Protect yourself from Instagram stalkers tips: ইনস্টাগ্রামে অপরিচিত ব্যক্তিদের দ্বারা স্টক করা একটি বড় সমস্যা। প্রতি বছর প্রায় ৭.৫ মিলিয়ন মানুষ সাইবার স্টকিংয়ের শিকার হন। তাই নিজেকে সুরক্ষিত রাখা জরুরি। এই নিবন্ধে আমরা জানব কীভাবে ইনস্টাগ্রাম স্টকারদের চিহ্নিত করা যায় এবং নিজেকে সুরক্ষিত রাখা যায়।
আপনার প্রোফাইলে কে কে নিয়মিত লাইক-কমেন্ট করছে তা খেয়াল করুন। যারা আপনাকে ফলো করে না কিন্তু নিয়মিত পোস্টে লাইক দেয়, তারা সম্ভবত আপনার প্রোফাইল নিয়মিত চেক করছে।
আপনার ফলোয়ার তালিকা পর্যালোচনা করুন। যেসব অ্যাকাউন্টের কোনো পোস্ট নেই বা খুব কম ফলোয়ার আছে, সেগুলো সন্দেহজনক হতে পারে।
Office Politics Survival Guide: অফিস রাজনীতির শিকার? গোপন কৌশলে সব হবে কুপোকাত
আপনার স্টোরি কারা দেখছে তা নিয়মিত চেক করুন। যারা আপনাকে ফলো করে না কিন্তু নিয়মিত স্টোরি দেখে, তারা সম্ভবত আপনার প্রোফাইল স্টক করছে।
আপনার অ্যাকাউন্টকে প্রাইভেট করে নিন। এতে আপনি নিজে থেকে অনুমোদন না দিলে কেউ আপনার পোস্ট দেখতে পারবে না।
দ্বি-স্তর যাচাইকরণ চালু করুন। এটি আপনার অ্যাকাউন্টকে হ্যাকারদের থেকে সুরক্ষিত রাখবে।
আপনার ঠিকানা, ফোন নম্বর বা অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য পোস্টে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। এটি আপনার নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
যেকোনো সন্দেহজনক অ্যাকাউন্টকে ব্লক করতে দ্বিধা করবেন না। অনেক স্টকার একাধিক ফেক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে, তাই যত বেশি ব্লক করবেন তত ভালো।
যারা আপনাকে ফলো করে না তাদের থেকে মেসেজ পাওয়া বন্ধ করুন। এটি অপরিচিত লোকদের থেকে অযাচিত মেসেজ প্রতিরোধ করবে।
আপনি যেখানে আছেন সেখান থেকে লোকেশন ট্যাগ করা এড়িয়ে চলুন। এটি স্টকারদের আপনার অবস্থান জানতে সাহায্য করতে পারে।
নিয়মিত আপনার পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন এবং শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। এটি আপনার অ্যাকাউন্টকে হ্যাকিং থেকে সুরক্ষিত রাখবে।
বিশ্বে প্রথম! তেলেঙ্গানায় ট্রান্সজেন্ডার ট্র্যাফিক পুলিশ নিয়োগের সিদ্ধান্ত
আপনার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের সাথে সংযুক্ত থার্ড পার্টি অ্যাপগুলো পর্যালোচনা করুন। সন্দেহজনক অ্যাপগুলোর অ্যাক্সেস প্রত্যাহার করুন।
ইনস্টাগ্রামের ‘লগইন অ্যাক্টিভিটি’ ফিচার ব্যবহার করে নিয়মিত আপনার অ্যাকাউন্টের লগইন কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করুন। এটি অননুমোদিত প্রবেশ সনাক্ত করতে সাহায্য করবে।
স্টকিং একটি গুরুতর সমস্যা যা ভুক্তভোগীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। গবেষণায় দেখা গেছে, স্টকিংয়ের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে উদ্বেগ, অবসাদ এবং পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (PTSD) দেখা দেয়।এছাড়াও স্টকিং শারীরিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হতে পারে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যে মহিলারা বর্তমান বা প্রাক্তন সঙ্গীর দ্বারা খুন হন, তাদের ৭৬% আগে স্টকিংয়ের শিকার হন।
যদি আপনি মনে করেন যে আপনি স্টকিংয়ের শিকার হচ্ছেন, তাহলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রে, ফেডারেল সাইবার স্টকিং মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার ৯০%। গড় কারাদণ্ড ৩০ মাস, যদিও গড় সময়কাল ৬৪ মাস।