আপনার ফোন চুরি হলেও চোর রিসেট করতে পারবে না! জানুন এই অব্যর্থ উপায়

আপনার সাধের স্মার্টফোনটি যদি চুরি হয়ে যায়, তাহলে আর্থিক ক্ষতির থেকেও বড় আতঙ্ক হলো ব্যক্তিগত তথ্য অন্যের হাতে চলে যাওয়া। চোরেরা সাধারণত ফোনটি পাওয়ার সাথে সাথেই ফ্যাক্টরি রিসেট করার চেষ্টা…

Soumya Chatterjee

 

আপনার সাধের স্মার্টফোনটি যদি চুরি হয়ে যায়, তাহলে আর্থিক ক্ষতির থেকেও বড় আতঙ্ক হলো ব্যক্তিগত তথ্য অন্যের হাতে চলে যাওয়া। চোরেরা সাধারণত ফোনটি পাওয়ার সাথে সাথেই ফ্যাক্টরি রিসেট করার চেষ্টা করে, যাতে সেটিকে আবার নতুন করে বিক্রি করতে পারে। কিন্তু আপনি কি জানেন, বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড এবং আইফোন, উভয় অপারেটিং সিস্টেমেই এমন কিছু শক্তিশালী সুরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে যা সঠিকভাবে সক্রিয় থাকলে চোর আপনার ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট করতে পারবে না? এই ব্যবস্থার নাম হলো ফ্যাক্টরি রিসেট প্রোটেকশন (FRP) বা অ্যাক্টিভেশন লক (Activation Lock)। এই সুরক্ষা স্তরটি আপনার ফোনকে আপনার গুগল বা অ্যাপল অ্যাকাউন্টের সাথে এমনভাবে যুক্ত করে রাখে যে, রিসেট করার পরেও আপনার পাসওয়ার্ড ছাড়া ফোনটি খোলা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে। ফলে চোরের কাছে আপনার দামী ফোনটি একটি অকেজো যন্ত্রে পরিণত হয়।

আধুনিক স্মার্টফোন শুধুমাত্র একটি যোগাযোগের মাধ্যম নয়, এটি আমাদের ডিজিটাল জীবনের কেন্দ্রবিন্দু। আমাদের ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও, ব্যাঙ্কিং তথ্য, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট এবং আরও অনেক সংবেদনশীল তথ্য এতে সংরক্ষিত থাকে। তাই এর সুরক্ষা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। ভারতের মতো দেশে মোবাইল ফোন চুরির ঘটনা বেশ সাধারণ। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (NCRB)-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মোবাইল ফোন চুরির রিপোর্ট দায়ের করা হয়। এই পরিস্থিতিতে, আপনার ফোনের অন্তর্নির্মিত সুরক্ষা বৈশিষ্ট্যগুলি সম্পর্কে জানা এবং সেগুলিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা আপনাকে একটি বড় বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে। এই নিবন্ধে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব কীভাবে আপনি আপনার ফোনকে চোরের নাগালের বাইরে রাখতে পারেন এবং চুরি হয়ে গেলেও আপনার তথ্য সুরক্ষিত রাখতে পারেন।

ফ্যাক্টরি রিসেট প্রোটেকশন (FRP) এবং অ্যাক্টিভেশন লক: আপনার ফোনের অদৃশ্য রক্ষাকবচ

এই দুটি প্রযুক্তিই স্মার্টফোন চুরির প্রবণতা কমানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। যখন এই সুরক্ষা চালু থাকে, তখন ফোনটি রিসেট করা হলেও পুনরায় সেটআপ করার সময় মালিকের আসল অ্যাকাউন্ট আইডি এবং পাসওয়ার্ড প্রয়োজন হয়। এটি না দিতে পারলে ফোনটি আর ব্যবহারযোগ্য থাকে না।

অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য ফ্যাক্টরি রিসেট প্রোটেকশন (FRP)

অ্যান্ড্রয়েড ৫.১ (ললিপপ) সংস্করণ থেকে গুগল এই বৈশিষ্ট্যটি চালু করে। যখন আপনি আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে একটি গুগল অ্যাকাউন্ট যোগ করেন এবং একটি স্ক্রিন লক (পিন, প্যাটার্ন বা পাসওয়ার্ড) সেট করেন, তখন FRP স্বয়ংক্রিয়ভাবে সক্রিয় হয়ে যায়।

  • কীভাবে কাজ করে: যদি কোনো চোর আপনার ফোনটি রিকভারি মোড ব্যবহার করে জোর করে ফ্যাক্টরি রিসেট করেও ফেলে, ফোনটি পুনরায় চালু হওয়ার পর সেটআপ স্ক্রিনে আগে থেকে যুক্ত থাকা গুগল অ্যাকাউন্টের ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড চাইবে। গুগলের অফিশিয়াল সাপোর্ট পেজ অনুযায়ী, সঠিক ক্রেডেনশিয়াল ছাড়া ফোনটি ব্যবহার করা সম্ভব নয়। এটি নিশ্চিত করে যে শুধুমাত্র আসল মালিকই ফোনটি অ্যাক্সেস করতে পারবে।

আইফোনের জন্য অ্যাক্টিভেশন লক (Activation Lock)

অ্যাপল তাদের ‘ফাইন্ড মাই’ (Find My) ফিচারের একটি অংশ হিসেবে অ্যাক্টিভেশন লক চালু করেছে। যখন আপনি আপনার আইফোনে ‘ফাইন্ড মাই’ চালু করেন, তখন অ্যাক্টিভেশন লক স্বয়ংক্রিয়ভাবে সক্রিয় হয়ে যায়।

  • কীভাবে কাজ করে: এই ফিচারটি আপনার অ্যাপল আইডিকে আপনার আইফোনের সাথে অ্যাপলের অ্যাক্টিভেশন সার্ভারে লিঙ্ক করে দেয়। যদি আপনার আইফোন হারিয়ে যায় বা চুরি হয়ে যায় এবং কেউ এটি মুছে ফেলার (erase) চেষ্টা করে, তবে তাকে আপনার অ্যাপল আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিতে হবে। অ্যাপলের মতে, এই তথ্য ছাড়া কেউ ফোনটি পুনরায় সক্রিয় করতে পারবে না। পরিসংখ্যান বলছে, এই ফিচারটি চালু হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে আইফোন চুরির হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। উদাহরণস্বরূপ, নিউ ইয়র্ক, লন্ডন এবং সান ফ্রান্সিসকোর মতো বড় শহরগুলিতে অ্যাক্টিভেশন লক চালু হওয়ার পরের বছর আইফোন চুরির হার প্রায় ২৫-৫০% কমে গিয়েছিল বলে বিভিন্ন রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

কীভাবে আপনার ফোনে এই সুরক্ষা কবচ সক্রিয় করবেন?

এই সুরক্ষা স্তরটি সক্রিয় করার জন্য আপনাকে কয়েকটি সহজ ধাপ অনুসরণ করতে হবে। বেশিরভাগ আধুনিক ফোনেই এটি ডিফল্টরূপে সক্রিয় থাকে, তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য একবার পরীক্ষা করে নেওয়া ভালো।

বৈশিষ্ট্য অ্যান্ড্রয়েড ফোনে কীভাবে করবেন (Android) আইফোনে কীভাবে করবেন (iPhone)
১. শক্তিশালী স্ক্রিন লক সেট করুন Settings > Security & privacy > Device unlock-এ গিয়ে পিন, প্যাটার্ন বা পাসওয়ার্ড সেট করুন। বায়োমেট্রিক (ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ফেস আনলক) যোগ করা আরও ভালো। Settings > Face ID & Passcode (বা Touch ID & Passcode)-এ গিয়ে একটি শক্তিশালী পাসকোড সেট করুন।
২. অ্যাকাউন্ট সাইন-ইন নিশ্চিত করুন Settings > Passwords & accounts-এ গিয়ে আপনার মূল গুগল অ্যাকাউন্টটি যোগ করা আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন। একাধিক অ্যাকাউন্ট থাকলেও প্রথম যোগ করা অ্যাকাউন্টটি FRP-এর জন্য ব্যবহৃত হয়। Settings-এ যান এবং একেবারে উপরে আপনার নাম দেখতে পাবেন। এখানে আপনার অ্যাপল আইডি দিয়ে সাইন ইন করা থাকতে হবে।
৩. ‘ফাইন্ড মাই ডিভাইস’ সক্রিয় করুন Settings > Security & privacy > Find My Device-এ যান এবং এই অপশনটি চালু করুন। লোকেশন অ্যাক্সেস চালু রাখলে এটি আরও কার্যকরভাবে কাজ করবে। Settings > [আপনার নাম] > Find My-তে যান। এরপর Find My iPhone চালু করুন। Find My network এবং Send Last Location অপশন দুটিও চালু রাখুন।

এই তিনটি ধাপ সম্পন্ন করলে আপনার ফোন চোরের হাতে পড়লেও সেটিকে রিসেট করে ব্যবহার করা প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে।

ফোন চুরি হয়ে গেলে আপনার তাৎক্ষণিক করণীয়

যদি দুর্ভাগ্যবশত আপনার ফোনটি চুরি হয়ে যায়, তাহলে আতঙ্কিত না হয়ে দ্রুত নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করুন। সময় এখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

১. রিমোটলি ফোন ট্র্যাক, লক এবং ডেটা মুছে ফেলুন

  • অ্যান্ড্রয়েডের জন্য: অন্য কোনো ডিভাইস থেকে google.com/android/find ওয়েবসাইটে যান এবং আপনার গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগইন করুন। এখান থেকে আপনি:
    • ফোনের অবস্থান: ম্যাপে আপনার ফোনের শেষ অবস্থান দেখতে পারবেন।
    • প্লে সাউন্ড: ফোনটি কাছাকাছি কোথাও থাকলে উচ্চস্বরে রিং করাতে পারবেন, এমনকি সাইলেন্ট মোডে থাকলেও।
    • সিকিওর ডিভাইস: ফোনটি লক করে দিতে পারবেন এবং লক স্ক্রিনে একটি বার্তা ও যোগাযোগের নম্বর প্রদর্শন করতে পারবেন।
    • ইরেজ ডিভাইস: যদি ফোনটি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকে, তবে আপনার সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে ফোনটির সমস্ত ডেটা দূর থেকে মুছে ফেলতে পারবেন। মনে রাখবেন, ডেটা মুছে ফেললেও FRP লক সক্রিয় থাকবে।
  • আইফোনের জন্য: অন্য কোনো ডিভাইস থেকে icloud.com/find ওয়েবসাইটে যান এবং আপনার অ্যাপল আইডি দিয়ে লগইন করুন। এখান থেকে আপনি:
    • ফোনের অবস্থান: ম্যাপে ফোনের অবস্থান দেখতে পাবেন।
    • প্লে সাউন্ড: শব্দ বাজাতে পারবেন।
    • লস্ট মোড (Lost Mode): ফোনটি লক করে একটি কাস্টম বার্তা ও নম্বর প্রদর্শন করতে পারবেন। এটি অ্যাপল পে (Apple Pay) পরিষেবাও নিষ্ক্রিয় করে দেয়।
    • ইরেজ আইফোন: সমস্ত ডেটা মুছে ফেলতে পারবেন। ডেটা মুছে ফেলার পরেও অ্যাক্টিভেশন লক সক্রিয় থাকবে।

২. সিম কার্ড ব্লক করুন

আপনার মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারীর (যেমন Jio, Airtel, Vi) কাস্টমার কেয়ারে অবিলম্বে ফোন করে আপনার সিম কার্ডটি ব্লক করে দিন। এটি আপনার নম্বর ব্যবহার করে কোনো ধরনের অপব্যবহার বা আর্থিক জালিয়াতি প্রতিরোধ করবে।

৩. IMEI নম্বর ব্লক করুন (সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ)

এটি সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপগুলির মধ্যে একটি। ভারত সরকার এর টেলিযোগাযোগ বিভাগ (Department of Telecommunications) দ্বারা পরিচালিত সেন্ট্রাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (CEIR) পোর্টাল ব্যবহার করে আপনি আপনার ফোনের IMEI নম্বর ব্লক করতে পারেন।

  • কীভাবে করবেন:
    1. www.ceir.gov.in ওয়েবসাইটে যান।
    2. Block Stolen/Lost Mobile অপশনটি বেছে নিন।
    3. একটি ফর্ম আসবে যেখানে আপনাকে আপনার মোবাইল নম্বর, ফোনের IMEI নম্বর, ব্র্যান্ড, মডেল, কেনার রসিদ এবং চুরির বিষয়ে করা পুলিশ FIR-এর একটি কপি আপলোড করতে হবে।
    4. ফর্ম জমা দেওয়ার পর আপনি একটি রিকোয়েস্ট আইডি পাবেন, যা দিয়ে আপনি আপনার আবেদনের স্থিতি ট্র্যাক করতে পারবেন।

CEIR পোর্টালে IMEI ব্লক করা হলে, আপনার ফোনটি ভারতের কোনো মোবাইল নেটওয়ার্কেই কাজ করবে না। এটি ফোনটিকে চোরের জন্য সম্পূর্ণরূপে অকেজো করে দেয়। DoT-এর তথ্য অনুযায়ী, এই পোর্টালটি লক্ষ লক্ষ চুরি হওয়া ফোন ব্লক করতে এবং খুঁজে বের করতে সহায়তা করেছে।

৪. পুলিশে এফআইআর (FIR) দায়ের করুন

আপনার নিকটবর্তী থানায় গিয়ে ফোন চুরির বিষয়ে একটি এফআইআর (First Information Report) দায়ের করুন। এফআইআর করার সময় আপনার ফোনের IMEI নম্বরটি অবশ্যই উল্লেখ করবেন। এই এফআইআরের কপিটি CEIR পোর্টালে IMEI ব্লক করার জন্য এবং পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের জন্য প্রয়োজন হবে।

অতিরিক্ত সুরক্ষা টিপস

প্রযুক্তিগত সুরক্ষার পাশাপাশি কিছু সাধারণ সতর্কতা অবলম্বন করাও বুদ্ধিমানের কাজ।

  • টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (2FA): আপনার গুগল এবং অ্যাপল অ্যাকাউন্টের জন্য সর্বদা টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু রাখুন। এটি আপনার অ্যাকাউন্টের সুরক্ষার একটি অতিরিক্ত স্তর যোগ করে।
  • ফিশিং স্ক্যাম থেকে সাবধান: ফোন চুরি হওয়ার পর চোরেরা আপনাকে টেক্সট মেসেজ বা ইমেল পাঠিয়ে আপনার গুগল বা অ্যাপল অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড জানার চেষ্টা করতে পারে। তারা ভুয়ো ‘ফাইন্ড মাই ফোন’ লিঙ্ক পাঠিয়ে আপনাকে লগইন করতে বলতে পারে। এই ধরনের কোনো লিঙ্কে ক্লিক করবেন না বা আপনার পাসওয়ার্ড শেয়ার করবেন না।
  • নিয়মিত ডেটা ব্যাকআপ: আপনার ফোনের গুরুত্বপূর্ণ ডেটা (যেমন ছবি, কন্টাক্টস) নিয়মিত ক্লাউড স্টোরেজে (Google Drive, iCloud) ব্যাকআপ রাখুন। এতে ফোন হারিয়ে গেলেও আপনার ডেটা সুরক্ষিত থাকবে।

সবশেষে, মনে রাখবেন, আপনার ফোনের সুরক্ষা আপনারই হাতে। উপরে উল্লিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করলে আপনি কেবল আপনার ব্যক্তিগত তথ্যই সুরক্ষিত রাখবেন না, বরং মোবাইল ফোন চুরির মতো অপরাধ কমাতেও পরোক্ষভাবে সাহায্য করবেন। একটি লক করা, অকেজো ফোন চোরের কাছে কোনো মূল্য রাখে না।

About Author
Soumya Chatterjee

সৌম্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতক এবং প্রযুক্তি বিষয়ক লেখালিখিতে বিশেষ আগ্রহী। তিনি একজন উদ্যমী লেখক, যিনি প্রযুক্তির জটিল ধারণাগুলোকে সহজভাবে উপস্থাপন করতে দক্ষ। তার লেখার মূল ক্ষেত্রগুলোতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে নতুন প্রযুক্তি, গ্যাজেট রিভিউ, সফটওয়্যার গাইড, এবং উদীয়মান টেক প্রবণতা। সৌম্যর প্রাঞ্জল ও তথ্যবহুল লেখনী পাঠকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। প্রযুক্তি সম্পর্কে তার গভীর জ্ঞান এবং অনুসন্ধিৎসু মনোভাব তাকে পাঠকদের কাছে বিশেষভাবে জনপ্রিয় করে তুলেছে। টেক জগতে চলমান পরিবর্তনগুলির সাথে তাল মিলিয়ে সৌম্য সর্বদা নতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ বিষয়বস্তু নিয়ে আসতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।