বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গীতা পাঠের সঠিক নিয়ম ও তার গুরুত্ব – সম্পূর্ণ দিকনির্দেশনা

শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা হিন্দু ধর্মের অন্যতম পবিত্র ধর্মগ্রন্থ যা ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধক্ষেত্রে অর্জুনকে উপদেশ দিয়েছিলেন। এই পবিত্র গ্রন্থটি কেবল আধ্যাত্মিক জ্ঞানের উৎসই নয়, বরং জীবনের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সঠিক পথ দেখায়। বিভিন্ন…

Srijita Chattopadhay

 

শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা হিন্দু ধর্মের অন্যতম পবিত্র ধর্মগ্রন্থ যা ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধক্ষেত্রে অর্জুনকে উপদেশ দিয়েছিলেন। এই পবিত্র গ্রন্থটি কেবল আধ্যাত্মিক জ্ঞানের উৎসই নয়, বরং জীবনের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সঠিক পথ দেখায়। বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান, পারিবারিক উৎসব, মন্দির প্রতিষ্ঠা, বিবাহ অনুষ্ঠান এমনকি শোক অনুষ্ঠানেও গীতা পাঠের প্রচলন রয়েছে। প্রতিটি অনুষ্ঠানে গীতা পাঠের নিজস্ব নিয়ম ও বিধি রয়েছে যা অনুসরণ করলে সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক লাভ পাওয়া যায়।

গীতা পাঠের মূল নিয়মাবলী

গীতা পাঠের সময় কিছু মৌলিক নিয়ম মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। প্রথমত, গীতা পাঠের জন্য সকালের সময় সর্বোত্তম বিবেচনা করা হয় কারণ এই সময় মন, মস্তিষ্ক এবং পরিবেশে শান্তি ও ইতিবাচকতা থাকে। স্নান করার পর এবং শুদ্ধ মনে গীতা পাঠ করতে হয় যাতে সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক লাভ পাওয়া যায়। গীতা পাঠের স্থান পরিষ্কার রাখতে হবে এবং পাঠকারী নিজেই সেই স্থান পরিষ্কার করবেন। একটি পরিষ্কার কম্বল, পশমের কার্পেট বা পশুচর্মের আসনের উপর বসে গীতা পাঠ করা উচিত এবং প্রতিদিন একই আসন ব্যবহার করা ভালো।

পাঠের সময় গীতা গ্রন্থটি কখনো সরাসরি মাটিতে রাখা যাবে না, সবসময় একটি কাঠের আসন বা টুলের উপর রাখতে হবে। পাঠের সময় হাতে ধরে পড়া উচিত নয়, বরং যথাযথভাবে স্থাপন করে পড়তে হবে। গীতা পাঠের সময় মধ্যে কথা বলা বা বার বার উঠে যাওয়া উচিত নয়। সম্পূর্ণ একাগ্রতার সাথে পাঠ সম্পন্ন করতে হবে। খাবারের আগে গীতা পাঠ করা উচিত এবং চা, দুধ বা পানি পান করার আগেই পাঠ সম্পন্ন করা সর্বোত্তম।

বিবাহ অনুষ্ঠানে গীতা পাঠের নিয়ম

বিবাহ অনুষ্ঠান হিন্দু ধর্মের একটি পবিত্র সংস্কার এবং এই অনুষ্ঠানে গীতা পাঠের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বিবাহের দিন সকালে বা বিবাহ অনুষ্ঠান শুরুর আগে গীতার নির্বাচিত শ্লোক পাঠ করা হয়। বিশেষত দ্বিতীয় অধ্যায় (সাংখ্য যোগ), নবম অধ্যায় (রাজবিদ্যা যোগ) এবং দ্বাদশ অধ্যায় (ভক্তি যোগ) থেকে শ্লোক নির্বাচন করা হয়। বিবাহের মণ্ডপে গীতা গ্রন্থ স্থাপন করে তার সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে পূজা করা হয়। পুরোহিত বা পরিবারের কোনো জ্ঞানী ব্যক্তি শ্রদ্ধার সাথে গীতা পাঠ করেন যাতে নবদম্পতির জীবন সুখময় ও মঙ্গলজনক হয়।

সরস্বতী প্রণাম মন্ত্র: বিদ্যার দেবীর আশীর্বাদ লাভের পথ

ধর্মীয় উৎসব ও পূজায় গীতা পাঠ

বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব ও পূজা অনুষ্ঠানে গীতা পাঠ একটি অপরিহার্য অংশ। জন্মাষ্টমী, গীতা জয়ন্তী, দুর্গাপূজা, লক্ষ্মীপূজা এবং অন্যান্য প্রধান উৎসবে গীতা পাঠ করা হয়। গীতা জয়ন্তী ২০২৫ সালে ১১ ডিসেম্বর পালিত হবে যা মার্গশীর্ষ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে হয়। এই দিন ভোর ৪-৫টায় ব্রহ্ম মুহূর্তে উঠে স্নান করে পরিষ্কার পোশাক পরতে হয়। পূজা বেদীতে শ্রীকৃষ্ণের মূর্তি বা ছবি এবং গীতা গ্রন্থ স্থাপন করতে হয়। ঘি বা তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে ধূপ-দীপ নিবেদন করে ফুল, চাল, চন্দন দিয়ে পূজা করা হয়।

গীতা জয়ন্তীতে অনেক মন্দিরে ২৪ঘন্টা ব্যাপী অখণ্ড গীতা পাঠ আয়োজন করা হয় যেখানে ভক্তরা পালাক্রমে ৭০০টি শ্লোক পাঠ করেন। পূজার পর ভগবান কৃষ্ণকে ভোগ নিবেদন করা হয় যার মধ্যে মিষ্টি, ফল এবং তুলসী পাতা অন্তর্ভুক্ত থাকে। এই দিন উপবাস রাখা হয় এবং সাত্ত্বিক খাবার গ্রহণ করা হয়, পেঁয়াজ রসুন এড়িয়ে চলতে হয়।

মন্দির উদ্বোধন ও প্রতিষ্ঠায় গীতা পাঠ

নতুন মন্দির প্রতিষ্ঠা বা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গীতা পাঠ অত্যন্ত শুভ মনে করা হয়। মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে পুরো গীতা পাঠ করা হয় অথবা নির্বাচিত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো পাঠ করা যায়। এই অনুষ্ঠানে অষ্টাদশ অধ্যায় (মোক্ষ সন্ন্যাস যোগ) এবং পঞ্চদশ অধ্যায় (পুরুষোত্তম যোগ) বিশেষভাবে পাঠ করা হয়। মন্দিরের পবিত্রতা বজায় রাখতে এবং নেতিবাচক শক্তি দূর করতে গীতা পাঠ অত্যন্ত কার্যকর বলে বিশ্বাস করা হয়। মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন প্রাতঃকালে বিশেষ পূজার আয়োজন করে গীতা পাঠ শুরু করা হয় এবং দিনব্যাপী কীর্তন ও আরতির সাথে সাথে গীতা পাঠ চলতে থাকে।

শ্রাদ্ধ ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় গীতা পাঠ

মৃত্যুর পর সম্পাদিত শ্রাদ্ধকর্ম ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় গীতা পাঠের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বাঙালি হিন্দু রীতিতে মৃত ব্যক্তির শেষকৃত্যের সময় গীতার শ্লোক পাঠ করা হয় যা আত্মার শান্তি ও মুক্তির জন্য সহায়ক বলে বিশ্বাস করা হয়। দাহকার্যের আগে এবং শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার সময় “রাম নাম সত্য হ্যায়” কীর্তনের সাথে গীতার শ্লোক পাঠ করা হয়। চতুর্থ দিনে বা তেরো দিনে অনুষ্ঠিত শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে গীতা পাঠ করে প্রয়াত আত্মার মুক্তির জন্য প্রার্থনা করা হয়। এই অনুষ্ঠানে গীতার দ্বিতীয় অধ্যায়ের ১১ থেকে ৩০ নম্বর শ্লোকগুলো বিশেষভাবে পাঠ করা হয় যেখানে আত্মার অবিনশ্বরতা ও মৃত্যুর প্রকৃত স্বরূপ বর্ণিত হয়েছে।

মোক্ষদা একাদশীতে উপবাস পালন করা হয় যা প্রয়াত আত্মাদের মুক্তি দেয় বলে বিশ্বাস করা হয়। এই দিন গীতা পাঠ বিশেষভাবে ফলদায়ক এবং পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গীতা পাঠের নিয়ম

স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গীতা পাঠ করা হয়। বার্ষিক উৎসব, সরস্বতী পূজা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা দিবস এবং সমাবর্তন অনুষ্ঠানে গীতার নির্বাচিত শ্লোক পাঠ করা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গীতা পাঠের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় যাতে সকল ধর্মের শিক্ষার্থীদের সম্মান রক্ষা হয়। গীতা পাঠ স্বেচ্ছামূলক রাখা হয় এবং আগ্রহী শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। এই অনুষ্ঠানে গীতার জ্ঞান, কর্ম এবং নৈতিকতা সম্পর্কিত শ্লোকগুলো নির্বাচন করা হয় যা শিক্ষার্থীদের চরিত্র গঠনে সহায়ক।

সরস্বতী পূজার দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ পূজার আয়োজন করে গীতার চতুর্থ অধ্যায় (জ্ঞান যোগ) পাঠ করা হয় যা জ্ঞান অর্জনের পথ দেখায়। শিক্ষার্থীরা গীতার শিক্ষা থেকে জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ এবং কর্তব্য পালনের অনুপ্রেরণা পায়।

গীতা পাঠের সময় বিশেষ সতর্কতা

নিয়ম বিবরণ গুরুত্ব
স্নানের পর পাঠ শারীরিক পবিত্রতা বজায় রেখে পড়া অত্যন্ত জরুরি
সকালের সময় ব্রহ্ম মুহূর্ত বা প্রাতঃকালে পড়া শ্রেষ্ঠ অত্যন্ত উপকারী
পবিত্র স্থান পরিষ্কার ও শান্ত পরিবেশে পাঠ আবশ্যক
একাগ্রতা বিক্ষিপ্ত মনোযোগ এড়িয়ে চলা অপরিহার্য
খালি পেটে খাবার গ্রহণের আগে পাঠ করা ঐচ্ছিক কিন্তু উত্তম
শ্রদ্ধার সাথে ভক্তিভাবে পাঠ করা মৌলিক শর্ত

গৃহপ্রবেশ ও নতুন ব্যবসা শুরুতে গীতা পাঠ

নতুন বাড়িতে প্রবেশ (গৃহপ্রবেশ) বা নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধনে গীতা পাঠ অত্যন্ত শুভ ও মঙ্গলজনক মনে করা হয়। এই অনুষ্ঠানে গীতা পাঠের মাধ্যমে নেতিবাচক শক্তি, অভিশাপ বা কালো জাদুর প্রভাব দূর হয় বলে বিশ্বাস করা হয়। গৃহপ্রবেশের আগের দিন বা উদ্বোধনের দিন সকালে বাড়ির পূজার ঘরে বা প্রধান কক্ষে গণেশ পূজা ও লক্ষ্মী পূজার সাথে গীতা পাঠ করা হয়। নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধনেও একইভাবে দেবতাদের পূজার পর গীতার শ্লোক পাঠ করে আশীর্বাদ প্রার্থনা করা হয়।

এই অনুষ্ঠানগুলোতে গীতার তৃতীয় অধ্যায় (কর্ম যোগ) বিশেষভাবে পাঠ করা হয় যা নিষ্কাম কর্মের শিক্ষা দেয় এবং কর্মফলে আসক্তি ছাড়াই দায়িত্ব পালনের উপদেশ দেয়।

দৈনন্দিন জীবনে গীতা পাঠের নিয়ম

ব্যক্তিগত জীবনে নিয়মিত গীতা পাঠ করলে মন ও আত্মা পরিশুদ্ধ হয় এবং জীবনের অনিশ্চয়তা ও ব্যর্থতা মোকাবেলা করার শক্তি পাওয়া যায়। দৈনন্দিন গীতা পাঠের জন্য কোনো বিশেষ মুহূর্তের প্রয়োজন নেই, যেকোনো সময় পাঠ করা যায় তবে সকালে স্নানের পর তাজা মনে পড়া সবচেয়ে ভালো। প্রতিদিন অন্তত একটি অধ্যায় বা কয়েকটি শ্লোক পড়ার অভ্যাস করা উচিত। যারা নিয়মিত গীতা পাঠ করতে পারেন না তারা সাপ্তাহিক একবার বা মাসে একবার সম্পূর্ণ গীতা পাঠ করতে পারেন।

গীতা পাঠের সময় বিছানায় শুয়ে, খাওয়ার সময় বা অপরিষ্কার হাতে পড়া উচিত নয়। মদ্যপান বা মাংসাহারের পর গীতা পাঠ করা নিষিদ্ধ। নিয়মিত গীতা পাঠ করলে যে পুণ্য অর্জিত হয় তা গোদান করার সমান বলে শাস্ত্রে উল্লেখ আছে।

কৃষ্ণের প্রতি মন স্থির করার ৭টি কার্যকরী উপায় – আধ্যাত্মিক শান্তির পথ

গীতা পাঠের উপকারিতা ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি

গীতা পাঠের অসংখ্য আধ্যাত্মিক ও মানসিক উপকারিতা রয়েছে। নিয়মিত গীতা পাঠ করলে মানসিক চাপ কমে, মনের শান্তি বৃদ্ধি পায় এবং জীবনের উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়। গীতা ভয়, বিভ্রান্তি এবং অহংকার কাটিয়ে ওঠার শিক্ষা দেয়। এটি শেখায় যে কর্মফলে আসক্তি না রেখে নিজের কর্তব্য পালন করতে হবে। গীতার শিক্ষা অনুসরণ করলে মানুষ ধৈর্যশীল, ক্ষমাশীল এবং জ্ঞানী হয়ে ওঠে। আধুনিক মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন যে গীতা পাঠ মেডিটেশনের মতো কাজ করে যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

গীতা জয়ন্তী ২০২৫: বিশেষ তাৎপর্য

গীতা জয়ন্তী ২০২৫ সালে ১১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার পালিত হবে যা মোক্ষদা একাদশী নামেও পরিচিত। এই দিন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধক্ষেত্রে অর্জুনকে ভগবদ্গীতার জ্ঞান প্রদান করেছিলেন। এই দিন সারাবিশ্বে কোটি কোটি হিন্দু ভক্ত গীতা পাঠ করেন, মন্দিরে বিশেষ পূজা অনুষ্ঠিত হয় এবং সামূহিক পাঠের আয়োজন করা হয়। এই দিন উপবাস রাখলে পাপমুক্তি এবং প্রয়াত আত্মাদের মুক্তি হয় বলে বিশ্বাস করা হয়। অনেক ভক্ত এই দিন ৭০০টি শ্লোক সম্পূর্ণ পাঠ করার চেষ্টা করেন অথবা অন্তত দুটি প্রধান অধ্যায় পাঠ করেন।

উপসংহার

ভগবদ্গীতা শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় গ্রন্থ নয়, এটি জীবন পরিচালনার সম্পূর্ণ দিকনির্দেশনা যা সকল পরিস্থিতিতে সঠিক পথ দেখায়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গীতা পাঠের মাধ্যমে আমরা কেবল ধর্মীয় আচার পালন করি না বরং জীবনের গভীর সত্য উপলব্ধি করি। বিবাহ থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত সর্বত্র গীতার শিক্ষা প্রযোজ্য এবং প্রাসঙ্গিক। নিয়মিত গীতা পাঠ করলে মন শুদ্ধ হয়, আত্মা প্রশান্তি পায় এবং জীবন সুখময় হয়। প্রতিটি হিন্দু পরিবারে গীতা রাখা এবং নিয়মিত পাঠ করা উচিত যাতে আমরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দেওয়া অমূল্য জ্ঞান লাভ করতে পারি এবং জীবনে সঠিক পথে এগিয়ে যেতে পারি। গীতা পাঠের মাধ্যমে আমরা শুধু নিজেদের নয় বরং পরিবার ও সমাজকেও আলোকিত করতে পারি।

About Author
Srijita Chattopadhay

সৃজিতা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক। তিনি একজন প্রতিশ্রুতিশীল লেখক এবং সাংবাদিক, যিনি তার লেখা দ্বারা বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির সমৃদ্ধি তুলে ধরতে সদা উদ্যমী। সৃজিতার লেখার ধারা মূলত সাহিত্য, সমাজ এবং সংস্কৃতির বিভিন্ন দিককে ঘিরে আবর্তিত হয়, যেখানে তিনি তার গভীর পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা ও বিশ্লেষণী দক্ষতার পরিচয় দেন। তাঁর নিবন্ধ ও প্রতিবেদনগুলি পাঠকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে, যা তার বস্তুনিষ্ঠতা ও সংবেদনশীলতার পরিচয় বহন করে। সৃজিতা তার কর্মজীবনে ক্রমাগত নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে বদ্ধপরিকর, যা তাকে বাংলা সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন