পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের নারওয়াল জেলার জাফরওয়াল শহরে ৬৪ বছর পর পুনর্নির্মাণ হতে চলেছে ঐতিহাসিক বাওলি সাহিব হিন্দু মন্দির। এই পুনর্নির্মাণের জন্য পাকিস্তান সরকার ১ কোটি পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ৩০ লক্ষ ভারতীয় টাকা) বরাদ্দ করেছে।
১৯৬০ সালে Evacuee Trust Property Board (ETPB) এর নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার পর থেকে এই মন্দিরটি অকার্যকর হয়ে পড়েছিল। বর্তমানে নারওয়াল জেলায় কোনো সক্রিয় হিন্দু মন্দির নেই, যার কারণে ১,৪৫৩ জনের বেশি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের জন্য সিয়ালকোট বা লাহোরে যেতে হয়।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর নারওয়াল জেলায় ৪৫টি হিন্দু মন্দির ছিল, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সেগুলি জীর্ণ হয়ে পড়ে। গত ২০ বছর ধরে পাক ধর্মস্থান কমিটি বাওলি সাহিব মন্দির পুনরুদ্ধারের জন্য আন্দোলন করে আসছিল।
মন্দির পুনর্নির্মাণের প্রথম পর্যায়ে চার কানাল জমিতে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করা হবে। নির্মাণ কাজ শেষ হলে মন্দিরটি পাক ধর্মস্থান কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হবে।
পাকিস্তানে হিন্দুরা সবচেয়ে বড় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। ২০২৩ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী দেশটিতে হিন্দু জনসংখ্যা ৩.৮ মিলিয়ন, যা ২০১৭ সালে ছিল ৩.৫ মিলিয়ন। তবে সম্প্রদায়ের দাবি অনুযায়ী বাস্তব সংখ্যা ৯ মিলিয়নেরও বেশি।
এই উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের ওয়ান ম্যান কমিশনের চেয়ারম্যান ডঃ শোয়েব সিদ্দাল এবং ন্যাশনাল কমিশন অফ হিউম্যান রাইটস-এর সদস্য মনজুর মসিহ। পাক ধর্মস্থান কমিটির সভাপতি সাওয়ান চাঁদ জানিয়েছেন, বাওলি সাহিব মন্দিরের পুনর্নির্মাণ হিন্দু সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করবে এবং তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনে সহায়ক হবে।