কলা বউ বা নবপত্রিকা হল নয়টি গাছের সমন্বয়ে তৈরি একটি প্রতীকী দেবী মূর্তি। এর মধ্যে কলা গাছটি প্রধান। সপ্তমীর দিন ভোরে এই কলা বউকে স্নান করানো হয় নদী বা পুকুরের জলে। তারপর তাকে লাল পাড় সাদা শাড়ি পরিয়ে সাজানো হয় নববধূর মতো। এরপর তাকে স্থাপন করা হয় গণেশের পাশে।কিন্তু কলা বউ কি সত্যিই গণেশের স্ত্রী? এ নিয়ে রয়েছে নানা মত। একটি জনপ্রিয় কিংবদন্তি অনুযায়ী, একবার গণেশের বিয়ে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের আগে গণেশ বাড়ি ফিরে দেখেন তাঁর মা দুর্গা প্রচুর খাবার খাচ্ছেন। কারণ জিজ্ঞেস করায় দুর্গা বলেন, “যদি তোর বউ আমাকে খেতে না দেয়?” এ কথা শুনে গণেশ একটি কলা গাছ কেটে এনে মাকে দিয়ে বলেন, “এই তোমার বউ”। এভাবেই নাকি কলা বউয়ের উৎপত্তি।কিন্তু এই গল্পটি কতটা বিশ্বাসযোগ্য?
গণেশ মন্ত্রের অলৌকিক শক্তি: জীবনের সকল সমস্যার সমাধান এক মন্ত্রে!
বাংলার কিছু অঞ্চলে এখনও নবপত্রিকা পূজার প্রাচীন রূপ দেখা যায়। সেখানে কলা গাছের সাথে অন্য আটটি গাছের ডাল বেঁধে পূজা করা হয়। এটি মূলত ফসলের দেবী হিসেবে পূজিত হত। শরৎকালে ফসল কাটার আগে কৃষকরা এই পূজা করতেন ভালো ফসলের আশায়।কলকাতার বনেদি বাড়িগুলোতে একসময় নবপত্রিকা স্নান খুব জাঁকজমকের সাথে পালন করা হত। রানী রাসমণির স্বামী নবপত্রিকা স্নানের জন্য গঙ্গার দিকে একটি রাস্তাও তৈরি করেছিলেন। কিন্তু কালক্রমে মূর্তি পূজা বেশি প্রাধান্য পাওয়ায় নবপত্রিকার গুরুত্ব কিছুটা কমে গেছে।
গণেশ ঠাকুরের মূর্তি কোন দিকে রাখলে আসবে সৌভাগ্য?