ফিউজ তারের বৈশিষ্ট্য: আপনার বাড়ির অদৃশ্য প্রহরী! এর খুঁটিনাটি ও কার্যকারিতা জানুন

Fuse Wire Characteristics: বৈদ্যুতিক সার্কিট বা যন্ত্রপাতির সুরক্ষার জন্য ফিউজ তার একটি অপরিহার্য উপাদান। এটি মূলত একটি সুরক্ষা ব্যবস্থা যা অতিরিক্ত কারেন্ট প্রবাহ বা ওভারলোডের সময় নিজে গলে গিয়ে সার্কিটকে…

Avatar

 

Fuse Wire Characteristics: বৈদ্যুতিক সার্কিট বা যন্ত্রপাতির সুরক্ষার জন্য ফিউজ তার একটি অপরিহার্য উপাদান। এটি মূলত একটি সুরক্ষা ব্যবস্থা যা অতিরিক্ত কারেন্ট প্রবাহ বা ওভারলোডের সময় নিজে গলে গিয়ে সার্কিটকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়, যার ফলে মূল্যবান যন্ত্রপাতি এবং বাড়িঘর ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়। ফিউজ তারের কার্যকারিতা নির্ভর করে এর নির্দিষ্ট কিছু ভৌত বৈশিষ্ট্যের ওপর, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিম্ন গলনাঙ্ক (Low Melting Point) এবং উচ্চ রোধাঙ্ক (High Resistivity)। এই দুটি বৈশিষ্ট্যের কারণেই একটি ফিউজ তার সাধারণ অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহনে সাহায্য করে কিন্তু বিপদসীমা ছাড়ালেই নিজেকে উৎসর্গ করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এর গঠন সাধারণত টিন এবং সিসার সংকর ধাতু দিয়ে তৈরি হয়, যা এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলো প্রদান করে।

ফিউজ তার কী এবং কেন এটি এত গুরুত্বপূর্ণ?

ফিউজ তার হলো একটি নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য এবং ব্যাসের পরিবাহী তার, যা একটি বৈদ্যুতিক সার্কিটে শ্রেণি সমবায়ে (series connection) যুক্ত থাকে। এর প্রধান কাজ হলো একটি নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে তা তৎক্ষণাৎ বন্ধ করে দেওয়া। এটিকে অনেকটা একজন প্রহরীর সাথে তুলনা করা যায়, যে শুধু সঠিক পরিমাণ অতিথিকেই প্রবেশ করতে দেয় এবং অনুপ্রবেশকারী দেখলেই দরজা বন্ধ করে দেয়।

বৈদ্যুতিক ওভারলোড (Overload) বা শর্ট সার্কিট (Short Circuit) ঘটলে সার্কিটে হঠাৎ করে বিপুল পরিমাণ কারেন্ট প্রবাহিত হতে শুরু করে। এই অতিরিক্ত কারেন্ট বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, যেমন—টিভি, ফ্রিজ, কম্পিউটার, ইত্যাদির অভ্যন্তরীণ সার্কিট পুড়িয়ে ফেলতে পারে এবং তারের ইনসুলেশন গলিয়ে আগুন লাগার মতো মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (NCRB)-এর তথ্য অনুযায়ী, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে প্রতি বছর হাজার হাজার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এখানেই ফিউজ তারের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। এটি বিপদ ঘটার আগেই সার্কিট ব্রেক করে দেয়।

ফিউজ তারের ইতিহাস

ফিউজ তারের ধারণাটি নতুন নয়। ১৮৯০ সালে প্রখ্যাত বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন তাঁর বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার সুরক্ষার জন্য এর পেটেন্ট নেন। এরপর থেকেই এটি বিশ্বজুড়ে বৈদ্যুতিক নিরাপত্তার একটি মৌলিক উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যদিও বর্তমানে এর জায়গা নিয়েছে আধুনিক এমসিবি (Miniature Circuit Breaker), তবুও বহু পুরোনো বাড়ি এবং নির্দিষ্ট কিছু যন্ত্রপাতিতে এর ব্যবহার এখনও প্রচলিত।

ফিউজ তারের প্রধান বৈশিষ্ট্য (Key Characteristics of a Fuse Wire)

একটি আদর্শ ফিউজ তারের কার্যকারিতা তার উপাদান এবং গঠনের ওপর নির্ভর করে। এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

১. নিম্ন গলনাঙ্ক (Low Melting Point)

ফিউজ তারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এর গলনাঙ্ক খুব কম হতে হয়। এর কারণ হলো, সার্কিটের মূল পরিবাহী তার (সাধারণত তামা বা অ্যালুমিনিয়াম) গলে যাওয়ার আগেই যেন ফিউজ তারটি গলে যায়।

  • কেন এটি জরুরি? তামার গলনাঙ্ক প্রায় , যেখানে একটি আদর্শ ফিউজ তার (সাধারণত টিন ও সিসার সংকর) প্রায় থেকে তাপমাত্রায় গলে যায়। যদি ফিউজের গলনাঙ্ক বেশি হতো, তাহলে ওভারলোডের সময় ফিউজ অক্ষত থাকত এবং বাড়ির মূল ওয়্যারিং উত্তপ্ত হয়ে গলে যেত, যা থেকে আগুন লাগার সম্ভাবনা থাকত। তাই কম গলনাঙ্ক নিশ্চিত করে যে বিপদের প্রথম আঘাতেই ফিউজ সার্কিটকে বিচ্ছিন্ন করবে।

২. উচ্চ রোধাঙ্ক (High Resistivity)

রোধাঙ্ক বা Resistivity হলো কোনো পদার্থের বিদ্যুৎ প্রবাহকে বাধা দেওয়ার ক্ষমতা। ফিউজ তারের রোধাঙ্ক সার্কিটের মূল পরিবাহী তারের (যেমন তামা) চেয়ে বেশি হতে হয়।

  • এর পেছনের বিজ্ঞান: পদার্থবিজ্ঞানের জুলের সূত্র (Joule’s Law of Heating) অনুযায়ী, কোনো পরিবাহীতে উৎপন্ন তাপের পরিমাণ (H) তার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত কারেন্টের (I) বর্গ, পরিবাহীর রোধ (R) এবং সময়ের (t) সমানুপাতিক। সূত্রটি হলো:

    যেহেতু ফিউজ তারের রোধ (R) বেশি, তাই অল্প সময়েই অতিরিক্ত কারেন্ট (I) প্রবাহের ফলে এতে প্রচুর পরিমাণে তাপ (H) উৎপন্ন হয়। এই উৎপন্ন তাপই তারটিকে দ্রুত তার গলনাঙ্কে পৌঁছে দেয় এবং এটি গলে যায়। যদি রোধ কম হতো, তাহলে অতিরিক্ত কারেন্টেও এটি যথেষ্ট গরম হতে পারত না এবং তার প্রধান কাজ ব্যাহত হতো। Encyclopædia Britannica-এর মতো নির্ভরযোগ্য উৎসগুলো এই নীতিকেই ফিউজের কার্যকারিতার মূল ভিত্তি হিসেবে বর্ণনা করে।

৩. উপাদান (Material Composition)

ফিউজ তার সাধারণত বিশুদ্ধ ধাতু দিয়ে তৈরি হয় না, কারণ বিশুদ্ধ ধাতুর গলনাঙ্ক এবং রোধাঙ্কের সঠিক সমন্বয় থাকে না। তাই এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সংকর ধাতু (alloy) দিয়ে তৈরি হয়।

  • সাধারণ উপাদান: সবচেয়ে প্রচলিত ফিউজ তার টিন (Tin) এবং সিসা (Lead)-এর সংকর ধাতু দিয়ে তৈরি হয়। সাধারণত এর অনুপাত থাকে ৬৩% টিন এবং ৩৭% সিসা। এই অনুপাতটিকে ইউটেকটিক (eutectic) মিশ্রণ বলা হয়, যার গলনাঙ্ক এর উপাদান ধাতুগুলোর চেয়েও কম হয়।
  • অন্যান্য উপাদান: কিছু ক্ষেত্রে দস্তা (Zinc), রুপা (Silver), বা অ্যালুমিনিয়ামও ফিউজ তার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, বিশেষত উচ্চ কারেন্ট রেটিংয়ের ফিউজের জন্য।

৪. ব্যাস এবং দৈর্ঘ্য (Diameter and Length)

ফিউজ তারের কারেন্ট বহন করার ক্ষমতা তার ব্যাসের (thickness) ওপর সরাসরি নির্ভরশীল।

  • ব্যাস (Diameter): তার যত মোটা হবে, তার কারেন্ট রেটিং তত বেশি হবে। একটি ৫ অ্যাম্পিয়ার (5A) ফিউজ তার একটি ১৫ অ্যাম্পিয়ার (15A) ফিউজ তারের চেয়ে অনেক বেশি সরু হবে। ভুল রেটিংয়ের তার ব্যবহার করা বিপজ্জনক। যেমন, একটি ৫ অ্যাম্পিয়ার যন্ত্রে যদি ১৫ অ্যাম্পিয়ারের ফিউজ লাগানো হয়, তাহলে ওভারলোডের সময় যন্ত্রটি পুড়ে গেলেও ফিউজটি গলবে না।
  • দৈর্ঘ্য (Length): ফিউজের কার্যকারিতায় দৈর্ঘ্যের ভূমিকা তুলনামূলকভাবে কম, তবে এটি নির্দিষ্ট ফিউজ হোল্ডারে সঠিকভাবে ফিট করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

৫. অক্সিডেশন থেকে মুক্তি (Freedom from Oxidation)

একটি ভালো ফিউজ তার এমন উপাদান দিয়ে তৈরি হওয়া উচিত যা বাতাসের অক্সিজেনের সাথে সহজে বিক্রিয়া করে না (অক্সিডাইজড হয় না)। যদি তারের ওপর অক্সাইডের স্তর পড়ে, তবে এর রোধ পরিবর্তন হয়ে যায় এবং কার্যকারিতা কমে যায়। টিন-সিসার সংকর ধাতু এই দিক থেকে বেশ স্থিতিশীল।

ফিউজ তারের কার্যপ্রণালী (How a Fuse Wire Works)

ফিউজ তারের কাজ করার পদ্ধতি খুবই সহজ এবং জুলের তাপীয় ক্রিয়ার ওপর ভিত্তি করে চলে।

  1. স্বাভাবিক অবস্থা: যখন সার্কিটে স্বাভাবিক মাত্রায় কারেন্ট প্রবাহিত হয়, তখন ফিউজ তারে সামান্য তাপ উৎপন্ন হয়, কিন্তু তা বাতাসে বিলীন হয়ে যায়। ফলে তারটি কঠিন অবস্থাতেই থাকে এবং বিদ্যুৎ পরিবহন করে।
  2. অস্বাভাবিক অবস্থা (ওভারলোড/শর্ট সার্কিট): যখন কোনো কারণে কারেন্ট প্রবাহ নির্ধারিত সীমার চেয়ে বেড়ে যায়, তখন জুলের সূত্র () অনুযায়ী ফিউজ তারে উৎপন্ন তাপের পরিমাণ দ্রুত বাড়তে থাকে।
  3. গলন ও সার্কিট ব্রেক: উৎপন্ন তাপ যখন ফিউজ তারের গলনাঙ্কে পৌঁছে যায়, তখন তারটি গলে যায়। এর ফলে সার্কিটের মধ্যে একটি ফাঁক তৈরি হয় এবং বিদ্যুৎ প্রবাহ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়। এই প্রক্রিয়াটিকে “ফিউজ ব্লো করা” (blowing a fuse) বলা হয়। এর ফলে দামি যন্ত্রপাতি বা ওয়্যারিং সিস্টেম সুরক্ষিত থাকে।

সঠিক ফিউজ তার নির্বাচন করার উপায়

যেকোনো যন্ত্রের জন্য সঠিক মানের ফিউজ নির্বাচন করা অত্যন্ত জরুরি। ভুল ফিউজ ব্যবহার করলে তা সুরক্ষার বদলে বিপদের কারণ হতে পারে।

  • কারেন্ট রেটিং (Current Rating): ফিউজের প্যাকেটের গায়ে এর অ্যাম্পিয়ার রেটিং (যেমন 5A, 10A, 15A) লেখা থাকে। যন্ত্রের স্বাভাবিক কারেন্ট প্রবাহের চেয়ে সামান্য বেশি রেটিংয়ের ফিউজ ব্যবহার করা উচিত।
  • হিসাবের পদ্ধতি: কোনো যন্ত্রের কারেন্ট রেটিং বের করার সূত্র হলো:

    এখানে, I = কারেন্ট (অ্যাম্পিয়ার), P = পাওয়ার (ওয়াট), এবং V = ভোল্টেজ (ভোল্ট)।

    উদাহরণস্বরূপ, ভারতের ভোল্টেজ প্রায় ২৩০ ভোল্ট। যদি একটি ১০০০ ওয়াটের হিটার ব্যবহার করা হয়, তবে এর জন্য প্রয়োজনীয় কারেন্ট হবে:

    এই ক্ষেত্রে, একটি ৫ অ্যাম্পিয়ারের ফিউজ ব্যবহার করা নিরাপদ।

নিচে কিছু সাধারণ যন্ত্রের জন্য আনুমানিক ফিউজ রেটিং দেওয়া হলো:

যন্ত্রের নাম সাধারণ পাওয়ার (ওয়াট) প্রয়োজনীয় কারেন্ট (প্রায়) প্রস্তাবিত ফিউজ রেটিং
LED বাল্ব ১০ ওয়াট ০.০৪ অ্যাম্পিয়ার ১ অ্যাম্পিয়ার
মোবাইল চার্জার ২৫ ওয়াট ০.১ অ্যাম্পিয়ার ১ অ্যাম্পিয়ার
টেলিভিশন (LED) ১০০ ওয়াট ০.৪৩ অ্যাম্পিয়ার ২ বা ৩ অ্যাম্পিয়ার
কম্পিউটার ৩০০ ওয়াট ১.৩ অ্যাম্পিয়ার ৩ বা ৫ অ্যাম্পিয়ার
ফ্রিজ ৫০০ ওয়াট ২.১৭ অ্যাম্পিয়ার ৩ বা ৫ অ্যাম্পিয়ার
মাইক্রোওয়েভ ওভেন ১৫০০ ওয়াট ৬.৫২ অ্যাম্পিয়ার ১০ অ্যাম্পিয়ার
এসি (১.৫ টন) ২০০০ ওয়াট ৮.৭ অ্যাম্পিয়ার ১৫ অ্যাম্পিয়ার

ফিউজ তার বনাম এমসিবি (Fuse Wire vs. MCB)

আধুনিক ওয়্যারিং ব্যবস্থায় ফিউজ তারের পরিবর্তে এমসিবি (Miniature Circuit Breaker) ব্যবহার করা হয়। এমসিবি হলো একটি স্বয়ংক্রিয় সুইচ যা ওভারলোডের সময় নিজে থেকেই ট্রিপ করে বা বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এটিকে আবার অন করে দেওয়া যায়।

নিচে ফিউজ ও এমসিবি-র মধ্যে একটি তুলনামূলক আলোচনা দেওয়া হলো:

বৈশিষ্ট্য ফিউজ তার এমসিবি (MCB)
কার্যপ্রণালী জুলের তাপীয় নীতির ওপর ভিত্তি করে গলে যায়। চৌম্বকীয় এবং তাপীয় নীতির ওপর ভিত্তি করে ট্রিপ করে।
পুনরায় ব্যবহার একবার গলে গেলে তারটি পরিবর্তন করতে হয়। ট্রিপ করার পর পুনরায় সুইচ অন করে ব্যবহার করা যায়।
খরচ তুলনামূলকভাবে অনেক সস্তা। প্রাথমিক খরচ বেশি।
সংবেদনশীলতা কম সংবেদনশীল এবং তুলনামূলকভাবে ধীরে কাজ করে। অনেক বেশি সংবেদনশীল এবং দ্রুত কাজ করে।
নিরাপত্তা ভুল রেটিংয়ের তার লাগানোর ঝুঁকি থাকে। রেটিং নির্দিষ্ট থাকে, তাই ভুলের সম্ভাবনা নেই। অনেক বেশি নিরাপদ।
অবস্থা সনাক্তকরণ ফিউজ কেটেছে কিনা তা বাইরে থেকে বোঝা কঠিন। ট্রিপ করলে সুইচ নিচে নেমে যায়, ফলে অবস্থা বোঝা সহজ।
নির্ভরযোগ্যতা কম নির্ভরযোগ্য। অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য। ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (BIS) এখন বাড়ির জন্য এমসিবি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে।

যদিও এমসিবি অনেক উন্নত এবং সুবিধাজনক, ফিউজ এখনও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, গাড়ির সার্কিট এবং কিছু শিল্প ক্ষেত্রে কম খরচের সুরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

সামগ্রিকভাবে, ফিউজ তার একটি অত্যন্ত সরল কিন্তু কার্যকর সুরক্ষা যন্ত্র, যা কয়েক দশক ধরে আমাদের বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাকে সুরক্ষিত রেখেছে। এর নিম্ন গলনাঙ্ক এবং উচ্চ রোধাঙ্কের মতো অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলোই একে ওভারকারেন্টের বিরুদ্ধে এক নির্ভরযোগ্য প্রহরী করে তুলেছে। যদিও প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে এমসিবি-র মতো আধুনিক ডিভাইস এর জায়গা নিচ্ছে, তবুও ফিউজ তারের পেছনের বিজ্ঞান এবং এর গুরুত্ব আজও প্রাসঙ্গিক। সঠিক মানের ফিউজ ব্যবহার নিশ্চিত করা হলে এটি আজও বহু দুর্ঘটনা এড়াতে সাহায্য করতে পারে।

About Author
Avatar

আমাদের স্টাফ রিপোর্টারগণ সর্বদা নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন যাতে আপনি বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের সর্বশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে পারেন। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রতিশ্রুতি আমাদের ওয়েবসাইটকে একটি বিশ্বস্ত তথ্যের উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।তারা নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ রিপোর্টিংয়ে বিশ্বাসী, দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক প্রতিবেদন তৈরিতে সক্ষম