Superstations of gecko falling: টিকটিকি মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশে পড়ার ঘটনা প্রায়শই ঘটে থাকে। এর মধ্যে বাম পায়ে টিকটিকি পড়ার বিষয়টি অনেকের কাছে কৌতূহলের। প্রাচীন ভারতীয় কুসংস্কার অনুযায়ী এটি অশুভ লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়।
তবে এর পিছনে কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।গৌলি শাস্ত্র অনুসারে, পুরুষদের ক্ষেত্রে বাম পায়ে টিকটিকি পড়লে তা কিছুটা ক্ষতির ইঙ্গিত দেয়। অর্থাৎ আর্থিক বা অন্য কোনো দিক থেকে সামান্য লোকসান হতে পারে বলে মনে করা হয়। অন্যদিকে মহিলাদের ক্ষেত্রে এটি শুভ লক্ষণ হিসেবে গণ্য করা হয়।তবে এসব বিশ্বাস ও ধারণার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। টিকটিকি শরীরের যেকোনো অংশে পড়া একটি সাধারণ ঘটনা মাত্র। এর সাথে ভাগ্য বা ভবিষ্যতের কোনো সম্পর্ক নেই। বরং টিকটিকি পড়ার কারণে শরীরে কোনো ক্ষত হয়েছে কিনা সেদিকে নজর দেওয়া উচিত।
বাড়িতে পেঁচার বাসা তৈরি করলে ভাগ্য খুলে যাবে, জেনে নিন
ভারতীয় উপমহাদেশে টিকটিকি নিয়ে নানা রকম কুসংস্কার প্রচলিত আছে। অনেকে মনে করেন টিকটিকির ডাক শুনলে তা সত্যের প্রমাণ হিসেবে গণ্য হয়। আবার কেউ কেউ মনে করেন টিকটিকির ডাক অশুভ লক্ষণ। এছাড়া টিকটিকি শরীরের বিভিন্ন অংশে পড়ার সাথে ভাগ্য ও ভবিষ্যতের যোগসূত্র স্থাপন করা হয়।বিভিন্ন অঞ্চলে এ সংক্রান্ত ভিন্ন ভিন্ন বিশ্বাস প্রচলিত আছে। যেমন – পাঞ্জাবে বিশ্বাস করা হয় টিকটিকির স্পর্শে কুষ্ঠরোগ হতে পারে। আফ্রিকার কিছু অঞ্চলে মনে করা হয় টিকটিকি ঢুকলে বাড়ি ত্যাগ করে পুড়িয়ে ফেলতে হয়। অন্যদিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশিরভাগ দেশে টিকটিকিকে শুভ লক্ষণ হিসেবে গণ্য করা হয়।তবে এসব বিশ্বাস ও কুসংস্কারের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। টিকটিকি একটি নিরীহ প্রাণী যা মানুষের জন্য কোনো ক্ষতিকর নয়। বরং এরা পোকামাকড় খেয়ে বাড়িঘর পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
তাই টিকটিকি নিয়ে অহেতুক ভয় পাওয়া বা কুসংস্কারে বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই।টিকটিকি শরীরের যেকোনো অংশে পড়া একটি সাধারণ ঘটনা। এর সাথে ভাগ্য বা ভবিষ্যতের কোনো সম্পর্ক নেই। বরং টিকটিকি পড়ার কারণে শরীরে কোনো ক্ষত হয়েছে কিনা সেদিকে নজর দেওয়া উচিত। যদি কোনো ক্ষত হয়ে থাকে তাহলে সেটি পরিষ্কার করে প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।টিকটিকি নিয়ে প্রচলিত কুসংস্কার ও বিশ্বাসের পিছনে কোনো যুক্তি নেই। এগুলো কেবল মানুষের কল্পনাপ্রসূত ধারণা মাত্র। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে টিকটিকি একটি উপকারী প্রাণী। এরা পোকামাকড় খেয়ে বাড়িঘর পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। তাই টিকটিকি দেখলে ভয় পাওয়ার বদলে এদের উপকারিতা সম্পর্কে জানা উচিত।
পড়াশোনায় সাফল্য পেতে কোন দিকে মুখ করে বসবেন? জেনে নিন বাস্তুশাস্ত্রের নির্দেশনা
টিকটিকি নিয়ে বিভিন্ন দেশে নানা রকম কুসংস্কার প্রচলিত আছে। কিন্তু এগুলোর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। বরং এসব কুসংস্কারের কারণে অনেক সময় টিকটিকিদের অযথা হত্যা করা হয়। এটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। কারণ টিকটিকিরা পোকামাকড় খেয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।বিজ্ঞান ও যুক্তির আলোকে দেখা উচিত যে, টিকটিকি শরীরের কোথাও পড়া একটি সাধারণ ঘটনা মাত্র। এর সাথে ভাগ্য বা ভবিষ্যতের কোনো সম্পর্ক নেই। তাই এ নিয়ে অহেতুক চিন্তা না করে বরং টিকটিকির উপকারিতা সম্পর্কে জানা এবং এদের সংরক্ষণে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
সারকথা হলো, টিকটিকি বাম পায়ে বা শরীরের অন্য কোথাও পড়া নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। এটি কেবল একটি সাধারণ ঘটনা মাত্র। এর সাথে ভাগ্য বা ভবিষ্যতের কোনো সম্পর্ক নেই। বরং টিকটিকির উপকারিতা সম্পর্কে জেনে এদের সংরক্ষণে সচেতন হওয়া উচিত। কুসংস্কার ত্যাগ করে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করাই যুক্তিযুক্ত।
মন্তব্য করুন