First trillionaire in the world: বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন টেসলা ও স্পেসএক্স-এর প্রতিষ্ঠাতা এলন মাস্ক। অক্সফামের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী দশকের মধ্যে বিশ্বে অন্তত পাঁচজন ট্রিলিয়নিয়ার দেখা যাবে। এই তালিকায় মাস্কের পাশাপাশি রয়েছেন আমাজনের জেফ বেজোস, অরাকলের ল্যারি এলিসন, মেটার মার্ক জাকারবার্গ এবং এলভিএমএইচ-এর বার্নার্ড আরনল্ট।
এলন মাস্ক বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি, যার সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৪৩০ বিলিয়ন ডলার। অক্সফামের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমান প্রবৃদ্ধির হার অব্যাহত থাকলে মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যেই তিনি ট্রিলিয়নিয়ার হয়ে যাবেন। গত বছর তার সম্পদের পরিমাণ গড়ে ১০৯.৮৮% হারে বেড়েছে।
এলন মাস্কের পরেই রয়েছেন ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানি। বর্তমান প্রবৃদ্ধির হার অব্যাহত থাকলে ২০২৮ সালের মধ্যে তিনি ট্রিলিয়নিয়ার হয়ে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তার সম্পদের বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধির হার ১২৩%।এছাড়াও নিভিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা জেনসেন হুয়াং এবং ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়ী প্রাজোগো পাঙ্গেস্তু ২০২৮ সালের মধ্যে ট্রিলিয়নিয়ার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এলভিএমএইচ-এর বার্নার্ড আরনল্ট এবং মেটার মার্ক জাকারবার্গ ২০৩০ সালের মধ্যে ট্রিলিয়নিয়ার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নাম | বর্তমান সম্পদ | বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধির হার | সম্ভাব্য ট্রিলিয়নিয়ার হওয়ার বছর |
---|---|---|---|
এলন মাস্ক | $430 বিলিয়ন | 109.88% | 2027 |
গৌতম আদানি | $84 বিলিয়ন | 122.86% | 2028 |
জেনসেন হুয়াং | $77 বিলিয়ন | 111.88% | 2028 |
বার্নার্ড আরনল্ট | $233 বিলিয়ন | 29.33% | 2030 |
মার্ক জাকারবার্গ | $200+ বিলিয়ন | 35.76% | 2030 |
অক্সফামের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বিলিয়নিয়ারদের সম্পদ বৃদ্ধির হার আগের বছরের তুলনায় তিনগুণ বেশি ছিল। গত বছর বিশ্বব্যাপী বিলিয়নিয়ারদের মোট সম্পদের পরিমাণ ২ ট্রিলিয়ন ডলার বেড়ে ১৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।প্রতি সপ্তাহে গড়ে প্রায় চারজন নতুন বিলিয়নিয়ার তৈরি হচ্ছে। ২০২৪ সালে মোট ২০৪ জন নতুন বিলিয়নিয়ার যুক্ত হয়েছেন এই তালিকায়।
অক্সফামের প্রতিবেদনে উদ্বেগজনক একটি চিত্র উঠে এসেছে। বিশ্বের শীর্ষ ১০ জন ধনী ব্যক্তির সম্পদের ৯৯% হারালেও তারা বিলিয়নিয়ার থেকে যাবেন।অন্যদিকে, বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী ১৯৯০ সাল থেকে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে।
মাস্কের পর আদানি হবেন বিশ্বের দ্বিতীয় ট্রিলিয়নেয়ার! কবে হতে পারে এই অসাধারণ ঘটনা?
বিলিয়নিয়ারদের সম্পদ বৃদ্ধির পেছনে কয়েকটি প্রধান কারণ রয়েছে:
অক্সফামের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিলিয়নিয়ারদের মোট সম্পদের ৬০% এসেছে এই তিনটি উৎস থেকে।
বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, এত বেশি সম্পদের কেন্দ্রীভবন গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।অক্সফাম আমেরিকার সিনিয়র পলিসি লিড রেবেকা রিডেল বলেছেন, “এই চরম বৈষম্য উদযাপনের কিছু নেই। ১ ট্রিলিয়ন ডলার এমন একটি অকল্পনীয় পরিমাণ যা অতি-ধনী এবং সমাজের বাকি অংশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ব্যবধানকে তুলে ধরে।”
অক্সফামের প্রতিবেদনে বৈষম্য কমানোর জন্য কয়েকটি সুপারিশ করা হয়েছে:
বিশ্ব ব্যাংকের রিপোর্ট: মধ্যম আয়ের ফাঁদে আটকে যেতে পারে ভারত ও চীন।
বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা যেমন একদিকে প্রযুক্তি ও উদ্যোক্তার সাফল্যের প্রতীক, তেমনি অন্যদিকে তা বৈষম্যের একটি উদ্বেগজনক চিত্রও তুলে ধরে। এই পরিস্থিতিতে সরকার ও নীতি নির্ধারকদের উচিত হবে এমন পদক্ষেপ নেওয়া যাতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল সমাজের সকল স্তরে পৌঁছায়। একইসাথে, বৈশ্বিক দারিদ্র্য দূরীকরণের লক্ষ্যে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।