শুভ ধনতেরাস ২০২৫: সেরা ৫০টি শুভেচ্ছা, বার্তা ও কোটস্ | পরিবার ও বন্ধুদের জন্য

Happy Dhanteras 2025 Wishes in Bengali: ধনতেরাস, যা 'ধনত্রয়োদশী' নামেও পরিচিত, হিন্দুদের অন্যতম প্রধান উৎসব দীপাবলির সূচনা করে। এটি কেবল একটি উৎসব নয়, এটি সমৃদ্ধি, সুস্বাস্থ্য এবং সৌভাগ্যকে স্বাগত জানানোর…

মনীষা মুখার্জী

 

Happy Dhanteras 2025 Wishes in Bengali: ধনতেরাস, যা ‘ধনত্রয়োদশী’ নামেও পরিচিত, হিন্দুদের অন্যতম প্রধান উৎসব দীপাবলির সূচনা করে। এটি কেবল একটি উৎসব নয়, এটি সমৃদ্ধি, সুস্বাস্থ্য এবং সৌভাগ্যকে স্বাগত জানানোর এক পবিত্র মুহূর্ত। কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে এই উৎসব পালিত হয়। এই বছর, ১৮ ই অক্টোবর (শনিবার) তারিখে ধনতেরাস উদযাপিত হবে। এই শুভ দিনে, মানুষ সম্পদ ও সমৃদ্ধির দেবী মা লক্ষ্মী এবং স্বাস্থ্যের দেবতা ভগবান ধন্বন্তরির পূজা করেন। ঐতিহ্যগতভাবে, এই দিনে সোনা, রূপা বা নতুন বাসনপত্র কেনা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়, কারণ বিশ্বাস করা হয় যে এটি সারা বছর ধরে পরিবারে সৌভাগ্য এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আসে। এই নিবন্ধে, আমরা কেবল সেরা ৫০টি শুভেচ্ছাবার্তাই নয়, বরং ধনতেরাসের গভীর তাৎপর্য, এর পেছনের পৌরাণিক কাহিনী, পূজার সঠিক নিয়মাবলী এবং বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে এর গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

ধনতেরাসের প্রকৃত অর্থ ও ঐতিহাসিক তাৎপর্য

ধনতেরাস শব্দটি দুটি শব্দ থেকে এসেছে: ‘ধন’ (অর্থ, সম্পদ) এবং ‘তেরাস’ (ত্রয়োদশী বা ত্রয়োদশ দিন)। এটি পাঁচ দিনব্যাপী দীপাবলি উৎসবের প্রথম দিন। এই দিনের তাৎপর্য কেবল বস্তুগত সম্পদ অর্জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি সুস্বাস্থ্যের আশীর্বাদ প্রার্থনার দিনও বটে।

পৌরাণিক কাহিনী: কেন এই দিনটি এত শুভ?

ধনতেরাসের উদযাপনের পিছনে একাধিক পৌরাণিক কাহিনী প্রচলিত রয়েছে, যা এই দিনটির গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

১. ভগবান ধন্বন্তরির আবির্ভাব:

সবচেয়ে প্রচলিত কাহিনীটি হলো সমুদ্র মন্থনের। পুরাণ অনুসারে, যখন দেবতা ও অসুররা অমরত্বের অমৃতের জন্য সমুদ্র মন্থন করছিলেন, তখন কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে ভগবান ধন্বন্তরি এক হাতে অমৃতের কলস এবং অন্য হাতে আয়ুর্বেদের শাস্ত্র নিয়ে সমুদ্র থেকে আবির্ভূত হয়েছিলেন। ভগবান ধন্বন্তরিকে ভগবান বিষ্ণুর অবতার এবং আয়ুর্বেদ তথা স্বাস্থ্যের দেবতা হিসাবে গণ্য করা হয়। তাই, ধনতেরাসকে সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু লাভের জন্য ভগবান ধন্বন্তরির পূজার দিন হিসেবেও পালন করা হয়।

২. রাজা হিমের পুত্র ও যমরাজের গল্প:

আরেকটি জনপ্রিয় লোককাহিনী অনুসারে, ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল যে রাজা হিমের ষোল বছর বয়সী পুত্র তার বিয়ের ঠিক চার দিনের মাথায় সাপের কামড়ে মারা যাবে। তার স্ত্রী, যিনি এই ভবিষ্যদ্বাণী সম্পর্কে জানতেন, তিনি সেই রাতে রাজকুমারকে জাগিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি ঘরের প্রবেশদ্বারে তার সমস্ত সোনা ও রূপার গহনা স্তূপ করে রাখেন এবং সারা ঘরে প্রদীপ জ্বালিয়ে দেন। যখন মৃত্যুর দেবতা যমরাজ সাপের রূপে রাজকুমারের প্রাণ নিতে আসেন, তখন গহনা ও প্রদীপের তীব্র আলোয় তার চোখ ধাঁধিয়ে যায়। তিনি সেই গহনার স্তূপের উপর বসে সারা রাত ধরে রাজকুমারীর গাওয়া ভক্তিগীতি শোনেন এবং সকালে নীরবে প্রস্থান করেন। এভাবেই রাজকুমারীর বুদ্ধিমত্তায় রাজকুমারের প্রাণ রক্ষা পায়। এই ঘটনার স্মরণে, ধনতেরাসের সন্ধ্যায় লোকেরা অকালমৃত্যু এড়াতে বাড়ির বাইরে দক্ষিণ দিকে ‘যম দীপদান’ (যমের জন্য প্রদীপ) করে।

ধনতেরাস ২০২৫: দিনক্ষণ ও পূজার শুভ মুহূর্ত

সঠিক সময়ে পূজা করলে তার ফল সর্বোত্তম হয় বলে বিশ্বাস করা হয়। পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, শুভ সময় জানা অত্যন্ত জরুরী।

  • ধনতেরাস ২০২৫: পুজোর শুভ মুহূর্ত (সময়কাল: ১ ঘণ্টা ০৪ মিনিট)
    বিবরণ তারিখ সময়
    ধনতেরাস পুজোর শুভ মুহূর্ত ১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭টা ১৬ মিনিট – রাত ৮টা ২০ মিনিট
    প্রদোষ কাল ১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিট – রাত ৮টা ২০ মিনিট
    বৃষভ কাল (স্থির লগ্ন) ১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭টা ১৬ মিনিট – রাত ৯টা ১১ মিনিট
    ত্রয়োদশী তিথি আরম্ভ ১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২টা ১৮ মিনিট
    ত্রয়োদশী তিথি সমাপ্তি ১৯শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১টা ৫১ মিনিট

পূজার বিধি ও নিয়মাবলী

ধনতেরাসের পূজা সাধারণত সূর্যাস্তের পরে, প্রদোষ কালে করা হয়। এই পূজার নিয়মাবলী বেশ সহজ তবে নিষ্ঠার সাথে পালন করা হয়।

  1. পরিচ্ছন্নতা: দীপাবলির আগেই মানুষ ঘরবাড়ি পরিষ্কার করতে শুরু করে। ধনতেরাসের দিনে, পূজার স্থানটি বিশেষভাবে পরিষ্কার করে আলপনা বা রঙ্গোলি দিয়ে সাজানো হয়।
  2. নতুন সামগ্রী স্থাপন: এই দিনে কেনা সোনা, রূপা, বাসন বা অন্য কোনও নতুন জিনিস পূজার স্থানে রাখা হয়।
  3. পূজার প্রস্তুতি: একটি চৌকিতে লাল বা হলুদ কাপড় বিছিয়ে তাতে ভগবান গণেশ, মা লক্ষ্মী, ভগবান কুবের এবং ভগবান ধন্বন্তরির মূর্তি বা ছবি স্থাপন করা হয়।
  4. ষোড়শোপচার পূজা: প্রদীপ, ধূপ, ফুল, ফল, মিষ্টি (বিশেষত গুড় ও ধনে) এবং নৈবেদ্য অর্পণ করা হয়। ভগবান ধন্বন্তরিকে আয়ুর্বেদের প্রতীক হিসেবে ভেষজ অর্পণ করা যেতে পারে।
  5. যম দীপদান: পূজা শেষে, একটি চারমুখী মাটির প্রদীপে তেল দিয়ে জ্বালানো হয়। এই প্রদীপটি বাড়ির প্রধান দরজার বাইরে, দক্ষিণ দিকে মুখ করে রাখা হয়। এটি পরিবারের সদস্যদের অকালমৃত্যু থেকে রক্ষা করার জন্য যমরাজের উদ্দেশ্যে নিবেদন করা হয়।

ধনতেরাস ও ভারতের অর্থনীতি: এক অটুট বন্ধন

ধনতেরাস এখন আর শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়; এটি ভারতের অর্থনীতির এক অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে। এই সময়ে কেনাকাটার যে জোয়ার আসে, তা দেশের খুচরো বাজারকে ব্যাপকভাবে চাঙ্গা করে।

কেনাকাটার জোয়ার: সোনা, রূপা ও অন্যান্য

এই দিনে কেনাকাটা করাকে ‘শুভ’ বলে মনে করা হয়। ঐতিহ্যগতভাবে সোনা এবং রূপার গহনা বা মুদ্রা কেনার প্রচলন সবচেয়ে বেশি। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে কেনা সম্পদ বহুগুণ বৃদ্ধি পায়।

তবে সময়ের সাথে সাথে এই প্রবণতা পরিবর্তিত হয়েছে। আজকাল মানুষ সোনা-রূপা ছাড়াও স্টিলের বাসন, পিতলের সামগ্রী, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী (যেমন মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, টিভি), এমনকি গাড়ি বা নতুন বাড়িও এই শুভ দিনে বুকিং করে। উৎসবের এই মরসুমকে ঘিরে বিক্রেতারা বিভিন্ন ছাড় ও অফার ঘোষণা করেন, যা গ্রাহকদের আরও বেশি করে কেনাকাটায় উৎসাহিত করে।

পরিসংখ্যান কী বলছে? (তথ্য ও বিশ্লেষণ)

উৎসবের মরসুমে গ্রাহকদের ব্যয় ভারতের জিডিপি-তে একটি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে।

  • সোনা ও রূপার চাহিদা: World Gold Council (WGC)-এর তথ্য অনুযায়ী, ভারতে প্রতি বছর উৎসবের মরসুমে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) সোনার চাহিদা তুঙ্গে থাকে। ধনতেরাস এই চাহিদার একটি বড় অংশকে চালিত করে। ভারতে গহনার চাহিদা প্রায়শই এই ত্রৈমাসিকে অন্যান্য ত্রৈমাসিকের তুলনায় ৩০-৪০% বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়।
  • খুচরো বাজারের বৃদ্ধি: ভারতের ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ সংগঠন, Confederation of All India Traders (CAIT), প্রায়শই দীপাবলি মরসুমের বিক্রয়ের পরিসংখ্যান প্রকাশ করে। পূর্ববর্তী বছরগুলির রিপোর্ট অনুসারে, এই সময়ে দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা হয়, যা অর্থনীতিতে নগদ প্রবাহ বাড়ায় এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে।
  • ভোক্তাদের মনোভাব: উৎসবের মরসুম সাধারণত ভোক্তাদের মনোভাবকে ইতিবাচক রাখে। Reserve Bank of India (RBI) দ্বারা প্রকাশিত মাসিক ‘কনজিউমার কনফিডেন্স সার্ভে’ (Consumer Confidence Survey) প্রায়শই দেখায় যে উৎসবের মাসগুলিতে মানুষ অ-প্রয়োজনীয় ব্যয়ের (non-essential spending) প্রতি বেশি আগ্রহী থাকে, যা ধনতেরাসের কেনাকাটার প্রবণতাকে সমর্থন করে।

আধুনিক ধনতেরাস: ডিজিটাল গোল্ড ও নতুন ট্রেন্ড

প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে ধনতেরাস উদযাপনের ধরণেও পরিবর্তন এসেছে। আজকের তরুণ প্রজন্ম ভৌত সোনার (Physical Gold) পাশাপাশি ডিজিটাল সম্পদে বিনিয়োগ করতে বেশি আগ্রহী হচ্ছে।

ডিজিটাল গোল্ড: অনেক ফিনটেক প্ল্যাটফর্ম এখন ‘ডিজিটাল গোল্ড’ কেনার সুবিধা প্রদান করে, যেখানে গ্রাহকরা খুব কম পরিমাণে (এমনকি ১ টাকাতেও) ২৪-ক্যারেট সোনা কিনতে পারেন এবং তা সুরক্ষিত ভল্টে জমা রাখতে পারেন।

সভরিন গোল্ড বন্ড (SGB): ভারত সরকার কর্তৃক জারি করা Sovereign Gold Bonds (SGBs) একটি জনপ্রিয় বিকল্প হয়ে উঠেছে। এটি কেবল সোনার দামের বৃদ্ধিই নয়, বার্ষিক নির্দিষ্ট সুদও প্রদান করে, যা একে একটি লাভজনক বিনিয়োগে পরিণত করেছে।

এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ড (ETFs): গোল্ড ইটিএফ (Gold ETFs) হলো আরেকটি উপায়, যা স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে সোনায় বিনিয়োগ করার সুবিধা দেয়, এতে ভৌত সোনা ধরে রাখার ঝুঁকি থাকে না।

এই নতুন মাধ্যমগুলি, যেমন Forbes Advisor বা অন্যান্য আর্থিক প্রকাশনাগুলিতে আলোচিত হয়, সেগুলি দেখায় যে ভারতীয়রা ঐতিহ্যকে বজায় রেখেই আধুনিক আর্থিক সরঞ্জামগুলিকে গ্রহণ করছে। এটি উৎসবের বিবর্তনকে তুলে ধরে।

ধনতেরাস ২০২৫: সেরা ৫০টি শুভেচ্ছা, বার্তা ও উদ্ধৃতি

এই ধনতেরাসে আপনার প্রিয়জনদের সাথে আনন্দ ভাগ করে নিতে, আমরা নিয়ে এসেছি সেরা ৫০টি বাছাই করা শুভেচ্ছা বার্তা।

পরিবারের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা (Heartfelt Wishes for Family)

  1. “মা লক্ষ্মী ও ভগবান ধন্বন্তরির আশীর্বাদে আপনার পরিবারে সুখ, সমৃদ্ধি ও সুস্বাস্থ্য উপচে পড়ুক। শুভ ধনতেরাস!”
  2. “এই ধনতেরাসে আপনার ঘর ধন-ধান্যে ভরে উঠুক, সুস্বাস্থ্য হোক আপনার নিত্যসঙ্গী। পরিবারের সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।”
  3. “ভগবান কুবেরের আশীর্বাদ সর্বদা আপনার পরিবারের উপর থাকুক। এই ধনতেরাস আপনার জীবনে অফুরন্ত আনন্দ নিয়ে আসুক।”
  4. “দীপাবলির প্রদীপ যেমন অন্ধকার দূর করে, তেমনই এই ধনতেরাস আপনার জীবনের সমস্ত দুঃখ দূর করে আলোয় ভরিয়ে দিক। শুভ ধনতেরাস ২০২৫!”
  5. “ছোট্ট প্রদীপের আলো, রুপোর ঝিলিক আর সোনার আভা—এই ধনতেরাস আপনার পরিবারের জন্য নিয়ে আসুক নতুন আশা। ভালো কাটুক উৎসবের দিনগুলি।”
  6. “ধনতেরাসের এই শুভক্ষণে কামনা করি, আপনার পরিবারের প্রতিটি সদস্য যেন স্বাস্থ্যবান ও সম্পদশালী হন। শুভ ধনতেরাস।”
  7. “মা লক্ষ্মীর কৃপায় আপনার ভাণ্ডার সর্বদা পূর্ণ থাকুক। ধনতেরাসের প্রীতি ও শুভেচ্ছা নেবেন।”
  8. “এই শুভ ধনত্রয়োদশী আপনার জীবনে কেবল সম্পদই নয়, নিয়ে আসুক মানসিক শান্তি ও পারিবারিক সুখ। শুভ ধনতেরাস।”
  9. “ধনতেরাসের পবিত্র আগুন আপনার হৃদয়ের সমস্ত নেতিবাচকতা পুড়িয়ে দিক এবং আপনার বাড়িকে সমৃদ্ধিতে আলোকিত করুক।”
  10. “পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করি। ভগবান ধন্বন্তরি আপনাদের রক্ষা করুন। শুভ ধনতেরাস।”

 বন্ধু ও প্রিয়জনদের জন্য বার্তা (Messages for Friends and Loved Ones)

  1. “বন্ধু, এই ধনতেরাসে তোমার জীবনও যেন সোনা-রূপার মতো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। শুভ ধনতেরাস!”
  2. “কামনা করি, মা লক্ষ্মী যেন তোমার দরজায় কড়া নাড়েন এবং তোমাকে সুখ, সমৃদ্ধি ও সাফল্যের আশীর্বাদ দেন। হ্যাপি ধনতেরাস, বন্ধু।”
  3. “ধনতেরাসের এই শুভ দিনে তোমার সমস্ত স্বপ্ন সত্যি হোক। ভগবান ধন্বন্তরি তোমায় সুস্বাস্থ্য দিন। খুব আনন্দ করো।”
  4. “তোমার জীবন ধন-সম্পদে ভরে উঠুক, আর মন ভরে উঠুক খুশিতে। শুভ ধনতেরাস ২০২৫।”
  5. “প্রদীপের আলোয় দূর হোক সব অন্ধকার। এই ধনতেরাস তোমার জীবনে নতুন সুযোগ আর সাফল্য নিয়ে আসুক। শুভেচ্ছা রইল।”
  6. “শুধু টাকা-পয়সা নয়, ভালো বন্ধু ও সুস্বাস্থ্যও জীবনের বড় সম্পদ। এই ধনতেরাসে তোমার জন্য দুটোই কামনা করি। শুভ ধনতেরাস।”
  7. “যমরাজের প্রদীপ তোমার জীবনের সমস্ত বাধা-বিপত্তি দূর করুক। আনন্দে কাটুক তোমার ধনতেরাস।”
  8. “তোমার জন্য এই ধনতেরাসের উপহার হোক—এক ব্যাগ স্বাস্থ্য, এক বাক্স সমৃদ্ধি আর অফুরন্ত হাসি। শুভ হোক সব।”
  9. “শুভ ধনতেরাস! আশা করি এই উৎসব তোমার জীবনে নতুন সূচনা এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিয়ে আসবে।”
  10. “সোনা-রূপার মতো তোমার বন্ধুত্বও আমার কাছে মূল্যবান। এই ধনতেরাস তোমার জীবনে ঝকঝকে মুহূর্ত নিয়ে আসুক।”

সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্যাটাস (WhatsApp, Facebook & Instagram Status)

  1. “এই ধনতেরাসে আপনার জীবনও সোনা-রূপার মতো উজ্জ্বল হয়ে উঠুক! ✨ হ্যাপি ধনতেরাস ২০২৫!”
  2. “মা লক্ষ্মী আসুক ঘরে, ভগবান ধন্বন্তরি দিক সুস্বাস্থ্যের বর। সকলকে জানাই শুভ ধনতেরাসের আন্তরিক শুভেচ্ছা। 🪔”
  3. “ধনতেরাসের শুভক্ষণে কিনুন নতুন কিছু, যা আপনার জীবনে সৌভাগ্য বয়ে আনবে। শুভ ধনতেরাস! 🪙”
  4. “সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি—এই ধনতেরাসে আপনার জীবনে এই তিনেরই আগমন ঘটুক। শুভ ধনতেরাস। 🙏”
  5. “প্রদীপের আলোয় আলোকিত হোক জীবন, মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদে পূর্ণ হোক ভুবন। শুভ ধনতেরাস ২০২৫।”
  6. “ধন নয়, স্বাস্থ্যই আসল সম্পদ। এই ধনতেরাসে সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করি। #Dhanteras2025 #HealthIsWealth”
  7. “নতুন বাসন, নতুন গয়না, নতুন আশা। ধনতেরাসের উৎসব শুরু হলো। সকলকে শুভেচ্ছা! 🎉”
  8. “যম দীপদান—অকালমৃত্যু দূর হোক, জীবনে আসুক দীর্ঘায়ু ও আনন্দ। শুভ ধনতেরাস।”
  9. “আশা করি মা লক্ষ্মী আপনার সমস্ত আর্থিক কষ্ট দূর করবেন এবং কুবেরের ভাণ্ডার আপনার জন্য খুলে দেবেন। হ্যাপি ধনতেরাস!”
  10. “ধনতেরাস মানে শুধু কেনাকাটা নয়, ধনতেরাস মানে সুস্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধিকে বরণ করে নেওয়া। 💖”

পেশাগত ও ফর্মাল শুভেচ্ছা (Professional and Formal Wishes – Colleagues/Clients)

  1. “আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে ধনতেরাসের আন্তরিক শুভেচ্ছা। এই উৎসব আপনার জীবনে সমৃদ্ধি ও সাফল্য বয়ে আনুক।”
  2. “শুভ ধনতেরাস। মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদে আপনার ব্যবসা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাক এবং নতুন উচ্চতা স্পর্শ করুক।”
  3. “আপনার এবং আপনার প্রতিষ্ঠানের সকলকে ধনতেরাসের শুভকামনা। আগামী বছরটি আপনার জন্য লাভজনক ও সফল হোক।”
  4. “ধনতেরাসের এই শুভ উপলক্ষে, আমরা আপনার অবিরাম সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। আশা করি আমাদের এই সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। শুভ ধনতেরাস।”
  5. “কামনা করি এই ধনতেরাস আপনার পেশাগত জীবনে নতুন সুযোগ এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আসুক। শুভেচ্ছা রইল।”
  6. “ভগবান ধন্বন্তরির আশীর্বাদে আপনি ও আপনার সহকর্মীরা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হোন। শুভ ধনতেরাস।”
  7. “এই ধনতেরাস আপনার সমস্ত বিনিয়োগকে সফল করুক এবং আপনার ভাণ্ডার সমৃদ্ধিতে পূর্ণ করুক। শুভ ধনতেরাস ২০২৫।”
  8. “আপনার কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠা যেন এই ধনতেরাসে সাফল্যের পথ প্রশস্ত করে। আপনাকে ও আপনার টিমকে শুভেচ্ছা।”
  9. “দীপাবলির এই শুভ সূচনায় আপনাকে ধনতেরাসের শুভেচ্ছা জানাই। আপনার দিনগুলি আনন্দে ভরে উঠুক।”
  10. “সমৃদ্ধি ও সুস্বাস্থ্যের এই উৎসবে আপনাকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। শুভ ধনতেরাস।”

ছোট ও আকর্ষণীয় বার্তা (Short and Catchy Messages)

  1. “ধনতেরাস শুভ হোক! ঘরে আসুক লক্ষ্মী।”
  2. “শুভ ধনতেরাস! সুস্বাস্থ্যই সম্পদ।”
  3. “আপনার জীবন সম্পদে ভরে উঠুক। হ্যাপি ধনতেরাস!”
  4. “ধনতেরাসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।”
  5. “লক্ষ্মী আসুক, অলক্ষ্মী দূর হোক। শুভ ধনতেরাস।”
  6. “শুভ ধনতেরাস! আপনার ভাণ্ডার পূর্ণ থাকুক।”
  7. “সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি আসুক। শুভ ধনতেরাস।”
  8. “ভগবান ধন্বন্তরি আশীর্বাদ করুন। শুভ ধনতেরাস।”
  9. “সোনা-রূপায় ভরে উঠুক আপনার জীবন। হ্যাপি ধনতেরাস!”
  10. “ধনতেরাসের আলোয় উজ্জ্বল হোক আপনার ভাগ্য।”

ধনতেরাস কেবল সোনা বা রূপা কেনার দিন নয়; এটি তার চেয়েও গভীর অর্থ বহন করে। এটি আমাদের জীবনের প্রকৃত সম্পদ—অর্থাৎ সুস্বাস্থ্য, পারিবারিক বন্ধন এবং মানসিক শান্তিকে উদযাপন করার উৎসব। ভগবান ধন্বন্তরির পূজা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল এবং মা লক্ষ্মীর আরাধনা আমাদের শেখায় অর্জিত সম্পদকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে। যখন আমরা বাড়ির বাইরে ‘যম দীপদান’ করি, তখন আমরা কেবল অশুভ শক্তিকেই দূরে রাখি না, আমরা জীবনের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করি।

২০২৫ সালের এই ধনতেরাসে, আসুন আমরা কেবল বস্তুগত সমৃদ্ধিই নয়, জ্ঞান, স্বাস্থ্য এবং মানবিকতার মতো শাশ্বত সম্পদ অর্জনের জন্যও প্রার্থনা করি। আপনার এবং আপনার পরিবারের ধনতেরাস কাটুক আনন্দে, আলোয় ও সমৃদ্ধিতে।

About Author
মনীষা মুখার্জী