- প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া বা ব্যথা অনুভব করা।
- তলপেটে বা শ্রোণী অঞ্চলে ব্যথা হওয়া।
- ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ আসা, কিন্তু পরিমাণ খুব কম হওয়া।
- প্রস্রাবের রং ঘোলাটে বা গাঢ় হওয়া।
- প্রস্রাবে দুর্গন্ধ হওয়া।
২. মূত্রথলি বা ব্লাডার দুর্বল হয়ে যাওয়া
নিয়মিতভাবে প্রস্রাব চেপে রাখলে মূত্রথলির পেশীগুলো অতিরিক্ত প্রসারিত (Overstretched) হয়ে পড়ে। সময়ের সাথে সাথে এই পেশীগুলো দুর্বল হয়ে যায় এবং তাদের স্বাভাবিক স্থিতিস্থাপকতা হারিয়ে ফেলে। এর ফলে মূত্রথলি পুরোপুরি খালি করার ক্ষমতা কমে যেতে পারে। অর্থাৎ, প্রস্রাব করার পরেও ব্লাডারে কিছু পরিমাণ প্রস্রাব থেকে যায়, যা পরবর্তীতে ইনফেকশনের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়।
৩. পেলভিক ফ্লোরের পেশী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া
প্রস্রাব আটকে রাখার জন্য আমাদের পেলভিক ফ্লোরের পেশীগুলোকে সংকুচিত করে রাখতে হয়। এর মধ্যে ইউরেথ্রাল স্ফিঙ্কটার (Urethral Sphincter) নামক একটি পেশী মূত্রনালীকে বন্ধ রাখে যাতে প্রস্রাব বেরিয়ে না আসে। দীর্ঘ সময় ধরে এই পেশীগুলোকে অতিরিক্ত চাপে রাখলে அவை দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এর ফলে ভবিষ্যতে প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারা বা ইনকনটিনেন্স (Incontinence) এর মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেখানে হাঁচি বা কাশির সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে প্রস্রাব বেরিয়ে আসে।
৪. কিডনিতে পাথর জমার আশঙ্কা
যাদের প্রস্রাবে ইউরিক অ্যাসিড এবং ক্যালসিয়াম অক্সালেটের মতো খনিজ পদার্থের পরিমাণ বেশি থাকে, তাদের জন্য দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখা কিডনিতে পাথর তৈরির ঝুঁকি বাড়াতে পারে1। প্রস্রাব আটকে রাখলে এই খনিজগুলো একত্রিত হয়ে ছোট ছোট পাথর তৈরি করতে পারে, যা পরবর্তীতে তীব্র ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাদের অতীতে কিডনিতে পাথরের সমস্যা হয়েছে, তাদের জন্য এই ঝুঁকি আরও বেশি।
৫. ব্যথা এবং অস্বস্তি
প্রস্রাব চেপে রাখলে কিডনি এবং মূত্রথলিতে তীব্র ব্যথা হতে পারে। এমনকি প্রস্রাব করার পরেও পেলভিক অঞ্চলে খিঁচুনি বা অস্বস্তিকর অনুভূতি হতে পারে, কারণ পেশীগুলো পুরোপুরি শিথিল হতে সময় নেয়। এই ব্যথা সাময়িক হলেও বেশ কষ্টদায়ক হতে পারে।
৬. বিরল কিন্তু মারাত্মক ঝুঁকি: ব্লাডার ফেটে যাওয়া
এটি একটি অত্যন্ত বিরল ঘটনা, তবে একেবারে অসম্ভব নয়। সাধারণত মূত্রথলি ফেটে যাওয়ার পেছনে অন্য কোনো শারীরিক কারণ (যেমন: প্রোস্টেট বৃদ্ধি বা মূত্রনালীতে ব্লকেজ) দায়ী থাকে। তবে খুব极端 পরিস্থিতিতে, যদি কেউ দীর্ঘ সময় ধরে প্রস্রাব আটকে রাখেন এবং ব্লাডারে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়, তবে তা ফেটে যেতে পারে, যা একটি জীবনঘাতী পরিস্থিতি এবং এর জন্য জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন।
কতক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখা যেতে পারে?
এর কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম নেই, কারণ এটি ব্যক্তির বয়স, ব্লাডারের আকার, তরল পানের পরিমাণ এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে। তবে সাধারণ নিয়ম হলো, যখনই প্রস্রাবের বেগ আসবে, তখনই শৌচাগারে যাওয়া উচিত। মাঝে মাঝে বিশেষ পরিস্থিতিতে, যেমন একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিং বা ভ্রমণের সময় কয়েক ঘণ্টা প্রস্রাব আটকে রাখা সাধারণত বড় কোনো ক্ষতি করে না9। কিন্তু এটিকে দৈনন্দিন অভ্যাসে পরিণত করা উচিত নয়।
বিশেষজ্ঞরা দিনে গড়ে প্রায় আটবার প্রস্রাব করার পরামর্শ দেন2। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে পর্যাপ্ত জল পান করা জরুরি, তবে এমন পরিস্থিতিতে যেখানে শৌচাগার পাওয়া কঠিন, সেখানে জল পানের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত?
যদি আপনি নিয়মিত প্রস্রাব চেপে রাখার অভ্যাস পরিবর্তন করার পরেও কিছু সমস্যার সম্মুখীন হন, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখা দিলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন:
- প্রস্রাবের সময় ক্রমাগত জ্বালাপোড়া বা ব্যথা।
- প্রস্রাব করতে অসুবিধা হওয়া বা প্রস্রাব করার পরেও মূত্রথলি খালি না হওয়ার অনুভূতি।
- প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া।
- তলপেটে একটানা ব্যথা থাকা।
- জ্বর বা পিঠের নিচের দিকে ব্যথা, যা কিডনি সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে।
সামগ্রিকভাবে, বেশিক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখলে কি হয় এই প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় যে, এটি শরীরের জন্য একটি অত্যন্ত ক্ষতিকর অভ্যাস। সাময়িক সুবিধা বা অলসতার জন্য এই অভ্যাসটি চালিয়ে গেলে তা ইউটিআই থেকে শুরু করে কিডনির স্থায়ী ক্ষতি পর্যন্ত করতে পারে। আপনার শরীর যখন সংকেত দেয়, তখন তা শোনা এবং সেই অনুযায়ী কাজ করা সুস্থ থাকার অন্যতম চাবিকাঠি। তাই নিজের শরীরকে গুরুত্ব দিন এবং প্রস্রাবের বেগ এলে তা চেপে না রেখে সময়মতো শৌচাগারে যান।
Is it bad to hold your pee? : কাজের চাপে, দীর্ঘ যাত্রাপথে বা উপযুক্ত শৌচাগারের অভাবে আমরা অনেকেই প্রস্রাব চেপে রাখতে বাধ্য হই। আপাতদৃষ্টিতে এটিকে একটি সাধারণ বিষয় মনে হলেও, নিয়মিতভাবে এই অভ্যাসটি চালিয়ে গেলে তা শরীরের জন্য মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। অনেকেই জানেন না যে, বেশিক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখলে কি হয় এবং এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব কতটা গুরুতর হতে পারে। এই অভ্যাসটি সাময়িক অস্বস্তি থেকে শুরু করে মূত্রথলি বা ব্লাডারের স্থায়ী ক্ষতি, এমনকি কিডনির মারাত্মক রোগ পর্যন্ত ঘটাতে পারে। তাই এই বিষয়ে সঠিক জ্ঞান থাকা অত্যন্ত জরুরি।
আমাদের শরীর কীভাবে কাজ করে এবং কেন প্রস্রাব চেপে রাখা ক্ষতিকর?
আমাদের কিডনি রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ এবং অতিরিক্ত জল ফিল্টার করে প্রস্রাব তৈরি করে। এই প্রস্রাব মূত্রথলি বা ব্লাডারে এসে জমা হয়। ব্লাডার হলো একটি পেশীবহুল, বেলুনের মতো অঙ্গ যা প্রস্রাব সঞ্চয় করে রাখে। একটি সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মূত্রথলি প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ মিলিলিটার (প্রায় ২ কাপ) পর্যন্ত প্রস্রাব ধারণ করতে পারে।
যখন ব্লাডার অর্ধেক পূর্ণ হয়, তখন এটি মস্তিষ্কে সংকেত পাঠায় যে প্রস্রাব করার সময় হয়েছে। আমরা সাধারণত এই সংকেত পাওয়ার পরেও কিছু সময়ের জন্য প্রস্রাব আটকে রাখতে পারি। কিন্তু এটিকে অভ্যাসে পরিণত করলে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়।
বেশিক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখলে কি হয়: প্রধান ঝুঁকি এবং জটিলতাসমূহ
নিয়মিত প্রস্রাব চেপে রাখার অভ্যাস শরীরের একাধিক অঙ্গের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। নিচে এই সম্পর্কিত প্রধান ঝুঁকিগুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো:
১. ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (UTI) এর ঝুঁকি বৃদ্ধি
প্রস্রাব চেপে রাখার সবচেয়ে সাধারণ এবং সরাসরি পরিণতি হলো ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা UTI-এর ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া45। প্রস্রাবের একটি প্রধান কাজ হলো মূত্রনালী থেকে ব্যাকটেরিয়া বের করে দেওয়া। যখন আপনি দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব আটকে রাখেন, তখন মূত্রথলিতে থাকা ব্যাকটেরিয়াগুলো বংশবিস্তার করার জন্য অনেক বেশি সময় পেয়ে যায়, যা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব মহিলারা নিয়মিত প্রস্রাব চেপে রাখেন, তাদের মধ্যে UTI-এর প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
UTI-এর সাধারণ লক্ষণসমূহ:
- প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া বা ব্যথা অনুভব করা।
- তলপেটে বা শ্রোণী অঞ্চলে ব্যথা হওয়া।
- ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ আসা, কিন্তু পরিমাণ খুব কম হওয়া।
- প্রস্রাবের রং ঘোলাটে বা গাঢ় হওয়া।
- প্রস্রাবে দুর্গন্ধ হওয়া।
২. মূত্রথলি বা ব্লাডার দুর্বল হয়ে যাওয়া
নিয়মিতভাবে প্রস্রাব চেপে রাখলে মূত্রথলির পেশীগুলো অতিরিক্ত প্রসারিত (Overstretched) হয়ে পড়ে। সময়ের সাথে সাথে এই পেশীগুলো দুর্বল হয়ে যায় এবং তাদের স্বাভাবিক স্থিতিস্থাপকতা হারিয়ে ফেলে। এর ফলে মূত্রথলি পুরোপুরি খালি করার ক্ষমতা কমে যেতে পারে। অর্থাৎ, প্রস্রাব করার পরেও ব্লাডারে কিছু পরিমাণ প্রস্রাব থেকে যায়, যা পরবর্তীতে ইনফেকশনের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়।
৩. পেলভিক ফ্লোরের পেশী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া
প্রস্রাব আটকে রাখার জন্য আমাদের পেলভিক ফ্লোরের পেশীগুলোকে সংকুচিত করে রাখতে হয়। এর মধ্যে ইউরেথ্রাল স্ফিঙ্কটার (Urethral Sphincter) নামক একটি পেশী মূত্রনালীকে বন্ধ রাখে যাতে প্রস্রাব বেরিয়ে না আসে। দীর্ঘ সময় ধরে এই পেশীগুলোকে অতিরিক্ত চাপে রাখলে அவை দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এর ফলে ভবিষ্যতে প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারা বা ইনকনটিনেন্স (Incontinence) এর মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেখানে হাঁচি বা কাশির সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে প্রস্রাব বেরিয়ে আসে।
৪. কিডনিতে পাথর জমার আশঙ্কা
যাদের প্রস্রাবে ইউরিক অ্যাসিড এবং ক্যালসিয়াম অক্সালেটের মতো খনিজ পদার্থের পরিমাণ বেশি থাকে, তাদের জন্য দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখা কিডনিতে পাথর তৈরির ঝুঁকি বাড়াতে পারে1। প্রস্রাব আটকে রাখলে এই খনিজগুলো একত্রিত হয়ে ছোট ছোট পাথর তৈরি করতে পারে, যা পরবর্তীতে তীব্র ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাদের অতীতে কিডনিতে পাথরের সমস্যা হয়েছে, তাদের জন্য এই ঝুঁকি আরও বেশি।
৫. ব্যথা এবং অস্বস্তি
প্রস্রাব চেপে রাখলে কিডনি এবং মূত্রথলিতে তীব্র ব্যথা হতে পারে। এমনকি প্রস্রাব করার পরেও পেলভিক অঞ্চলে খিঁচুনি বা অস্বস্তিকর অনুভূতি হতে পারে, কারণ পেশীগুলো পুরোপুরি শিথিল হতে সময় নেয়। এই ব্যথা সাময়িক হলেও বেশ কষ্টদায়ক হতে পারে।
৬. বিরল কিন্তু মারাত্মক ঝুঁকি: ব্লাডার ফেটে যাওয়া
এটি একটি অত্যন্ত বিরল ঘটনা, তবে একেবারে অসম্ভব নয়। সাধারণত মূত্রথলি ফেটে যাওয়ার পেছনে অন্য কোনো শারীরিক কারণ (যেমন: প্রোস্টেট বৃদ্ধি বা মূত্রনালীতে ব্লকেজ) দায়ী থাকে। তবে খুব极端 পরিস্থিতিতে, যদি কেউ দীর্ঘ সময় ধরে প্রস্রাব আটকে রাখেন এবং ব্লাডারে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়, তবে তা ফেটে যেতে পারে, যা একটি জীবনঘাতী পরিস্থিতি এবং এর জন্য জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন।
কতক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখা যেতে পারে?
এর কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম নেই, কারণ এটি ব্যক্তির বয়স, ব্লাডারের আকার, তরল পানের পরিমাণ এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে। তবে সাধারণ নিয়ম হলো, যখনই প্রস্রাবের বেগ আসবে, তখনই শৌচাগারে যাওয়া উচিত। মাঝে মাঝে বিশেষ পরিস্থিতিতে, যেমন একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিং বা ভ্রমণের সময় কয়েক ঘণ্টা প্রস্রাব আটকে রাখা সাধারণত বড় কোনো ক্ষতি করে না9। কিন্তু এটিকে দৈনন্দিন অভ্যাসে পরিণত করা উচিত নয়।
বিশেষজ্ঞরা দিনে গড়ে প্রায় আটবার প্রস্রাব করার পরামর্শ দেন2। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে পর্যাপ্ত জল পান করা জরুরি, তবে এমন পরিস্থিতিতে যেখানে শৌচাগার পাওয়া কঠিন, সেখানে জল পানের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত?
যদি আপনি নিয়মিত প্রস্রাব চেপে রাখার অভ্যাস পরিবর্তন করার পরেও কিছু সমস্যার সম্মুখীন হন, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখা দিলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন:
- প্রস্রাবের সময় ক্রমাগত জ্বালাপোড়া বা ব্যথা।
- প্রস্রাব করতে অসুবিধা হওয়া বা প্রস্রাব করার পরেও মূত্রথলি খালি না হওয়ার অনুভূতি।
- প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া।
- তলপেটে একটানা ব্যথা থাকা।
- জ্বর বা পিঠের নিচের দিকে ব্যথা, যা কিডনি সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে।
সামগ্রিকভাবে, বেশিক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখলে কি হয় এই প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় যে, এটি শরীরের জন্য একটি অত্যন্ত ক্ষতিকর অভ্যাস। সাময়িক সুবিধা বা অলসতার জন্য এই অভ্যাসটি চালিয়ে গেলে তা ইউটিআই থেকে শুরু করে কিডনির স্থায়ী ক্ষতি পর্যন্ত করতে পারে। আপনার শরীর যখন সংকেত দেয়, তখন তা শোনা এবং সেই অনুযায়ী কাজ করা সুস্থ থাকার অন্যতম চাবিকাঠি। তাই নিজের শরীরকে গুরুত্ব দিন এবং প্রস্রাবের বেগ এলে তা চেপে না রেখে সময়মতো শৌচাগারে যান।