How to recognize AI-generated images methods: AI দিয়ে তৈরি ছবি চিনতে পারবেন এই ৫টি কৌশলে!বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা AI দ্বারা তৈরি ছবি ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এই ধরনের ছবিগুলি এতটাই বাস্তবসদৃশ যে সাধারণ মানুষের পক্ষে সেগুলি চেনা কঠিন হয়ে পড়ছে। তবে কিছু কৌশল অবলম্বন করে আপনিও সহজেই AI-জেনারেটেড ইমেজ চিনতে পারবেন।
অনেক AI ইমেজ জেনারেটর তাদের তৈরি ছবিগুলিতে একটি ট্যাগ বা লেবেল যুক্ত করে। এটি সাধারণত ছবির মেটাডেটায় থাকে। আপনি যদি কোনো ছবি সম্পর্কে সন্দেহজনক হন, তাহলে সেটির মেটাডেটা পরীক্ষা করে দেখুন। “AI generated”, “Created by AI” ইত্যাদি ট্যাগ থাকলে বুঝতে হবে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি।
Motorola Razr 50 Ultra: ভারতে লঞ্চ হলো প্রিমিয়াম ফ্লিপ ফোন
AI-জেনারেটেড ছবিগুলিতে প্রায়শই কিছু অস্বাভাবিক বিকৃতি দেখা যায়। যেমন – মানুষের হাত বা আঙুলের সংখ্যা বেশি হওয়া, চোখের আকার অসম হওয়া, পোশাকের ভাঁজ অস্বাভাবিক দেখানো ইত্যাদি। এই ধরনের ত্রুটিগুলি খুঁজে বের করতে পারলে বুঝতে হবে ছবিটি AI দিয়ে তৈরি।
AI সাধারণত ছবির মূল বিষয়বস্তুর উপর বেশি মনোযোগ দেয়, ফলে পটভূমি অনেক সময় অস্পষ্ট বা অসংগত হয়ে যায়। ছবির পটভূমিতে কোনো অসংলগ্ন জিনিস বা অস্বাভাবিক আকৃতি দেখতে পেলে সেটি AI-জেনারেটেড হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
AI এখনও টেক্সট এবং লোগো সঠিকভাবে তৈরি করতে পারে না। ছবিতে থাকা কোনো লেখা বা লোগো যদি অসংলগ্ন বা বিকৃত মনে হয়, তাহলে সেটি AI দিয়ে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বর্তমানে অনলাইনে বেশ কিছু AI ইমেজ ডিটেক্টর টুল পাওয়া যায়। যেমন – AI or Not, Hive Moderation, Hugging Face AI Detector ইত্যাদি। এই ধরনের টুলগুলিতে আপনি সন্দেহজনক ছবি আপলোড করে দেখতে পারেন সেটি AI-জেনারেটেড কিনা।AI ইমেজ জেনারেশন প্রযুক্তি দ্রুত উন্নত হচ্ছে।
গবেষণা অনুযায়ী, ২০২২ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৫ বিলিয়নেরও বেশি AI-জেনারেটেড ছবি তৈরি হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৩৪ মিলিয়ন নতুন AI ছবি তৈরি হচ্ছে। DALL-E 2 প্ল্যাটফর্মে প্রতিদিন গড়ে ২ মিলিয়ন ছবি তৈরি হয়। Midjourney প্রথম বছরেই ৯৬৪ মিলিয়ন ছবি তৈরি করেছে। Stable Diffusion মডেলগুলি মোট AI-জেনারেটেড ছবির ৮০% তৈরি করেছে, যা প্রায় ১২.৫৯ বিলিয়ন ছবি।এই বিপুল সংখ্যক AI-জেনারেটেড ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ায় নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে ভুয়া খবর ছড়ানো, কপিরাইট লঙ্ঘন, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নষ্ট হওয়া ইত্যাদি ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। তাই AI-জেনারেটেড ছবি চেনার দক্ষতা অর্জন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, AI ইমেজ জেনারেশন প্রযুক্তি যতই উন্নত হোক না কেন, মানুষের সৃজনশীলতা এবং অনুভূতি প্রকাশের ক্ষমতা এখনও অনেক বেশি। তাই AI-জেনারেটেড ছবি চেনার জন্য মানবীয় দৃষ্টিভঙ্গি এবং বিশ্লেষণ ক্ষমতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।AI ইমেজ জেনারেশন প্রযুক্তির ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। ২০২২ সালে এই বাজারের আকার ছিল ২৫৭.২ মিলিয়ন ডলার, যা ২০৩০ সালে ৯১৭.৪ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ১৭.৪%।
২০২৪ সালে সামগ্রিক জেনারেটিভ AI বাজারের আকার ৬৬.৬৬ বিলিয়ন ডলার, যা ২০৩০ সালে ২০৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।এই প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশের ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়ছে। শিল্প-সাহিত্য, বিজ্ঞাপন, গেমস ডেভেলপমেন্ট, চিকিৎসা বিজ্ঞান – সর্বত্রই AI-জেনারেটেড ছবির ব্যবহার বাড়ছে। তবে এর পাশাপাশি নৈতিক প্রশ্নও উঠছে। বিশেষ করে কপিরাইট ইস্যু নিয়ে বিতর্ক চলছে। কারণ AI মডেলগুলি লক্ষ লক্ষ মানুষের তৈরি ছবি ব্যবহার করে প্রশিক্ষণ নেয়।AI-জেনারেটেড ছবি চেনার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মনে রাখা প্রয়োজন:• সব সময় সতর্ক দৃষ্টি রাখুন।
• ছবির বিভিন্ন অংশ জুম করে দেখুন। AI-জেনারেটেড ছবিতে প্রায়ই সূক্ষ্ম ত্রুটি থাকে যা জুম করে দেখলে ধরা পড়ে।
• ছবির কন্টেক্সট বিবেচনা করুন। অনেক সময় ছবির বিষয়বস্তু এবং পটভূমির মধ্যে অসংগতি থাকে।
• অনলাইন AI ডিটেক্টর টুল ব্যবহার করুন। তবে এগুলি এখনও ১০০% নির্ভুল নয়।
• নিজের বিচার-বুদ্ধি প্রয়োগ করুন। AI-এর তুলনায় মানুষের অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞান অনেক বেশি।AI ইমেজ জেনারেশন প্রযুক্তি দ্রুত উন্নত হচ্ছে।
সরকারি চাকরি পাওয়ার ৭টি অব্যর্থ টোটকা – যা আপনাকে দিবে সাফল্য!
তাই এই ধরনের ছবি চেনার কৌশলও ক্রমাগত হালনাগাদ করতে হবে। বিষয়টি নিয়ে সচেতন থাকা এবং নতুন তথ্য জানার চেষ্টা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভবিষ্যতে AI-জেনারেটেড কন্টেন্ট আরও বেশি প্রভাব ফেলবে আমাদের জীবনে।সামগ্রিকভাবে, AI-জেনারেটেড ছবি চেনার দক্ষতা অর্জন করা বর্তমান সময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি শুধু ভুয়া তথ্য এড়াতে সাহায্য করে না, পাশাপাশি ডিজিটাল মিডিয়া সাক্ষরতাও বাড়ায়। তাই প্রতিটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর উচিত এই বিষয়ে সচেতন থাকা এবং নিজের দক্ষতা বাড়ানো।
মন্তব্য করুন