Hero AE-3 bike details features: হিরো ইলেকট্রিক তাদের নতুন ই-স্কুটার AE-3 নিয়ে বাজারে আসতে চলেছে, যা একটি অত্যাধুনিক তিন চাকার ইলেকট্রিক স্কুটার। এই ট্রাইক স্টাইলের স্কুটারটি অনন্য ডিজাইন এবং উন্নত প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে। AE-3 এর মূল্য ১.৫ লক্ষ টাকা (অনুমানিত) থেকে শুরু হবে বলে জানা গেছে। এটি ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত রেঞ্জ দিতে সক্ষম এবং ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত গতি অর্জন করতে পারে।
হিরো ইলেকট্রিক AE-3 এর দাম দিল্লিতে ১.৫ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম) থেকে শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এটি এখনও বাজারে আসেনি, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর নাগাদ লঞ্চ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।AE-3 এর অন-রোড মূল্য দিল্লিতে প্রায় ১,৬৬,২৭৫ টাকা হতে পারে। এই দামে গ্রাহকরা একটি অত্যাধুনিক ইলেকট্রিক স্কুটার পাবেন যা নিরাপদ এবং স্থিতিশীল যাত্রা নিশ্চিত করে।
হিরো ইলেকট্রিক AE-3 এর রঙের বিকল্প সম্পর্কে এখনও কোন নির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তবে অন্যান্য হিরো ইলেকট্রিক মডেলের মতো এটিও বিভিন্ন আকর্ষণীয় রঙে উপলব্ধ হবে বলে আশা করা যায়।
Honda E-MTB Electric Cycle: মাত্র ২ হাজার টাকায় কিনুন সস্তার ই-বাইক!
AE-3 একটি শক্তিশালী ৫.৫ কিলোওয়াট ইলেকট্রিক মোটর দ্বারা চালিত হয়। এই মোটর ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত গতি অর্জন করতে সক্ষম, যা শহরের ট্রাফিকে সহজেই চলাচল করার জন্য যথেষ্ট।
স্কুটারটিতে একটি ৪৮ ভোল্ট/৪ কিলোওয়াট আওয়ার লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। এই ব্যাটারি একবার চার্জ দিলে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত রেঞ্জ দেয়, যা দৈনন্দিন যাতায়াতের জন্য যথেষ্ট।
AE-3 এ দ্রুত চার্জিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে মাত্র ৪-৫ ঘণ্টায় ব্যাটারি সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে যায়। এই দ্রুত চার্জিং সময় দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য খুবই সুবিধাজনক।
AE-3 এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল এর তিন চাকার ডিজাইন। এই ট্রাইক কনফিগারেশন চালকের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বাড়ায়। বিশেষ করে তীব্র বাঁক নেওয়া বা হঠাৎ থামার সময় এটি অধিক ভারসাম্য প্রদান করে।
AE-3 তে একটি স্বয়ংক্রিয় জাইরোস্কোপিক স্থিতিশীলতা সিস্টেম রয়েছে। এর ফলে গাড়িটি দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায়ও নিজে নিজেই ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে।
AE-3 এ একটি আধুনিক ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার রয়েছে। এটি চালককে ব্যাটারির অবস্থা, গতি, রেঞ্জ সহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে।
এই স্কুটারে জিও-ফেন্সিং সুবিধা রয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের গাড়ির জন্য সীমানা নির্ধারণ করতে দেয়। এছাড়াও মোবাইল সংযোগের মাধ্যমে চালকরা একটি অ্যাপের মাধ্যমে দূর থেকেও গাড়ির পারফরম্যান্স ও অবস্থান পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।
AE-3 এ একটি রিভার্স অ্যাসিস্ট ফাংশন রয়েছে। এটি সংকীর্ণ পার্কিং স্পেস বা ভীড়পূর্ণ এলাকায় পিছনে যাওয়ার সময় বিশেষভাবে উপকারী।
AE-3 এ উন্নত ব্রেকিং সিস্টেম রয়েছে। সামনের দুটি চাকায় একটি করে ডিস্ক ব্রেক এবং পিছনের চাকায় একটি ডিস্ক ব্রেক রয়েছে। এছাড়াও এতে রিজেনারেটিভ ব্রেকিং সিস্টেম রয়েছে, যা ব্রেক করার সময় শক্তি সংরক্ষণ করে ব্যাটারি চার্জ করে।
সামনে কোয়াড টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং পিছনে ডুয়াল গ্যাস-চার্জড স্প্রিং সাসপেনশন ব্যবহার করা হয়েছে। এটি মসৃণ যাত্রা নিশ্চিত করে এবং রাস্তার অসমতা থেকে চালককে রক্ষা করে।
Jio Electric Scooter: ২৬,০০০ টাকায় ১৪০ কিমি রেঞ্জ, শীঘ্রই লঞ্চ হতে পারে!
হিরো ইলেকট্রিক AE-3 এর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীরা হল:
হিরো ইলেকট্রিক AE-3 একটি অত্যাধুনিক ইলেকট্রিক স্কুটার যা নিরাপদ, স্থিতিশীল এবং পরিবেশবান্ধব যানবাহন হিসেবে বাজারে আসতে চলেছে। এর তিন চাকার ডিজাইন, শক্তিশালী মোটর, উন্নত ব্যাটারি রেঞ্জ এবং স্মার্ট ফিচারগুলি এটিকে শহুরে যাত্রীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় বিকল্প করে তুলেছে। যদিও এর দাম তুলনামূলকভাবে বেশি, তবে এর উন্নত প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলি এই মূল্যকে যৌক্তিক করে তোলে।তবে চূড়ান্ত লঞ্চের আগে হিরো ইলেকট্রিক AE-3 এর দাম, রঙের বিকল্প এবং অন্যান্য বিস্তারিত বিবরণ পরিবর্তন হতে পারে। আগ্রহী ক্রেতাদের অফিসিয়াল ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করা উচিত। সামগ্রিকভাবে, AE-3 ভারতীয় ইলেকট্রিক স্কুটার বাজারে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন হতে চলেছে, যা নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব যানবাহনের চাহিদা পূরণ করবে বলে আশা করা যায়।