Benefits of raisins for skin fairness: কিসমিস খেলে কি ফর্সা হয় – এই প্রশ্নটি অনেকেরই মনে জাগে। আসলে কিসমিস শুধু স্বাদেই নয়, ত্বকের জন্যও অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। এর মধ্যে রয়েছে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান যা আপনার ত্বককে করে তুলতে পারে আরও সুন্দর, উজ্জ্বল ও ফর্সা। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে কিসমিস আপনার ত্বককে করে তুলতে পারে আরও আকর্ষণীয়।
কিসমিস ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ যা ত্বককে রাখে সুস্থ ও সতেজ। বিশেষ করে কিসমিসে থাকা ভিটামিন সি ও ই কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে, যা ত্বককে রাখে নমনীয় ও যৌবনসুলভ।এছাড়াও কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল যৌগ, যা ত্বককে রক্ষা করে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকেল থেকে। ফলে ত্বকের বয়স বাড়ার প্রক্রিয়া ধীর হয় এবং ত্বক দীর্ঘদিন থাকে তরুণ ও উজ্জ্বল।
ত্বক ফর্সা করার জাদুকরী ফল: বিজ্ঞান প্রমাণিত ১০টি skin whitening ফলের তালিকা
কিসমিস নিয়মিত খাওয়ার ফলে ত্বক হয় আরও ফর্সা ও উজ্জ্বল। এর পিছনে রয়েছে কয়েকটি কারণ:
কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন পলিফেনল, ফ্লাভোনয়েড ইত্যাদি। এগুলো ত্বককে রক্ষা করে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকেল থেকে যা ত্বকের কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং ত্বককে করে তোলে নিষ্প্রভ। ফলে নিয়মিত কিসমিস খেলে ত্বক থাকে সতেজ ও উজ্জ্বল।
কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে যা ত্বককে রাখে টানটান ও যৌবনসুলভ। এছাড়াও ভিটামিন সি ত্বকের রঙ ফর্সা করতে সাহায্য করে।
কিসমিসে থাকা আয়রন রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে ত্বকের কোষগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন ও পুষ্টি পৌঁছায়। এর ফলে ত্বক হয় আরও সজীব ও উজ্জ্বল।
কিসমিস শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। এর ফলে রক্ত হয় বিশুদ্ধ এবং ত্বক পায় স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা। বিশেষ করে কিসমিস ভেজানো পানি খেলে শরীর থেকে টক্সিন দূর হয় দ্রুত।
কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক থাকে নরম ও কোমল। শুষ্ক ত্বকের সমস্যা থেকেও মুক্তি মেলে।
কিসমিস থেকে সর্বোচ্চ উপকার পেতে হলে সঠিক পদ্ধতিতে খাওয়া জরুরি। নিচে কয়েকটি পদ্ধতি দেওয়া হল:১. প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১০-১৫টি কিসমিস খেতে পারেন।২. রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ১০-১২টি কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই পানি ও কিসমিস খেয়ে নিন।৩. দুধের সাথে কিসমিস মিশিয়ে খেতে পারেন।৪. সালাদের সাথে কিসমিস যোগ করে খেতে পারেন।৫. নাস্তার সময় মুষ্টি ভর্তি কিসমিস খেতে পারেন।
কিসমিস শুধু ত্বকের জন্যই নয়, সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। নিচে কিসমিসের কিছু উপকারিতা দেওয়া হল:
যদিও কিসমিস অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার, তবুও এর অতিরিক্ত সেবন ক্ষতিকর হতে পারে। নিচে কয়েকটি সতর্কতা উল্লেখ করা হল:১. ডায়াবেটিস রোগীদের কিসমিস খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকে।২. কিসমিসে ক্যালরির পরিমাণ বেশি থাকে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যক্তিদের সীমিত পরিমাণে কিসমিস খাওয়া উচিত।৩. কিসমিসে সালফাইট থাকতে পারে। যাদের সালফাইট এলার্জি আছে তাদের কিসমিস খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।৪. অতিরিক্ত কিসমিস খেলে পেটে গ্যাস হতে পারে।৫. কিসমিস খাওয়ার পর দাঁত ভালোভাবে পরিষ্কার করা উচিত। কারণ এতে থাকা চিনি দাঁতে ক্ষয় ধরাতে পারে।
কিসমিস খেলে কি ফর্সা হয় – এই প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ। কিসমিস নিয়মিত খেলে ত্বক হয় আরও উজ্জ্বল, সতেজ ও ফর্সা। তবে শুধুমাত্র কিসমিস খেলেই ত্বক ফর্সা হবে না। এর সাথে সুষম খাবার, পর্যাপ্ত ঘুম, নিয়মিত ব্যায়াম এবং ত্বকের যত্ন নেওয়া জরুরি। তাই ত্বককে সুন্দর ও ফর্সা রাখতে কিসমিসকে আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন।
মন্তব্য করুন