
১. অকাল বার্ধক্য ও ত্বকের সৌন্দর্য হারানো
কোলাজেনের ঘাটতি ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কমিয়ে দেয়, ফলে ত্বক ঝুলে যায়, বলিরেখা পড়ে এবং চেহারায় দ্রুত বার্ধক্যের ছাপ পড়ে। ত্বক হয়ে পড়ে শুষ্ক ও নিস্তেজ।
২. হাড় ও জয়েন্টের মারাত্মক ক্ষতি
কোলাজেন হাড়ের কাঠামো ও জয়েন্টের কার্টিলেজের মূল উপাদান। এর ঘাটতি অস্টিওপোরোসিস, অস্টিওআর্থ্রাইটিস, ফ্র্যাকচার ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার ঝুঁকি বাড়ায়।
৩. চুল ও নখ দুর্বল হওয়া
চুল পাতলা হয়ে পড়া, দ্রুত পড়ে যাওয়া এবং নখ ভেঙে যাওয়া—সবই কোলাজেনের ঘাটতির লক্ষণ।
৪. ক্ষত সারাতে দেরি
কোলাজেন টিস্যু পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ। ঘাটতি হলে ক্ষত, কাটা বা ফ্র্যাকচার সারাতে সময় বেশি লাগে।
৫. পেশি দুর্বলতা ও ক্লান্তি
কোলাজেন পেশির গঠনে ভূমিকা রাখে। ঘাটতি হলে পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে, সহজেই ক্লান্তি আসে।
৬. রক্তনালীর সমস্যা ও হৃদরোগের ঝুঁকি
কোলাজেন রক্তনালীর স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে। ঘাটতি হলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে, রক্তনালীর জটিলতা ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
কোলাজেনের ঘাটতি: কারা বেশি ঝুঁকিতে?
- ৪০ বছরের বেশি বয়সী নারী-পুরুষ
- যারা ধূমপান বা অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ করেন
- যারা অতিরিক্ত সূর্যালোকের সংস্পর্শে থাকেন
- যাদের খাদ্যতালিকায় প্রোটিন, ভিটামিন C, জিঙ্ক কম
- যাদের পরিবারে হাড়ের রোগ বা অটোইমিউন রোগের ইতিহাস আছে
কোলাজেনের ঘাটতি বুঝবেন কীভাবে?
কোলাজেনের ঘাটতি সরাসরি রক্ত পরীক্ষায় ধরা যায় না। তবে উপসর্গগুলো পর্যবেক্ষণ করলেই অনেকটা আন্দাজ করা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কমে যাওয়া, চুল ও নখ দুর্বল হওয়া, অল্প আঘাতে হাড় ভেঙে যাওয়া, ক্ষত সারাতে দেরি—এসবই কোলাজেনের ঘাটতির লক্ষণ।
কোলাজেনের ঘাটতি প্রতিরোধে করণীয়
- পর্যাপ্ত প্রোটিন, ভিটামিন C, জিঙ্ক ও অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খান
- ধূমপান ও অতিরিক্ত অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন
- সূর্যালোক থেকে ত্বককে রক্ষা করুন
- পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপ কমান
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন
কোলাজেনের ঘাটতি নিঃশব্দে শরীরের ভিতরে অনেক ক্ষতি ডেকে আনে—ত্বকের সৌন্দর্য হারানো থেকে শুরু করে হাড় ভেঙে যাওয়া পর্যন্ত। তাই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, বিশেষ করে ৩০-এর পর থেকেই, কোলাজেনের ঘাটতি প্রতিরোধে সচেতন থাকা জরুরি। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, সুষম খাদ্য ও নিয়মিত ব্যায়ামই পারে কোলাজেনের ঘাটতির ঝুঁকি কমাতে এবং শরীরকে দীর্ঘদিন সুস্থ ও তরুণ রাখতে।