Top 10 methods to choose a laptop: ল্যাপটপ কেনা একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। একটি ভালো ল্যাপটপ আপনার কাজের গতি বাড়াতে এবং অভিজ্ঞতা উন্নত করতে পারে। কিন্তু বাজারে এত বেশি অপশন থাকায় সঠিক ল্যাপটপ বেছে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তাই আজ আমরা জানবো ল্যাপটপ কেনার সময় কোন বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে।
ল্যাপটপ কেনার প্রথম ধাপ হলো অপারেটিং সিস্টেম বেছে নেওয়া। বর্তমানে তিনটি প্রধান অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে – Windows, macOS এবং Chrome OS।Windows সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বহুমুখী অপারেটিং সিস্টেম। এটি সহজেই কাস্টমাইজ করা যায় এবং গেমিং এর জন্য সেরা।macOS Apple এর নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম যা শুধুমাত্র MacBook এ পাওয়া যায়। এটি ডিজাইন এবং মিডিয়া এডিটিং এর জন্য জনপ্রিয়।Chrome OS Google এর তৈরি একটি হালকা অপারেটিং সিস্টেম যা মূলত ওয়েব ব্রাউজিং এর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক অপারেটিং সিস্টেম বেছে নিন।
ফোন-ল্যাপটপে ৭৫% পর্যন্ত ছাড়! আসছে Amazon Great Indian Festival – জেনে নিন সব খুঁটিনাটি
প্রসেসর হলো ল্যাপটপের মস্তিষ্ক। এটি যত শক্তিশালী হবে, আপনার ল্যাপটপ তত দ্রুত কাজ করবে। বর্তমানে Intel এবং AMD দুটি প্রধান প্রসেসর ব্র্যান্ড।Intel প্রসেসর:
AMD প্রসেসর:
আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক প্রসেসর বেছে নিন।
RAM বা Random Access Memory হলো ল্যাপটপের অস্থায়ী মেমোরি। এটি যত বেশি হবে, আপনি তত বেশি অ্যাপ্লিকেশন একসাথে চালাতে পারবেন।
বেশিরভাগ ব্যবহারকারীর জন্য ৮ GB RAM যথেষ্ট। তবে ভারী কাজ বা গেমিং এর জন্য ১৬ GB বা তার বেশি RAM প্রয়োজন হতে পারে।
ল্যাপটপে দুই ধরনের স্টোরেজ ব্যবহার করা হয় –
HDD (Hard Disk Drive) এবং SSD (Solid State Drive)।HDD:
SSD:
সাধারণত ২৫৬ GB থেকে ১ TB পর্যন্ত স্টোরেজ বেশিরভাগ ব্যবহারকারীর জন্য যথেষ্ট। তবে ভিডিও এডিটিং বা গেমিং এর জন্য আরও বেশি স্টোরেজ প্রয়োজন হতে পারে।
ল্যাপটপের ডিসপ্লে সাইজ ১১ ইঞ্চি থেকে ১৭ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। ছোট ডিসপ্লে পোর্টেবল কিন্তু বড় ডিসপ্লে দেখতে ভালো।রেজোলিউশন হলো স্ক্রিনে পিক্সেলের সংখ্যা। উচ্চ রেজোলিউশন ভালো ছবি দেয়।
বেশিরভাগ ব্যবহারকারীর জন্য ১৪ ইঞ্চি Full HD ডিসপ্লে যথেষ্ট।
গ্রাফিক্স কার্ড দুই ধরনের হয় – ইন্টিগ্রেটেড এবং ডেডিকেটেড।ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক্স:
ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স:
সাধারণ ব্যবহারের জন্য ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক্স যথেষ্ট। কিন্তু গেমিং বা ভিডিও এডিটিং এর জন্য ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স প্রয়োজন।
ল্যাপটপের ব্যাটারি লাইফ ৪ ঘন্টা থেকে ১২ ঘন্টা পর্যন্ত হতে পারে। যদি আপনি প্রায়ই ভ্রমণ করেন বা বাইরে কাজ করেন, তাহলে দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফের ল্যাপটপ বেছে নিন।ব্যাটারি লাইফ নির্ভর করে:
সাধারণত ৮ ঘন্টা বা তার বেশি ব্যাটারি লাইফ ভালো বলে বিবেচিত হয়।
ল্যাপটপ ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করার ৫টি অব্যর্থ উপায় – যা আপনার অর্থ ও সময় বাঁচাবে!
ল্যাপটপের ওজন ১ কেজি থেকে ৩ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। যদি আপনি প্রায়ই ল্যাপটপ বহন করেন, তাহলে হালকা ল্যাপটপ বেছে নিন।
বেশিরভাগ ব্যবহারকারীর জন্য ২ কেজি পর্যন্ত ওজনের ল্যাপটপ সুবিধাজনক।
ল্যাপটপের কীবোর্ড এবং টাচপ্যাড আপনার অভিজ্ঞতাকে প্রভাবিত করে। তাই এগুলো পরীক্ষা করে দেখুন:
ল্যাপটপের দাম ২০,০০০ টাকা থেকে ২,০০,০০০ টাকা বা তারও বেশি হতে পারে। আপনার প্রয়োজন এবং বাজেট অনুযায়ী সঠিক ল্যাপটপ বেছে নিন।
মনে রাখবেন, দামি ল্যাপটপ সবসময় ভালো হয় না। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক ল্যাপটপ বেছে নিন।
ল্যাপটপ কেনা একটি বড় বিনিয়োগ। তাই সময় নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিন। উপরের টিপসগুলো মাথায় রেখে ল্যাপটপ কিনলে আপনি নিশ্চিতভাবে একটি ভালো ল্যাপটপ পাবেন যা আপনার প্রয়োজন মেটাবে।
মন্তব্য করুন