বাঙালি রান্নাঘরের অপরিহার্য উপাদান ছোলা। কিন্তু জানেন কি, এই সাধারণ ডালটি ভিজিয়ে খেলে তা হয়ে ওঠে অসাধারণ পুষ্টিকর খাবার? আসুন জেনে নেই ভেজানো ছোলা খাওয়ার নানা উপকারিতা এবং কীভাবে এটি আপনার দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় যুক্ত করতে পারেন।
ভেজানো ছোলা পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। এক কাপ (১৬৪ গ্রাম) ভেজানো ছোলায় রয়েছে:
পুষ্টি উপাদান | পরিমাণ |
---|---|
ক্যালোরি | ২৬৯ |
প্রোটিন | ১৪.৫ গ্রাম |
কার্বোহাইড্রেট | ৪৫ গ্রাম |
ফাইবার | ১২.৫ গ্রাম |
ফ্যাট | ৪.২ গ্রাম |
ফোলেট | ২৮২ মাইক্রোগ্রাম (দৈনিক প্রয়োজনের ৭০%) |
ম্যাঙ্গানিজ | ১.৭ মিলিগ্রাম (দৈনিক প্রয়োজনের ৮৪%) |
আয়রন | ৪.৭ মিলিগ্রাম (দৈনিক প্রয়োজনের ২৬%) |
ভেজানো ছোলায় উচ্চ মাত্রায় ফাইবার ও প্রোটিন থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ২০১৮ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ছোলা খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ২৮% পর্যন্ত কমতে পারে।
ভেজানো ছোলায় থাকা উচ্চ মাত্রার ফাইবার রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ২০২০ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতিদিন অন্তত ১ কাপ ছোলা খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি ২২% পর্যন্ত কমতে পারে।
২০টি সাইলেন্ট কিলার: পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে প্রায়শই উপেক্ষিত ক্যান্সারের লক্ষণগুলি
ভেজানো ছোলা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরে রাখে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ২০১৬ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ছোলা খেলে ক্যালোরি গ্রহণ কমে এবং ওজন কমানোর সম্ভাবনা বাড়ে।
ভেজানো ছোলায় থাকা উচ্চ মাত্রার ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং পাচনতন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। ২০১৯ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ছোলা খেলে আইবিএস (ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম) এর লক্ষণ কমতে পারে।
ভেজানো ছোলায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটোকেমিক্যাল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ২০২১ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ছোলা খেলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি ১৮% পর্যন্ত কমতে পারে।
প্রতিদিন দই খেলে কী হয় জানেন? এই ১০টি চমকপ্রদ উপকারিতা আপনাকে অবাক করবে!
১. রাতে ১ কাপ ছোলা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
২. সকালে পানি ঝরিয়ে নিন।
৩. খালি পেটে ১/২ কাপ ভেজানো ছোলা খান।
৪. স্বাদ বাড়াতে লেবু, কাঁচা লঙ্কা, পেঁয়াজ কুচি যোগ করতে পারেন।
যদিও ভেজানো ছোলা অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর, তবে কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন:১. যাদের পেটে গ্যাস হওয়ার সমস্যা আছে, তারা ধীরে ধীরে পরিমাণ বাড়িয়ে খেতে পারেন।
২. কিডনি স্টোনের সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খান।
৩. গ্লুটেন সংবেদনশীলতা থাকলে সতর্কতা অবলম্বন করুন।
মন্তব্য করুন