Daisy flower farming guide: ডেইজি (Daisy) ফুল তার হলুদ কেন্দ্র এবং সাদা পাপড়ি নিয়ে বাগানের এক উজ্জ্বল সৌন্দর্য। যেমন হলিউড অভিনেত্রী ড্রু ব্যারিমোর বলেছেন, “ডেইজি ফুল হল মাটিতে সূর্যের আলোর মতো”। এই অত্যন্ত সহজ-সাধ্য ফুল শুধু বাগানেই নয়, টবে বা ফুলদানিতেও সমান সুন্দরভাবে বেড়ে উঠতে পারে। ডেইজি ফুল Asteraceae পরিবারের অন্তর্গত, যার মধ্যে ২০,০০০ এরও বেশি প্রজাতি রয়েছে, যেমন এস্টার, ক্রিসান্থেমাম, ম্যারিগোল্ড এবং জিনিয়া। এগুলি শুধু সৌন্দর্য্যই নয়, ঔষধি গুণেও সমৃদ্ধ – ডেইজি ফুলের সংকোচক, প্রদাহ-বিরোধী এবং অ্যান্টিস্প্যাসমোডিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, এবং এগুলি ক্ষত দ্রুত সারাতেও সাহায্য করে।
এই ব্লগে আমরা ডেইজি ফুলের পরিচর্যা, রোপণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের সম্পূর্ণ গাইড নিয়ে আলোচনা করব, যাতে আপনি সহজেই আপনার বাগান বা বারান্দায় এই উজ্জ্বল সুন্দর ফুল চাষ করতে পারেন।
ডেইজি ফুলের প্রকারভেদ
ডেইজি ফুল বিভিন্ন প্রকারের হয়, যেগুলো বিভিন্ন রকম পরিচর্যার প্রয়োজন হয়।
ইংলিশ ডেইজি (Bellis perennis): এটি একটি বহুবর্ষজীবী ফুল, যদিও দক্ষিণ যুক্তরাষ্ট্রে এটি দ্বি-বার্ষিক এবং উত্তর যুক্তরাষ্ট্রে বার্ষিক হিসেবে চাষ করা হয়। এই ফুলের বিশেষত্ব হল এর লাল, সাদা এবং গোলাপী গোলাকার ফুল যেগুলোর মাঝে হলুদ কেন্দ্র থাকে। ইংলিশ ডেইজি ঠাণ্ডা, আর্দ্র বা এমনকি আর্দ্র পরিবেশে ভালো বেড়ে ওঠে।
জারবেরা ডেইজি (Gerbera jamesonii): এই ফুলটি পবিত্রতা, উৎফুল্লতা, বিশুদ্ধতা ও একনিষ্ঠ প্রেমের প্রতীক হিসেবে পরিচিত। জারবেরা ডেইজি উজ্জ্বল রঙের বড় ফুল উৎপাদন করে এবং বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় কাট ফ্লাওয়ারের মধ্যে অন্যতম।
আফ্রিকান ডেইজি (Dimorphotheca): এই ফুলটি উজ্জ্বল, আকর্ষণীয় রঙের জন্য পরিচিত এবং খরা সহনশীল।
ফুলদানির ফুল তাজা রাখার ১১টি অব্যর্থ উপায় – বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
ডেইজি ফুলের চারা তৈরি ও রোপণ
সফল ডেইজি চাষের প্রথম ধাপ হল সঠিক চারা নির্বাচন এবং রোপণ।
চারা নির্বাচন: ফুল চাষের প্রথম ও প্রধান শর্ত হলো উপযুক্ত জাত ও সঠিক চারা নির্বাচন। বাণিজ্যিক চাষাবাদের জন্য “জারবেরা জেসমনি বোলাস” দারুন উপযুক্ত। অন্যান্য জাতের মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট উদ্ভাবিত “বারি জারবেরা-১” ও “বারি জারবেরা-২” উল্লেখযোগ্য।
রোপণের সময়: বেশিরভাগ ডেইজি ফুল দ্রুত বর্ধনশীল; বসন্তকালে বীজ থেকে রোপণ করলে গ্রীষ্মের শেষে সম্পূর্ণ বিকশিত ফুল দেখা যায়। জারবেরা ডেইজির ক্ষেত্রে, অক্টোবর-নভেম্বর মাসে রোপণ করা উচিত যাতে গুণমান এবং ফলন উভয়ই ভালো হয়।
রোপণ পদ্ধতি: ডেইজি চারা রোপণের জন্য:
প্রতি ৫০ সেমি বাই ৪০ সেমি দূরত্বে সারি করে রোপণ করুন।
রোপণের সময় গাছের ক্রাউন যেন মাটি স্পর্শ না করে সেদিকে খেয়াল রাখুন, অন্যথায় গাছে পচন (ফুট রোট) রোগ ধরতে পারে।
বেড ২০ সেমি উঁচু করে তৈরি করুন যাতে গাছের গোড়ায় পানি জমতে না পারে।
ডেইজি ফুল চাষের জন্য উপযুক্ত মাটি ও সার
মাটির ধরন: ডেইজি ফুল চাষের জন্য ভালো নিষ্কাশন ব্যবস্থাযুক্ত বেলে দোআঁশ বা দোআঁশ মাটি উত্তম। মাটির পিএইচ ৫.৫০ থেকে ৭.০০ এর মধ্যে থাকা উচিত, যার মধ্যে ৫.৫০ থেকে ৬.৫০ সবচেয়ে উপযুক্ত।
মাটি তৈরির উপাদান: আদর্শ মাটি প্রস্তুত করার জন্য, এক ভাগ বালি, এক ভাগ মাটি ও এক ভাগ জৈব সার মিশিয়ে নিন। এছাড়া বাজারে পাওয়া জৈব উপাদান যেমন পাতা পচা, কোকোডাস্ট, ও বালু ব্যবহার করতে পারেন।
সার প্রয়োগ:
হেক্টর প্রতি ২ টন কোকোডাস্ট, ১০ টন গোবর বা কম্পোস্ট, ৩৫০ গ্রাম ইউরিয়া, ২৫০ কেজি টিএসপি, ১২ কেজি বোরিক এসিড ও জিংক অক্সাইড, ৩০০ কেজি মিউরেট অব পটাশ যুক্ত করুন।
রোপনের ১০-১৫ দিন পূর্বে গোবর ও কোকোডাস্ট এবং ৭-১০ দিন পূর্বে অন্যান্য সার প্রয়োগ করুন।
ইউরিয়ার অর্ধেক চারা রোপনের ২৫ দিন পর গাছের গোড়ায় দূরে প্রয়োগ করুন।
নিয়মিত ফসফরাস সমৃদ্ধ সার প্রয়োগ করলে ফুল ফোটার হার বাড়ে।
ডেইজি ফুলের সেচ ব্যবস্থাপনা
সঠিক পানি সেচ ডেইজি ফুলের স্বাস্থ্য এবং দীর্ঘজীবিতার জন্য অত্যাবশ্যক।
পানির পরিমাণ: গ্রোয়িং সিজনে প্রতি সপ্তাহে ১-২ ইঞ্চি পানি গাছের গোড়ায় দিন এবং শীতকালে প্রতি দুই সপ্তাহে একবার পানি দিন। অত্যধিক পানি দিলে গাছ ম্লান হয়ে যেতে পারে বা পাতা হলুদ হয়ে যেতে পারে।
সেচ পদ্ধতি:
ড্রিপ ওয়াটারিং সিস্টেম সবচেয়ে উপযুক্ত, যেখানে গাছের গোড়ায় পাইপের সাহায্যে ফোটায় ফোটায় জল সেচ দেয়া হয়।
এ পদ্ধতিতে গাছ প্রতি ৩.৭ লিটার পানি হিসেবে দিনে তিনবার ১৭-২০ মিনিট সেচ দিন।
সনাতন পদ্ধতিতে প্লাবন পদ্ধতিতে তিনবার সেচ দিন, তবে গাছের গোড়ায় জলাবদ্ধতা এড়ান।
সাবধানতা:
পানির পিএইচ ৬.৫ থেকে ৭ এর বেশি হওয়া উচিত নয়।
পানিতে ক্লোরিন বা ব্লিচিং থাকলে তা সেচের কাজে ব্যবহার করা উচিত নয়।
মাটিতে বাতাস প্রবেশ নিশ্চিত করতে সেচের পর মাটির উপরিভাগ আলগা করে দিন।
ডেইজি ফুলের জন্য আলো ও তাপমাত্রা
ডেইজি ফুল চাষের জন্য আলো ও তাপমাত্রা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আলোর প্রয়োজনীয়তা: ইংলিশ ডেইজি বা সাধারণ ডেইজি প্রচুর সূর্যালোক পছন্দ করে। সেরা ফুলের জন্য দিনে কমপক্ষে ৬-৮ ঘন্টা সূর্যালোক প্রয়োজন। তবে গরম অঞ্চলে দুপুরের তীব্র সূর্যালোক থেকে কিছু ছায়া প্রদান করুন।
উপযুক্ত তাপমাত্রা:
জারবেরা ডেইজি চাষের জন্য ২৫-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস আদর্শ তাপমাত্রা।
অধিক তাপমাত্রায় ফুল আসে কিন্তু গুণমান সঠিক নাও হতে পারে।
গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে এ গাছ পলিনেট হাউজে করতে পারেন।
ইংলিশ ডেইজি ঠাণ্ডা তাপমাত্রা পছন্দ করে এবং অত্যধিক গরম সহ্য করতে পারে না। গরম গ্রীষ্মকালে, ইংলিশ ডেইজি মারা যেতে পারে এবং অপসারণের প্রয়োজন হতে পারে।
আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ: গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ফগার মেশিন ব্যবহার করা যেতে পারে। আংশিক (৩০%) ছায়া ব্যবস্থা করেও ফলাফল উন্নত হয়।
ডেইজি ফুলের রোগ-বালাই এবং প্রতিরোধ
ডেইজি ফুলের সাফল্যের জন্য রোগ-বালাই দমন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধান রোগসমূহ:
১. মূল পচা ও গোড়া পচা:
প্রতিকার: প্রতি লিটার পানিতে রিডোমিল অথবা ডায়থেন এম-৪৫ ছত্রাকনাশক ০.২% হারে ৭-১০ দিন প্রয়োগ করুন।
২. পাউডারি মিলিউড:
প্রতিকার: বেনোমিল ৫০ ডব্লিওপি ০.০১% হারে প্রয়োগ করুন।
৩. মাকড়:
প্রতিকার: মাকড়নাশক ভারমিটেক বা ওমাইট ৫৭ ইসি ১.৫ মিলি হারে গাছে স্প্রে করুন। রোগ শুরুর দিকে আক্রান্ত পাতা অপসারণ করুন।
৪. সাদা মাছি:
প্রতিকার: হলুদ রঙের আঠালো ফাঁদ ব্যবহার করুন। নিম বীজ ভাঙা ৫০ গ্রাম ১ লিটার পানিতে ৭ দিন ভিজিয়ে রেখে পাতার নিচের দিকে স্প্রে করুন।
৫. থ্রিপস ও লিফমাইনার:
এই কীটগুলি তাপমাত্রা বাড়লে ডেইজি ফুলকে আক্রমণ করতে পারে। আক্রান্ত পাতা অপসারণ করুন।
৬. রুট-নট নেমাটোড:
প্রতিকার: মাটি সোলারাইজেশন এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।
ডেইজি ফুলের ছাঁটাই ও রক্ষণাবেক্ষণ
নিয়মিত ছাঁটাই ও রক্ষণাবেক্ষণ ডেইজি ফুলের দীর্ঘজীবিতা এবং ফুলের পরিমাণ বাড়ায়।
ডেডহেডিং (মৃত ফুল অপসারণ):
ফুল ম্লান হয়ে গেলে সেগুলো ছেঁটে ফেলুন।
ডেডহেডিং ফুল ফোটার পুনরাবৃত্তি উৎসাহিত করে।
মৃত ফুল অপসারণ করা পচন রোধে সাহায্য করে।
শিকড় ব্যবস্থাপনা:
শিকড় ব্যবস্থা খুব বড় হয়ে গেলে এবং একে অপরকে ভিড় করে ফেললে, সময়ের সাথে ডেইজি গাছ হ্রাস পেতে পারে।
ডেইজি গাছ খুব বড় হলে, প্রতি দুই বছরে একবার শরতকালে মাটি থেকে খোঁড়া উচিত।
রুট বল ভাগ করে কাঠের কেন্দ্র কেটে ফেলুন, তারপর পৃথক গাছ ১০-১২ ইঞ্চি দূরত্বে পুনরায় রোপণ করুন।
শীতকালীন প্রস্তুতি:
বহুবর্ষজীবী ডেইজিকে শীতের জন্য প্রস্তুত করতে, প্রতিটি ডেইজি গাছের চারপাশে মালচ আলগাভাবে রাখুন।
পাতা না ঢেকে যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
ডেইজি ফুল আহরণ ও সংরক্ষণ
ফুল সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ করার সঠিক পদ্ধতি জানা গুরুত্বপূর্ণ।
ফুল আহরণের সময়: সঠিক যত্নে প্রতিটি গাছ থেকে ৭০-৮০টি ফুল সংগ্রহ করা যেতে পারে। প্রতি বছর একটি গাছ থেকে ২৫-৩০টি ফুল সংগ্রহ করা যায়, দুই বছরে মোট ৫০-৬০টি।
ফুল সংগ্রহের পদ্ধতি:
ফুল সংগ্রহের আগে হাইপোক্লোরাইট লবণ দ্রবণ স্প্রে করলে ফুলের স্থায়িত্ব বাড়ে।
ফুল সাধারণত ডাল সহ কাটুন, যথাসম্ভব লম্বা ডাল রেখে কাটাই উত্তম।
ফুল সংরক্ষণ: ফুলদানীতে দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার জন্য, ফুলের নিচের প্রায় এক ইঞ্চি ডাল পানিতে ডুবিয়ে রাখুন। এভাবে ফুলটি প্রায় ৭ দিন পর্যন্ত ফুলদানীতে সজীব থাকতে পারে। জারবেরা ফুল ৭-১০ দিন পর্যন্ত কাটার পরেও সঠিক যত্নে বেঁচে থাকতে পারে।
ডেইজি ফুলের ফুটন্ত সময় ও ফুল ফোটানোর টিপস
ডেইজি ফুলের ফুটন্ত সময় ও ফুল ফোটানোর বিভিন্ন কৌশল জানা দরকার।
ফুটন্ত সময়: সারা বছর ফুল ফুটলেও মূলত এপ্রিল-মে মাসে এ ফুল বেশি ফুটতে দেখা যায়। ইংলিশ ডেইজি সাধারণত মে থেকে জুলাই মাসে ফুটে।
ফুল ফোটার লক্ষণ: ইংলিশ ডেইজি বসন্তের শেষ বা গ্রীষ্মের শুরু থেকে মধ্য-গ্রীষ্ম পর্যন্ত ফোটে। গাছটি প্রথম তুষারপাত পর্যন্ত কয়েকটি আশ্চর্যজনক ফুল দেখাতে পারে।
অধিক ফুল ফোটানোর টিপস:
ইংলিশ ডেইজি ফুল না ফোটার কারণ হতে পারে: প্রথম বছরের গাছ, সূর্যালোকের অভাব (প্রতিদিন ৪-৬ ঘন্টা সূর্যালোক প্রয়োজন), বা নাইট্রোজেনের অতিরিক্ত মাত্রা। এক্ষেত্রে দ্রুত-প্রকাশ তরল উচ্চ-ফসফরাস সারের ব্যবহার সমাধান হতে পারে।
গরম অঞ্চলে, দুপুরের সূর্য থেকে বিরতি ফুল ফোটার সময়কাল বাড়াবে।
ডেইজি ফুলের ব্যবহার ও উপকারিতা
ডেইজি ফুলের শুধু সৌন্দর্য নয়, বিভিন্ন ব্যবহারিক উপকারিতাও রয়েছে।
সাজসজ্জা: ডেইজি ফুল তার উজ্জ্বল হলুদ কেন্দ্র ও সাদা পাপড়ি নিয়ে বাগান বা ফুলদানির শোভা বাড়ায়। এগুলি ফুলের মালা তৈরিতেও জনপ্রিয়।
চুলের অলংকার: ডেইজি ফুল মহিলাদের চুলের অলংকার হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
ঔষধি ব্যবহার: ডেইজি ফুলের সংকোচক, প্রদাহ-বিরোধী এবং অ্যান্টিস্প্যাসমোডিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি ক্ষত দ্রুত সারাতেও সাহায্য করে।
জারবেরা ডেইজির ঔষধি গুণ:
লিভার সুরক্ষা করে
কিডনি রোগে উপকারী
পাচন তন্ত্র ঠিক রাখে।
ডেইজি ফুলের বিশেষ তথ্য
কিছু আকর্ষণীয় তথ্য যা আপনি জানেন না হতে পারে:
সূর্যমুখী ফুলের মত জারবেরা ডেইজিও সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে।
কাটা অবস্থায় ফুলদানীতে সঠিক যত্নে জারবেরা ৭-১০ দিন পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
ইংলিশ ডেইজি মানুষ ও পশুর জন্য বিষাক্ত।
কিছু রাজ্য ও কাউন্টিতে ইংলিশ ডেইজিকে আক্রমণাত্মক প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ইংলিশ ডেইজি চামচ-আকৃতির পাতার সমতল গোল রোজেট আকারে বেড়ে ওঠে।
সাধারণ সমস্যা ও সমাধান
ডেইজি ফুল চাষের সময় যে সাধারণ সমস্যাগুলি দেখা যায় এবং তাদের সমাধানগুলি:
ম্লান হওয়া: যদি পর্যাপ্ত পানি না পায়, ডেইজি ফুল ম্লান হয়ে যাবে। এগুলি শুষ্ক অবস্থায় ভালো করে না এবং নিয়মিত পানি দেওয়া প্রয়োজন।
আক্রমণাত্মক বৃদ্ধি: ফুলগুলি খুব দেরি গ্রীষ্মে থেকে শরৎকালের শুরুতে বীজ পরিপক্ব হলে নিজেরাই পুনরায় বীজ বোনে। ডেইজি আপনার বাগানের বাইরে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে। এই প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে, ফুল ফোটার পরে এবং বীজ উৎপাদনের আগে সমগ্র গাছটি অপসারণ করতে পারেন।
ইংলিশ ডেইজি কি আবার প্রতি বছর ফিরে আসে? এই গাছটি সহজেই নিজে থেকে বীজ বোনে, তাই হ্যাঁ, তারা প্রতি বছর ফিরে আসে। আপনি যদি ডেইজি ফিরে আসতে না চান, তাহলে ফুল ফোটার পরে এবং বীজ উৎপাদনের আগে সমগ্র গাছটি অপসারণ করুন।
ডেইজি ফুল একটি আকর্ষণীয় ও সহজে চাষযোগ্য ফুল, যা আপনার বাগান বা বারান্দাকে সাজিয়ে তুলতে পারে। সঠিক জাত নির্বাচন, উপযুক্ত মাটি, পর্যাপ্ত আলো, নিয়মিত পানি সেচ এবং সঠিক পরিচর্যা দিয়ে আপনি সারা বছর এই সুন্দর ফুল উপভোগ করতে পারেন।
ডেইজি ফুল শুধু সৌন্দর্যই নয়, ঔষধি গুণেও সমৃদ্ধ। জারবেরা ডেইজি লিভার সুরক্ষা, কিডনি রোগে উপকারী এবং পাচন তন্ত্র ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এই ফুল পবিত্রতা, উৎফুল্লতা, বিশুদ্ধতা ও একনিষ্ঠ প্রেমের প্রতীক হিসেবে পরিচিত।অত্যন্ত সহজ পরিচর্যার প্রয়োজন হওয়ায় ডেইজি ফুল নতুন চাষিদের জন্যও উপযুক্ত। তাই আজই আপনার বাগানে ডেইজি ফুল চাষ করুন এবং এর সৌন্দর্য ও গুণাবলী উপভোগ করুন।