Honda e-MTB Electric Cycle budget features: হোন্ডা সম্প্রতি তাদের প্রথম ইলেকট্রিক সাইকেল হোন্ডা ই-এমটিবি কনসেপ্ট প্রকাশ করেছে। এই উচ্চ-প্রযুক্তির ই-বাইকটি অনেকের কাছেই আকর্ষণীয় হলেও এর দাম অনেক বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ বাজারে এখন অনেক সাশ্রয়ী মূল্যের ইলেকট্রিক সাইকেল পাওয়া যাচ্ছে যার দাম মাত্র ২ হাজার টাকা থেকে শুরু।
যদিও হোন্ডার নতুন ই-এমটিবি একটি উচ্চ-মানের পূর্ণাঙ্গ ইলেকট্রিক মাউন্টেন বাইক, কিন্তু এর দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে হতে পারে। তবে বাজারে এখন বিভিন্ন ধরনের সাশ্রয়ী মূল্যের ইলেকট্রিক সাইকেল পাওয়া যাচ্ছে যা আপনার বাজেটের মধ্যে কিনতে পারবেন।
অ্যাভন ই-বাইক: এটি বর্তমানে ভারতের সবচেয়ে সস্তা ইলেকট্রিক সাইকেল। এর দাম মাত্র ১২,৭৮৯ টাকা। ১০০ সিসি ইঞ্জিন ক্ষমতা সম্পন্ন এই বাইকটি একবার চার্জ দিলে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে।
অ্যাভন ই-প্লাস: এর দাম ২৩,৬৫৮ টাকা। ১০০ সিসি ইঞ্জিন ক্ষমতা সম্পন্ন এই বাইকটি একবার চার্জ দিলে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে।
অ্যাভন ই-লাইট: এর দাম ২৫,৪৩০ টাকা। ১০০ সিসি ইঞ্জিন ক্ষমতা সম্পন্ন এই বাইকটিও একবার চার্জ দিলে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে।
লেডিস সাইকেল: সামনের রড না থাকার পিছনে লুকিয়ে আছে নারীর স্বাধীনতার ইতিহাস!
১. পরিবেশ বান্ধব: এই সাইকেলগুলি কোনো কার্বন নির্গমন করে না, ফলে পরিবেশ দূষণ কমে।
২. কম খরচ: পেট্রোল বা ডিজেলের তুলনায় বিদ্যুৎ অনেক সস্তা, তাই চালানোর খরচ কম।
৩. সহজ রক্ষণাবেক্ষণ: সাধারণ সাইকেলের তুলনায় এগুলির রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কম।
৪. শারীরিক সুস্থতা: প্যাডেল চালানোর সুযোগ থাকায় শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখা যায়।
৫. ট্রাফিক এড়ানো: শহরের ভীড় রাস্তায় সহজে চলাচল করা যায়।
হোন্ডার নতুন ইলেকট্রিক সাইকেলটি একটি উচ্চ-মানের পূর্ণাঙ্গ ইলেকট্রিক মাউন্টেন বাইক। এর কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য:
বাজারে আরও কিছু সাশ্রয়ী মূল্যের ইলেকট্রিক সাইকেল পাওয়া যায়:
ইলেকট্রিক সাইকেল বাজার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৩ থেকে ২০৩৩ সালের মধ্যে এই বাজার ১০.২% হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২৩ সালে এই বাজারের আকার ছিল ৫৬.৭৯ বিলিয়ন ডলার, যা ২০৩৩ সালে ১৫০.০১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
Useful Tips for Motor Cycle: আপনার পুরোনো বাইকে করে তুলুন নতুন [ ১০০% কার্যকরী টোটকা]
১. রেঞ্জ: একবার চার্জে কত দূর যাওয়া যাবে তা বিবেচনা করুন।
২. মোটর ক্ষমতা: আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী মোটরের ক্ষমতা নির্বাচন করুন।
৩. ব্যাটারি: ব্যাটারির ধরন ও ক্ষমতা দেখে নিন।
৪. ওজন: হালকা সাইকেল চালানো সহজ হয়।
৫. মূল্য: আপনার বাজেটের মধ্যে থাকা উচিত।
৬. ওয়ারেন্টি: ভাল ওয়ারেন্টি থাকলে দীর্ঘমেয়াদে লাভজনক হয়।
হোন্ডার নতুন ই-এমটিবি ইলেকট্রিক সাইকেল যদিও উচ্চ-মানের, কিন্তু এর দাম বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বাজারে এখন অনেক সাশ্রয়ী মূল্যের ইলেকট্রিক সাইকেল পাওয়া যাচ্ছে যার দাম মাত্র ২ হাজার টাকা থেকে শুরু। এই সাশ্রয়ী বিকল্পগুলি আপনাকে ইলেকট্রিক যানবাহনের সুবিধা উপভোগ করতে সাহায্য করবে, একই সাথে আপনার বাজেটেরও অনুকূল হবে। তবে কোনও ইলেকট্রিক সাইকেল কেনার আগে তার বৈশিষ্ট্য, সুবিধা-অসুবিধা ভালভাবে যাচাই করে নেওয়া উচিত।
মন্তব্য করুন