মেসেঞ্জারে ডিলিট হওয়া মেসেজ কি সত্যি দেখা যায়? জেনে নিন আসল সত্যিটা

কৌতূহল মানুষের একটি সহজাত প্রবৃত্তি। মেসেঞ্জারে কথোপকথনের সময় কেউ একটি মেসেজ পাঠিয়ে আবার 'Unsend' করে দিলে আমাদের মনে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক যে, মেসেজটিতে কী লেখা ছিল? প্রযুক্তিগতভাবে, ফেসবুক বা মেসেঞ্জারের…

Soumya Chatterjee

 

কৌতূহল মানুষের একটি সহজাত প্রবৃত্তি। মেসেঞ্জারে কথোপকথনের সময় কেউ একটি মেসেজ পাঠিয়ে আবার ‘Unsend’ করে দিলে আমাদের মনে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক যে, মেসেজটিতে কী লেখা ছিল? প্রযুক্তিগতভাবে, ফেসবুক বা মেসেঞ্জারের কোনো অফিসিয়াল ফিচার নেই যা দিয়ে আনসেন্ট করা মেসেজ দেখা যায়। মেসেজটি আনসেন্ট করার অর্থ হলো, এটি প্রেরক এবং প্রাপক উভয়ের চ্যাট থেকেই স্থায়ীভাবে মুছে ফেলা হয়। তবে, সরাসরি কোনো উপায় না থাকলেও কিছু পরোক্ষ পদ্ধতি বা প্রযুক্তিগত ফাঁক রয়েছে, যা ব্যবহার করে কিছু ক্ষেত্রে সেই মেসেজের বিষয়বস্তু জানা সম্ভব হতে পারে। এই প্রতিবেদনে আমরা সেই সমস্ত সম্ভাব্য পদ্ধতি, তাদের কার্যকারিতা এবং এর সাথে জড়িত ঝুঁকিগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

মেসেঞ্জারের ‘Unsend for Everyone’ ফিচারটি আসলে কী?

মেসেঞ্জারে কোনো মেসেজ ভুল করে পাঠিয়ে দিলে তা সংশোধনের জন্য মেটা (ফেসবুকের মূল সংস্থা) “Unsend for Everyone” ফিচারটি চালু করে। যখন কোনো ব্যবহারকারী এই অপশনটি ব্যবহার করেন, তখন মেসেজটি উভয় পক্ষের কথোপকথন থেকে মুছে ফেলা হয় এবং তার জায়গায় একটি লেখা আসে “You unsent a message” বা “[ব্যবহারকারীর নাম] unsent a message”। মেটার অফিসিয়াল হেল্প সেন্টার অনুসারে, এই ফিচারটি ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা রক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর মূল উদ্দেশ্য হলো, ভুলবশত পাঠানো কোনো সংবেদনশীল তথ্য বা মেসেজ মুছে ফেলার সুযোগ দেওয়া।

একসময় মেসেজ পাঠানোর ১০ মিনিটের মধ্যেই কেবল আনসেন্ট করা যেত, কিন্তু বর্তমানে এই সময়সীমা তুলে নেওয়া হয়েছে। এখন মেসেজ পাঠানোর বেশ কিছুক্ষণ পরেও তা আনসেন্ট করার সুযোগ থাকে।

আনসেন্ট মেসেজ দেখার কি কোনো সরাসরি উপায় আছে?

এই প্রশ্নের সবচেয়ে সহজ এবং সৎ উত্তর হলো – না, মেসেঞ্জারের ভেতরে আনসেন্ট করা মেসেজ দেখার কোনো সরাসরি বা অফিসিয়াল উপায় নেই।

যখন কোনো মেসেজ আনসেন্ট করা হয়, তখন সেটি মেটার সার্ভার থেকে মুছে ফেলা হয়। ফলে, মেসেঞ্জার অ্যাপের পক্ষে সেই ডেটা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয় না। এটি ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। বিশ্বজুড়ে মেসেঞ্জারের জনপ্রিয়তা বিপুল; Statista-র তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সাল পর্যন্ত এর মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ১.৩ বিলিয়নের বেশি। এত বিশাল সংখ্যক ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা এবং ডেটা সুরক্ষা নিশ্চিত করা মেটার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই তারা ইচ্ছাকৃতভাবেই এমন কোনো “ব্যাকডোর” বা উপায় রাখেনি যা দিয়ে মুছে ফেলা মেসেজ দেখা যায়।

আনসেন্ট মেসেজ দেখার সম্ভাব্য উপায় (পরোক্ষ পদ্ধতি)

যদিও সরাসরি কোনো উপায় নেই, কিছু পরোক্ষ পদ্ধতি অবলম্বন করে মুছে ফেলা মেসেজের বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যেতে পারে। তবে মনে রাখবেন, এই পদ্ধতিগুলো ১০০% কার্যকর নাও হতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে ঝুঁকির কারণ হতে পারে।

পদ্ধতি ১: অ্যান্ড্রয়েড ফোনের নোটিফিকেশন হিস্ট্রি (Notification History)

এটি আনসেন্ট মেসেজ দেখার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এবং নিরাপদ পরোক্ষ পদ্ধতিগুলোর মধ্যে একটি। অ্যান্ড্রয়েড ১১ এবং তার পরবর্তী সংস্করণগুলোতে একটি বিল্ট-ইন “Notification History” ফিচার থাকে, যা আপনার ফোনে আসা সমস্ত নোটিফিকেশনের একটি লগ সংরক্ষণ করে।

এটি কীভাবে কাজ করে?

যখন কেউ আপনাকে মেসেঞ্জারে মেসেজ পাঠায়, তখন আপনার ফোনে একটি নোটিফিকেশন আসে। মেসেজটি আনসেন্ট করার আগেই যদি নোটিফিকেশনটি আপনার ফোনে এসে থাকে, তবে সেই নোটিফিকেশনের বিষয়বস্তু আপনার ফোনের নোটিফিকেশন লগে সংরক্ষিত হয়ে যেতে পারে। প্রেরক মেসেজটি আনসেন্ট করে দিলেও, ফোনের এই লগ থেকে সেটি মোছে না।

কীভাবে নোটিফিকেশন হিস্ট্রি চালু এবং চেক করবেন?

  • Step 1: আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের Settings-এ যান।
  • Step 2: Notifications অপশনে ট্যাপ করুন।
  • Step 3: Advanced Settings বা Notification history অপশনটি খুঁজুন এবং তাতে প্রবেশ করুন।
  • Step 4: যদি Notification History অপশনটি বন্ধ থাকে, তবে এটি চালু করুন।
  • Step 5: চালু করার পর থেকে, আপনার ফোনে আসা সমস্ত নোটিফিকেশন এখানে জমা হতে থাকবে। ভবিষ্যতে কেউ মেসেজ আনসেন্ট করলে, আপনি এখানে এসে মেসেঞ্জারের পুরনো নোটিফিকেশনগুলো চেক করতে পারেন এবং মেসেজটির প্রথম কয়েকটি লাইন দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

সীমাবদ্ধতা:

  • এই ফিচারটি শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ১১ বা তার উপরের সংস্করণে উপলব্ধ।
  • নোটিফিকেশন হিস্ট্রি আগে থেকে চালু করা না থাকলে পুরনো কোনো মেসেজ দেখা যাবে না।
  • আপনি শুধুমাত্র মেসেজের একটি অংশই (সাধারণত প্রথম লাইন) দেখতে পারবেন, সম্পূর্ণ মেসেজ নয়।
  • ফোন রিস্টার্ট করলে বা নির্দিষ্ট সময় পর এই লগ মুছে যেতে পারে।
  • এই পদ্ধতিটি আইফোনে কাজ করে না, কারণ iOS-এ এমন কোনো বিল্ট-ইন ফিচার নেই।

পদ্ধতি ২: থার্ড-পার্টি অ্যাপের ব্যবহার (Extremely Risky)

ইন্টারনেটে এমন অনেক থার্ড-পার্টি অ্যাপ (যেমন Notisave, Unseen Messenger ইত্যাদি) পাওয়া যায়, যেগুলো দাবি করে যে তারা আনসেন্ট করা মেসেজ দেখিয়ে দিতে পারে। এই অ্যাপগুলো মূলত আপনার ফোনের নোটিফিকেশন অ্যাক্সেস করে এবং মেসেঞ্জারে আসা প্রতিটি নোটিফিকেশন নিজেদের সার্ভারে বা আপনার ফোনে সেভ করে রাখে।

সতর্কতা:

এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং আমরা এটি ব্যবহার করার পরামর্শ দিই না। এর কারণগুলো হলো:

  1. গোপনীয়তার ঝুঁকি: এই অ্যাপগুলো আপনার ফোনের সমস্ত নোটিফিকেশন পড়ার অনুমতি চায়। এর অর্থ হলো, আপনার ব্যাংক থেকে আসা OTP, ব্যক্তিগত মেসেজ, ইমেইল এবং অন্যান্য সংবেদনশীল তথ্য তাদের কাছে চলে যেতে পারে। Federal Trade Commission (FTC)-এর মতো সংস্থাগুলো প্রায়শই এই ধরনের অ্যাপের মাধ্যমে ডেটা চুরির বিষয়ে ব্যবহারকারীদের সতর্ক করে।
  2. নিরাপত্তার ঝুঁকি: অনেক অ্যাপে ম্যালওয়্যার বা স্পাইওয়্যার থাকতে পারে, যা আপনার ফোনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে বা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাকারদের কাছে পাচার করতে পারে।
  3. অ্যাকাউন্ট সাসপেনশন: মেটার পরিষেবার শর্তাবলী লঙ্ঘন করার জন্য আপনার ফেসবুক বা মেসেঞ্জার অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে বা স্থায়ীভাবে ব্লক হয়ে যেতে পারে।

যদি একান্তই এই ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করতে চান, তবে এর রিভিউ এবং বিশ্বস্ততা ভালোভাবে যাচাই করে নিন। তবে নিরাপদ থাকার জন্য এই পথ এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।

পদ্ধতি ৩: মেসেজের কোটেড রিপ্লাই (Quoted Reply)

অনেক সময় গ্রুপ চ্যাটে বা ব্যক্তিগত কথোপকথনে, কেউ একটি মেসেজের উত্তর দেওয়ার জন্য মেসেজটি ‘Quote’ করে রিপ্লাই দেয়। যদি আপনি বা অন্য কেউ মেসেজটি আনসেন্ট করার আগেই সেটির রিপ্লাই দিয়ে থাকেন, তাহলে রিপ্লাইয়ের মধ্যে মূল মেসেজটির একটি অংশ দেখা যেতে পারে। প্রেরক মূল মেসেজটি আনসেন্ট করলেও, আপনার দেওয়া উত্তরে সেই মেসেজের অংশটি থেকে যায়। এটি একটি খুব সাধারণ কিন্তু কার্যকর উপায়, যদিও এটি পরিস্থিতির উপর নির্ভরশীল।

পদ্ধতি ৪: প্রেরককে সরাসরি জিজ্ঞাসা করা

এটি সবচেয়ে সহজ, সৎ এবং নিরাপদ উপায়। যদি মেসেজটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয় এবং প্রেরকের সাথে আপনার সম্পর্ক ভালো থাকে, তাহলে সরাসরি তাকে জিজ্ঞাসা করাই শ্রেয়। এতে কোনো প্রযুক্তিগত ঝুঁকি নেই এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া অটুট থাকে। কৌতূহলের বশে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে ফেলার চেয়ে সরাসরি কথা বলা অনেক ভালো একটি বিকল্প।

কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা এবং বাস্তবতা

আনসেন্ট মেসেজ দেখা নিয়ে ইন্টারনেটে বেশ কিছু ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। আসুন সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

  • ভুল ধারণা ১: ফেসবুকের ‘Download Your Information’ ফিচার ব্যবহার করে আনসেন্ট মেসেজ দেখা যায়।
    • বাস্তবতা: এটি সম্পূর্ণ ভুল। আপনি যখন আপনার ফেসবুক ডেটা ডাউনলোড করেন, সেখানে আপনার চ্যাট হিস্ট্রি থাকে ঠিকই, কিন্তু যে মেসেজগুলো আনসেন্ট করা হয়েছে, সেগুলো সার্ভার থেকে মুছে যাওয়ায় সেই ফাইলে অন্তর্ভুক্ত থাকে না।
  • ভুল ধারণা ২: বিশেষ হ্যাকিং টুল বা সফটওয়্যার ব্যবহার করে মেসেজ পুনরুদ্ধার করা যায়।
    • বাস্তবতা: এই ধরনের দাবিগুলো প্রায় সবই প্রতারণা। এই টুলগুলো আসলে ফিশিং সফটওয়্যার, যা আপনার অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড এবং ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করার জন্য তৈরি করা হয়। কোনো অজানা লিঙ্কে ক্লিক করা বা সফটওয়্যার ইনস্টল করা থেকে বিরত থাকুন।

বিভিন্ন পদ্ধতির কার্যকারিতা এবং ঝুঁকির তুলনা

পদ্ধতি (Method) কার্যকারিতা (Effectiveness) সুবিধা (Pros) অসুবিধা/ঝুঁকি (Cons/Risks)
অ্যান্ড্রয়েড নোটিফিকেশন হিস্ট্রি মাঝারি (Situational) নিরাপদ, বিল্ট-ইন ফিচার, কোনো থার্ড-পার্টি অ্যাপের প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েডে কাজ করে, মেসেজের অংশবিশেষ দেখা যায়, আগে থেকে চালু করতে হয়।
থার্ড-পার্টি অ্যাপ উচ্চ (কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ) স্বয়ংক্রিয়ভাবে নোটিফিকেশন সেভ করে। অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তার সংকট, ম্যালওয়্যার ঝুঁকি, অ্যাকাউন্ট ব্লক হতে পারে।
কোটেড রিপ্লাই খুব কম (Highly Situational) নিরাপদ এবং সহজ। মেসেজটি রিপ্লাই করা হলেই কেবল কাজ করে, যা সব সময় হয় না।
সরাসরি জিজ্ঞাসা করা সম্পূর্ণ (সম্পর্কের উপর নির্ভরশীল) ১০০% নিরাপদ, কোনো প্রযুক্তিগত ঝুঁকি নেই, সম্পর্ক স্বচ্ছ থাকে। প্রেরক বলতে না চাইলে জানা সম্ভব নয়।

গোপনীয়তা এবং ডিজিটাল শিষ্টাচার

আনসেন্ট মেসেজ দেখার চেষ্টার আগে একবার ভাবা উচিত, প্রেরক কেন মেসেজটি মুছে ফেলেছেন। হয়তো তিনি ভুলবশত কিছু পাঠিয়েছিলেন বা ব্যক্তিগত কোনো তথ্য প্রকাশ করতে চাননি। অন্যের গোপনীয়তাকে সম্মান করা ডিজিটাল বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিষ্টাচার। Pew Research Center-এর একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, বহু মানুষ তাদের ডিজিটাল গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। অন্যের মুছে ফেলা মেসেজ দেখার চেষ্টা করা সেই গোপনীয়তার উপর এক ধরনের হস্তক্ষেপ।

শেষ কথা

পরিশেষে, মেসেঞ্জারে আনসেন্ট করা মেসেজ দেখার কোনো সরাসরি এবং নিশ্চিত উপায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ রাখেনি। অ্যান্ড্রয়েডের নোটিফিকেশন হিস্ট্রি একটি কার্যকর পরোক্ষ উপায় হতে পারে, তবে এর সীমাবদ্ধতা রয়েছে। থার্ড-পার্টি অ্যাপ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ, কারণ এর ফলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হতে পারে।

সবচেয়ে ভালো এবং নিরাপদ উপায় হলো কৌতূহল সংবরণ করা অথবা প্রয়োজন হলে প্রেরককে সরাসরি জিজ্ঞাসা করা। এতে আপনার ডিজিটাল নিরাপত্তা এবং পারস্পরিক সম্পর্ক—দুটিই সুরক্ষিত থাকবে। প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্বদা সতর্ক থাকুন এবং নিজের গোপনীয়তাকে অগ্রাধিকার দিন।

About Author
Soumya Chatterjee

সৌম্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতক এবং প্রযুক্তি বিষয়ক লেখালিখিতে বিশেষ আগ্রহী। তিনি একজন উদ্যমী লেখক, যিনি প্রযুক্তির জটিল ধারণাগুলোকে সহজভাবে উপস্থাপন করতে দক্ষ। তার লেখার মূল ক্ষেত্রগুলোতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে নতুন প্রযুক্তি, গ্যাজেট রিভিউ, সফটওয়্যার গাইড, এবং উদীয়মান টেক প্রবণতা। সৌম্যর প্রাঞ্জল ও তথ্যবহুল লেখনী পাঠকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। প্রযুক্তি সম্পর্কে তার গভীর জ্ঞান এবং অনুসন্ধিৎসু মনোভাব তাকে পাঠকদের কাছে বিশেষভাবে জনপ্রিয় করে তুলেছে। টেক জগতে চলমান পরিবর্তনগুলির সাথে তাল মিলিয়ে সৌম্য সর্বদা নতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ বিষয়বস্তু নিয়ে আসতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।