Northern Bangladesh transportation: দ্রুতযান এক্সপ্রেস বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় আন্তঃনগর ট্রেন যা রাজধানী ঢাকা এবং উত্তরাঞ্চলের পঞ্চগড় জেলার মধ্যে চলাচল করে। এটি বাংলাদেশ রেলওয়ের অধীনে পরিচালিত হয় এবং ৭৫৭/৭৫৮ নম্বর কোডে চিহ্নিত। দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ঢাকা থেকে পঞ্চগড় এবং পঞ্চগড় থেকে ঢাকা রুটে যাতায়াত করে, যা যাত্রীদের জন্য একটি দ্রুত ও আরামদায়ক ভ্রমণের সুযোগ প্রদান করে।
দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি ২৪ জুন ১৯৮৮ সালে প্রথম যাত্রা শুরু করে। প্রথমে এটি দিনাজপুর থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করত, পরবর্তীতে এর রুট বর্ধিত করে পঞ্চগড় পর্যন্ত করা হয়। বর্তমানে এটি ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে পঞ্চগড়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করে।দ্রুতযান এক্সপ্রেস বাংলাদেশের অন্যতম দ্রুতগামী ও বিলাসবহুল ট্রেন হিসেবে পরিচিত। এর মোট বগি সংখ্যা ১৫টি এবং ভ্রমণ দূরত্ব ৫০৯ কিলোমিটার (৩১৬ মাইল)। ট্রেনটি ১,৬৭৬ মিলিমিটার (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি) গেজের ট্র্যাকে চলে এবং এর পরিচালন গতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার।
দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রতিদিন নিয়মিতভাবে চলাচল করে এবং এর কোনো সাপ্তাহিক ছুটির দিন নেই। নিচে ট্রেনটির বিস্তারিত সময়সূচি দেওয়া হলো:
দিক | ট্রেন নম্বর | ছাড়ার স্থান | ছাড়ার সময় | পৌঁছানোর স্থান | পৌঁছানোর সময় | যাত্রার সময়কাল |
---|---|---|---|---|---|---|
ঢাকা থেকে পঞ্চগড় | ৭৫৭ | ঢাকা | রাত ০৮:০০ | পঞ্চগড় | সকাল ০৬:০০ | ১০ ঘণ্টা |
পঞ্চগড় থেকে ঢাকা | ৭৫৮ | পঞ্চগড় | সকাল ০৭:২০ | ঢাকা | সন্ধ্যা ০৬:৫৫ | ১০ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট |
দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি তার যাত্রাপথে মোট ২৫টি স্টেশনে বিরতি দেয়। এই বিরতিগুলো যাত্রীদের উঠা-নামা এবং ট্রেনের প্রয়োজনীয় পরিচর্যার জন্য ব্যবহৃত হয়। প্রধান বিরতি স্টেশনগুলো হল:
দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে বিভিন্ন শ্রেণির আসন রয়েছে, যেমন এসি, নন-এসি এবং শোভন শ্রেণি। টিকেটের মূল্য শ্রেণি ও গন্তব্যের দূরত্বের উপর নির্ভর করে। যাত্রীরা অনলাইনে বা রেলওয়ে স্টেশন থেকে টিকেট সংগ্রহ করতে পারেন।
দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রীদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে:
দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল ও রাজধানীর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। এটি:
২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকে দ্রুতযান এক্সপ্রেস সহ বিভিন্ন ট্রেনের সময়সূচিতে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই পরিবর্তনগুলো যাত্রীদের আরও ভাল সেবা প্রদানের লক্ষ্যে করা হয়েছে। প্রধান পরিবর্তনগুলো হল:
দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেন পরিচালনায় কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে:
এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে:
চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ২০২৫: আপনার যাত্রার নির্ভরযোগ্য সঙ্গী
দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেন বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এটি শুধু যাত্রী পরিবহনই নয়, দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নেও ভূমিকা পালন করছে। ভবিষ্যতে আরও আধুনিক ও দক্ষ পরিষেবা প্রদানের মাধ্যমে দ্রুতযান এক্সপ্রেস বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে আশা করা যায়।
মন্তব্য করুন