Shopping in Gulistan on weekends: কেমন আছেন সবাই? গুলিস্তান, ঢাকার প্রাণ! কেনাকাটার জন্য সেরা জায়গাগুলোর মধ্যে এটা একটা। কিন্তু গুলিস্তান মার্কেটে যাওয়ার আগে এটা জানা দরকার যে, কোন দিন এই মার্কেট বন্ধ থাকে। নাহলে আপনার প্ল্যানটাই মাটি হয়ে যেতে পারে, তাই না? আজকের ব্লগ পোস্টে আমরা গুলিস্তান মার্কেট কবে বন্ধ থাকে, কেন বন্ধ থাকে এবং আপনার জন্য কিছু দরকারি টিপস নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে চলুন শুরু করা যাক!
গুলিস্তান শুধু একটা মার্কেট নয়, এটা একটা ঐতিহ্য। এখানে আপনি সবকিছু পাবেন – কাপড় থেকে শুরু করে কসমেটিকস, ইলেকট্রনিক্স থেকে শুরু করে জুতো। কম দামে ভালো জিনিস খুঁজতে হলে গুলিস্তানের বিকল্প নেই। তবে এই মার্কেটের কিছু নিয়মকানুন আছে, যা আমাদের জানতে হবে।
ঢাকার মার্কেট বন্ধের দিন: একনজরে জেনে নিন কোন এলাকার মার্কেট কবে বন্ধ থাকে
পুরান ঢাকার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এই মার্কেটটি বহু বছর ধরে মানুষের কেনাকাটার ভরসা। একটা সময় ছিল, যখন এখানে সবকিছু পাওয়া যেত। সময়ের সাথে সাথে অনেক পরিবর্তন এসেছে, কিন্তু গুলিস্তানের আবেদন আজও কমেনি।
গুলিস্তান মার্কেটের দোকানগুলো সাধারণত সপ্তাহের বিভিন্ন দিনে আলাদা আলাদা সময়ে বন্ধ থাকে। তাই কোন দোকানে আপনি কেনাকাটা করতে চান, তার উপর নির্ভর করে আপনার যাওয়ার সময় নির্বাচন করতে হবে।
গুলিস্তানে অনেকগুলো মার্কেট আছে, এবং এদের বন্ধের দিনগুলো ভিন্ন। নিচে একটা তালিকা দেওয়া হলো:
মার্কেটের নাম | সাপ্তাহিক বন্ধের দিন |
---|---|
গুলিস্তান হকার্স মার্কেট | রবিবার |
গুলিস্তান ট্রেড সেন্টার | মঙ্গলবার |
সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেট | বুধবার |
ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট | বৃহস্পতিবার |
গুলিস্তান মার্কেটগুলো সাধারণত সাপ্তাহিক বন্ধের দিনগুলোতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য এবং ব্যবসায়ীদের বিশ্রামের জন্য বন্ধ থাকে। এছাড়াও, ঈদ বা অন্যান্য বিশেষ দিবসেও মার্কেট বন্ধ থাকতে পারে।
যদি আপনি গুলিস্তান মার্কেটে যেতে চান, তাহলে সাপ্তাহিক বন্ধের দিনটি অবশ্যই মনে রাখতে হবে। কিন্তু ভুল করে যদি সেদিন চলে যান, তাহলে কী করবেন?
এখানে কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো, যা আপনাকে গুলিস্তান মার্কেট সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা দেবে:
সাধারণত সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দোকান খোলা থাকে। তবে কিছু দোকান এর চেয়ে বেশি সময় খোলা থাকতে পারে।
গুলিস্তান বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থানে অবস্থিত, এখানে যাওয়া বেশ সহজ। আপনি বিভিন্ন উপায়ে যেতে পারেন:
গুলিস্তানের আশেপাশে অনেক ভালো খাবারের দোকান আছে। কিছু জনপ্রিয় দোকানের নাম নিচে দেওয়া হলো:
নীলক্ষেত বই মার্কেট: সাপ্তাহিক বন্ধের দিন, খোলার সময় ও যাতায়াতের সহজ গাইড
গুলিস্তানে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা সীমিত। তবে আশেপাশে কিছু পার্কিং স্পট পাওয়া যায়। আগে থেকে জেনে গেলে সুবিধা হবে।
সাধারণত ছুটির দিনগুলোতে এবং সন্ধ্যার পরে ভিড় বেশি থাকে। সপ্তাহের অন্যান্য দিনে তুলনামূলকভাবে ভিড় কম থাকে।
গুলিস্তান হকার্স মার্কেট সাধারণত রবিবার বন্ধ থাকে।
গুলিস্তান ট্রেড সেন্টার মঙ্গলবার বন্ধ থাকে।
সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেট বুধবার বন্ধ থাকে।
ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকে।
গুলিস্তান মার্কেট এখনো কেন এত জনপ্রিয়, তার কিছু কারণ নিচে দেওয়া হলো:
অনেকের মতে, গুলিস্তান মার্কেটে কেনাকাটা করার অভিজ্ঞতা সবসময়ই স্পেশাল। এখানে দাম একটু বেশি হলেও দর কষাকষি করে কেনা যায়। আর সব ধরনের জিনিস এক সাথে পাওয়া যায় বলে সময় বাঁচে।
একবার আমি আমার এক বন্ধুর সাথে গুলিস্তানে গিয়েছিলাম ঈদের কেনাকাটা করতে। আমরা একটি দোকানে ঢুকেছি শার্ট কিনতে, কিন্তু দাম শুনে আমার বন্ধুটি এমন একটা দর হাঁকালো যে দোকানদার প্রথমে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল, তারপর হাসতে শুরু করল! শেষ পর্যন্ত অবশ্য আমরা ভালো দামেই শার্ট কিনতে পেরেছিলাম।
গুলিস্তান মার্কেট সময়ের সাথে সাথে নিজেকে পরিবর্তন করেছে। এখন এখানে আধুনিক ডিজাইনের পোশাক ও অন্যান্য জিনিসপত্র পাওয়া যায়। অনেক দোকানে অনলাইন পেমেন্টের ব্যবস্থাও রয়েছে, যা কেনাকাটাকে আরও সহজ করে দিয়েছে।
গুলিস্তান মার্কেটকে আরও আধুনিক করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা উন্নত করা, মার্কেটের পরিবেশ আরও সুন্দর করা এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মের সাথে যুক্ত করা।
গুলিস্তান মার্কেট শুধু একটি বাজার নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতির অংশ। এখানে কেনাকাটা করতে আসা মানে ঐতিহ্যের সাথে মিশে যাওয়া। তাই, গুলিস্তান মার্কেটে যাওয়ার আগে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন জেনে গেলে আপনার কেনাকাটার অভিজ্ঞতা আরও আনন্দময় হবে।আশা করি, এই ব্লগ পোস্টটি আপনার জন্য অনেক helpful ছিল। যদি আপনার কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আর যদি এই পোস্টটি ভালো লাগে, তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। হ্যাপি শপিং!
মন্তব্য করুন