Problems caused by kidney stones: কিডনি পাথর একটি অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক অবস্থা যা আপনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে বিপর্যস্ত করতে পারে। এই সমস্যাটি সাধারণত ৩০-৬০ বছর বয়সের মধ্যে দেখা যায়, তবে যে কোনো বয়সেই হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিডনি পাথরের কারণে কী কী সমস্যা হতে পারে।
কিডনি পাথরের সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গ হল তীব্র ব্যথা। এই ব্যথা সাধারণত পিঠের নিচের অংশে বা পাঁজরের নিচে অনুভূত হয়। ব্যথার তীব্রতা এতটাই বেশি হতে পারে যে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হতে পারে।
কিডনি ড্যামেজের ১০টি প্রারম্ভিক লক্ষণ যা আপনাকে সতর্ক করবে – জানুন কীভাবে বাঁচ
কিডনি পাথর মূত্রনালী দিয়ে নামার সময় মূত্রাশয়ে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ অনুভব হতে পারে এবং প্রস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়া হতে পারে।
কিডনি পাথর মূত্রনালীর ভিতরের দেওয়ালে ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে প্রস্রাবে রক্ত দেখা যেতে পারে। এটি একটি গুরুতর লক্ষণ যা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
তীব্র ব্যথার কারণে অনেক সময় বমি বমি ভাব এবং বমি হতে পারে। এর ফলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে যা আরও জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
কিডনি পাথরের কারণে মূত্রনালীতে সংক্রমণ হতে পারে। এর ফলে জ্বর ও কাঁপুনি দেখা দিতে পারে। এটি একটি জরুরি অবস্থা যা তাৎক্ষণিক চিকিৎসার প্রয়োজন।
বড় আকারের কিডনি পাথর মূত্রনালীতে আটকে গিয়ে মূত্রাশয়ে অবরোধ সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে কিডনির কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে এবং স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে।
দীর্ঘমেয়াদী কিডনি পাথরের সমস্যা ক্রনিক কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, কিডনি পাথর থাকা ব্যক্তিদের ক্রনিক কিডনি রোগের ঝুঁকি ৫০-৬৭% বেশি।
কিডনি পাথরের কারণে কিডনির কার্যক্ষমতা কমে গেলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
তীব্র ব্যথার কারণে কিডনি পাথর রোগীদের ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর ফলে দৈনন্দিন কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে এবং মানসিক চাপ বাড়তে পারে।
Kidney: গরমকালে কিভাবে সুস্থ রাখবেন কিডনি? [বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ]
কিডনি পাথরের কারণে রোগীর সামগ্রিক জীবনযাত্রার মানের অবনতি ঘটতে পারে। তীব্র ব্যথা, ঘন ঘন হাসপাতালে যাওয়া, কাজের ক্ষতি ইত্যাদির কারণে মানসিক চাপ বাড়তে পারে।কিডনি পাথরের এই সমস্যাগুলি এড়াতে নিয়মিত পানি পান করা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা জরুরি। কোনো উপসর্গ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে কিডনি পাথরের জটিলতা এড়ানো সম্ভব।