বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা বিভিন্ন বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পাবেন বলে জানা গেছে। গত ৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের এই অন্তর্বর্তী সরকার শপথ গ্রহণ করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা নিম্নলিখিত সুযোগ-সুবিধাগুলি পাবেন:
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস নিজেই ২৭টি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে:
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলির দায়িত্বে রয়েছেন:
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে রয়েছেন:
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য হলো:
পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, "আমরা সকল দেশের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে চাই। বড় দেশগুলোর সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।" আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা স্বাগত জানিয়েছে:
অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম বাংলাদেশের ভবিষ্যতের উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে:
তবে চ্যালেঞ্জও রয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ হবে। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, গত ৫ আগস্ট থেকে ৫২টি জেলায় সংখ্যালঘুদের উপর ২০৫টি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা যেসব সুযোগ-সুবিধা পাবেন তা তাদের দায়িত্ব পালনে সহায়ক হবে। তবে এই সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি তাদের উপর অর্পিত দায়িত্বও অনেক। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্মাণে তাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের জনগণ আশা করছে, অন্তর্বর্তী সরকার তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করে একটি নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে।