ভারতের পূর্ব উপকূলে আঘাত হানতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে কাতার। আরবি ভাষায় ‘দানা’ শব্দের অর্থ হল ‘দয়ালুতা’ বা ‘উদারতা’।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (WMO) নিয়ম অনুযায়ী উত্তর ভারত মহাসাগর অঞ্চলের ১৩টি দেশ ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের দায়িত্বে রয়েছে। ২০০০ সালে বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড এই অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু করে। ২০১৮ সালে ইরান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইয়েমেন এই গ্রুপে যোগ দেয়।
Cyclone Dana আঘাত হানতে চলেছে – রাজ্য জুড়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে, ১০টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের (IMD) তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ ২৪ অক্টোবর রাত থেকে ২৫ অক্টোবর সকালের মধ্যে ওড়িশার ভিতরকনিকা ও ধামরার কাছে আছড়ে পড়বে। এর বাতাসের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১০০-১১০ কিলোমিটার, যা ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের নিয়মাবলী:
– নামগুলি রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে নিরপেক্ষ হতে হবে
– সহজে উচ্চারণযোগ্য হতে হবে
– আটটি অক্ষরের বেশি লম্বা হবে না
– একবার ব্যবহৃত নাম আর ব্যবহার করা যাবে না
১২০ কিমি বেগে ঝড়, তুমুল বৃষ্টির সতর্কতা! কোন জেলাগুলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে?
প্রভাব:
– ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের ১৪টি জেলায় প্রভাব পড়বে
– প্রায় ১০ লক্ষ মানুষকে স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে
– ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে
– সমুদ্রে ২ মিটার উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে
বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ পারাদ্বীপ থেকে ৪৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে। এটি গত দুই মাসের মধ্যে উত্তর ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড়। আগস্টে আরব সাগরে ‘আসনা’ নামের একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছিল।