Who will be the first trillionaire: এলন মাস্ক ২০২৭ সালের মধ্যে বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নেয়ার হতে পারেন বলে একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তার পরপরই ভারতের শীর্ষ ধনকুবের গৌতম আদানি ২০২৮ সালে দ্বিতীয় ট্রিলিয়নেয়ার হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছেন। দুবাইভিত্তিক ইনফর্মা কানেক্ট একাডেমির একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, টেসলা ও স্পেসএক্স-এর প্রতিষ্ঠাতা এলন মাস্কের সম্পদ বর্তমানে প্রতি বছর গড়ে ১০৯.৮৮% হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই হারে বৃদ্ধি পেতে থাকলে ২০২৭ সালের মধ্যেই তিনি ১ ট্রিলিয়ন ডলারের মালিক হয়ে যাবেন। বর্তমানে ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ ২৩৭ বিলিয়ন ডলার।
গৌতম আদানির ক্ষেত্রেও একই ধরনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তার সম্পদ প্রতি বছর গড়ে ১২২.৮৬% হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই হারে বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ২০২৮ সালের মধ্যে তিনি ১ ট্রিলিয়ন ডলারের মালিক হয়ে যাবেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমানে আদানির মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৪ বিলিয়ন ডলার।
আদানিদের ৪৫,৮৫৫ কোটি টাকা ঋণ মকুব! কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা
প্রতিবেদনে আরও কয়েকজন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছে যারা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ট্রিলিয়নেয়ার হতে পারেন:
একজন ব্যক্তির হাতে এত বিপুল পরিমাণ সম্পদ কেন্দ্রীভূত হওয়া নিয়ে বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অক্সফাম-এর একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের শীর্ষ ১% ধনীরা নিম্ন আয়ের ৬৬% মানুষের তুলনায় বেশি কার্বন নির্গমন করে। এটি জলবায়ু সংকটের একটি বড় কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
১ ট্রিলিয়ন ডলার এর পরিমাণ বোঝার জন্য কিছু তুলনামূলক তথ্য:
বিষয় | পরিমাণ |
---|---|
১ ট্রিলিয়ন ডলার | ১,০০০,০০০,০০০,০০০ ডলার |
১ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় | ১,০০০ গুণ বেশি |
অস্ট্রেলিয়ার মোট GDP | ১.৬ ট্রিলিয়ন ডলার |
ব্রাজিলের মোট GDP | ১.৯ ট্রিলিয়ন ডলার |
ইন্দোনেশিয়ার মোট GDP | ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলার |
অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করেন, কোনো ব্যক্তির পক্ষে ট্রিলিয়নেয়ার হওয়া সম্ভব নয় এবং তা কাম্যও নয়। মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস বলেছেন, “প্রথমবারের মতো মানুষ জিজ্ঞাসা করছে, বিলিয়নেয়ার থাকা উচিত কি না। যদি এমন কিছু বাস্তবায়ন করা হয়, তাহলে যা পাওয়া যাবে তার চেয়ে অনেক বেশি হারাতে হবে।”অর্থনীতির অধ্যাপক টাইলার কোয়েন মনে করেন, ট্রিলিয়নেয়ার হওয়ার ব্যক্তিগত সুবিধা তেমন নেই। বরং এটি সেই ব্যক্তিকে রাজনৈতিক লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পারে। তিনি বলেন, “যখনই এটি ঘটবে, বৈশ্বিক অর্থনীতি নিশ্চিত করবে যে একজন ট্রিলিয়নেয়ার হবে, এবং এর জন্য ফেডারেল রিজার্ভকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত, যে ব্যক্তি অর্থ উপার্জন করেছেন তাকে নয়।”
পৃথিবীর কক্ষপথে ১০,০০০ সক্রিয় স্যাটেলাইট: এলন মাস্কের নেতৃত্বে
বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নেয়ার হওয়ার দৌড়ে এলন মাস্ক এগিয়ে থাকলেও, গৌতম আদানিসহ আরও কয়েকজন ব্যক্তি তার পিছু নিয়েছেন। তবে এত বিপুল পরিমাণ সম্পদ একজন ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভূত হওয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। এর সামাজিক ও পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। যাই হোক, বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বিশ্ব তার প্রথম ট্রিলিয়নেয়ার দেখতে পারে।