ভিসা ছাড়াই মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কাসহ ৪০টি দেশে ভ্রমণের সুযোগ বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য

Visa-free travel destinations: বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য সুখবর! ২০২৫ সালে বিশ্বের ৪০টি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশি নাগরিকরা। এর মধ্যে রয়েছে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, নেপালসহ বেশ কিছু আকর্ষণীয় পর্যটন…

Manoshi Das

 

Visa-free travel destinations: বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য সুখবর! ২০২৫ সালে বিশ্বের ৪০টি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশি নাগরিকরা। এর মধ্যে রয়েছে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, নেপালসহ বেশ কিছু আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্সের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশি পাসপোর্টের র‍্যাঙ্কিং বিশ্বে ৯৯তম স্থানে রয়েছে।

বাংলাদেশি পাসপোর্টের বৈশ্বিক অবস্থান

বাংলাদেশি পাসপোর্টের বৈশ্বিক অবস্থান তেমন শক্তিশালী না হলেও, ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্সে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৯তম। এই র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী, বাংলাদেশি নাগরিকরা ৪০টি দেশে ভিসা ছাড়াই বা অন-অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করতে পারবেন।

Most Powerful Countries in the World: 2024 Rankings

ভিসামুক্ত দেশের তালিকা

বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা যেসব দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারবেন, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  1. মালদ্বীপ
  2. শ্রীলঙ্কা
  3. ভুটান
  4. নেপাল
  5. বাহামাস
  6. বারবাডোস
  7. ডোমিনিকা
  8. ফিজি
  9. গ্রেনাডা
  10. হাইতি
  11. জামাইকা
  12. কিরিবাতি
  13. মাইক্রোনেশিয়া
  14. মন্টসেরাট
  15. রুয়ান্ডা
  16. সেন্ট কিটস ও নেভিস
  17. সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনস
  18. ট্রিনিদাদ ও টোবাগো
  19. ভানুয়াতু

ভিসা-অন-অ্যারাইভাল দেশসমূহ

এছাড়াও বেশ কিছু দেশে বাংলাদেশি নাগরিকরা ভিসা-অন-অ্যারাইভাল সুবিধা পাবেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দেশ হলো:

  1. বলিভিয়া
  2. বুরুন্ডি
  3. কম্বোডিয়া
  4. কেপ ভার্দে দ্বীপপুঞ্জ
  5. কমোরোস দ্বীপপুঞ্জ
  6. জিবুতি
  7. গিনি-বিসাউ
  8. মৌরিতানিয়া
  9. মোজাম্বিক
  10. সামোয়া
  11. সিয়েরা লিওন
  12. সোমালিয়া
  13. তিমোর-লেস্তে
  14. টুভালু

ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন (ইটিএ) প্রয়োজনীয় দেশসমূহ

কিছু দেশে ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন (ইটিএ) নিতে হবে। এই তালিকায় রয়েছে:

  1. শ্রীলঙ্কা
  2. কেনিয়া
  3. সেশেলস

বাংলাদেশি পাসপোর্টের তুলনামূলক অবস্থান

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের সাথে তুলনা করলে বাংলাদেশি পাসপোর্টের অবস্থান নিম্নরূপ:

দেশ র‍্যাঙ্ক ভিসামুক্ত দেশের সংখ্যা
মালদ্বীপ ৫৮ ৯৬
ভারত ৮৫ ৬২
ভুটান ৯২ ৫৫
শ্রীলঙ্কা ১০১ ৪৩
বাংলাদেশ ১০২ ৪২
নেপাল ১০৩ ৪০
পাকিস্তান ১০৬ ৩৪
আফগানিস্তান ১০৯ ২৮

ভিসামুক্ত ভ্রমণের সুবিধা

ভিসামুক্ত ভ্রমণের সুবিধাগুলো নিম্নরূপ:

  1. সময় ও অর্থ সাশ্রয়: ভিসা প্রক্রিয়ার জন্য অতিরিক্ত সময় ও অর্থ ব্যয় করতে হয় না।
  2. সহজ প্রবেশ: গন্তব্য দেশে পৌঁছানোর পর সরাসরি প্রবেশ করা যায়।
  3. স্বল্প সময়ের সিদ্ধান্ত: হঠাৎ ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিলেও কোনো সমস্যা হয় না।
  4. কম কাগজপত্র: ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত কাগজপত্র জমা দিতে হয় না।
  5. বারবার ভ্রমণের সুযোগ: অনেক দেশে একাধিকবার যাতায়াতের সুযোগ থাকে।

সতর্কতা ও বিবেচ্য বিষয়

ভিসামুক্ত ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মাথায় রাখা প্রয়োজন:

  1. পাসপোর্টের মেয়াদ: অধিকাংশ দেশে প্রবেশের জন্য পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস থাকতে হবে।
  2. থাকার সময়সীমা: প্রতিটি দেশের জন্য নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে থাকতে হবে।
  3. ভ্রমণের উদ্দেশ্য: শুধুমাত্র পর্যটন বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ভ্রমণের ক্ষেত্রে এই সুবিধা প্রযোজ্য।
  4. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: ফেরার টিকিট, হোটেল বুকিং, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ইত্যাদি সঙ্গে রাখা উচিত।
  5. বীমা: অনেক দেশে ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলক।

    জাল পাসপোর্ট রুখতে নতুন অ্যাপ আনছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার, কঠোর হচ্ছে ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া

বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসামুক্ত ভ্রমণের সুযোগ ক্রমশ বাড়ছে। ২০২৫ সালে ৪০টি দেশে ভিসা ছাড়াই বা সহজ প্রক্রিয়ায় ভ্রমণ করা যাবে। তবে প্রতিটি দেশের নিয়ম-কানুন ভালোভাবে জেনে নেওয়া জরুরি। সঠিক তথ্য ও প্রস্তুতি নিয়ে ভ্রমণ করলে অনেক দেশের সৌন্দর্য ও সংস্কৃতি উপভোগ করার সুযোগ পাওয়া যাবে। আশা করা যায়, আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশি পাসপোর্টের শক্তি আরও বাড়বে এবং বিশ্বের আরও বেশি দেশে ভিসামুক্ত ভ্রমণের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

About Author
Manoshi Das

মানসী দাস একজন মার্কেটিং এর ছাত্রী এবং আমাদের বাংলাদেশ প্রতিনিধি। তিনি তাঁর অধ্যয়ন ও কর্মজীবনের মাধ্যমে বাংলাদেশের বাজার ও ব্যবসায়িক পরিবেশ সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করেছেন। একজন উদীয়মান লেখিকা হিসেবে, মানসী বাংলাদেশের সামাজিক-অর্থনৈতিক অবস্থা, স্থানীয় বাজারের প্রবণতা এবং ব্র্যান্ডিং কৌশল নিয়ে লিখে থাকেন। তাঁর লেখনীতে বাংলাদেশের যুব সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি ও আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়।